Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

গুলশান-বারিধারা লেকের বিষফোঁড়া মরিয়ম টাওয়ার -গণপূর্ত মন্ত্রী

| প্রকাশের সময় : ২৪ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর গুলশান ও বারিধারা লেকের বিষফোঁড়া হচ্ছে মরিয়ম টাওয়ার, বলে মন্তব্য করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। গতকাল রোববার সকালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর উচ্ছেদ অভিযানকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন- গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক, স্থানীয় সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতউল্লাহ, রাজউক চেয়ারম্যান এম বজলুল করিম চৌধুরী, ডিএনসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মেজবাউল ইসলাম, ডিএনসিসি’র প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাঈদ আনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।
মরিয়ম টাওয়ার সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, মরিয়ম টাওয়ার আমাদের লেকের একটা বিষফোঁড়া। বিএনপি-জামায়াত সরকারের শাসন আমলে ১৯৯৪ সালে তৎকালীন মন্ত্রী রফিকুল ইসলাম মিয়া এটা পাস করিয়েছেন। তখন অনুমোদন দিয়ে লেকের উপরেই তারা এটা করেন।
সরকারের পক্ষ থেকে মরিয়ম টাওয়ার অপসারণে কোন পদক্ষেপ নেবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মরিয়ম টাওয়ার এটা তো হয়ে গেছে। যখন এটা পাস করেছে। এটা একটা সরকারের অধীনেই, তারা অনুমোদন নিয়েছে। সরকার ধারাবাহিক কন্টিনিউয়াস। যেহেতু একটা সরকার অনুমোদন দিয়েছে, আমরা এটা ভাঙতে পারিনা। পাস করানোর পর এটা বৈধভাবেই হয়েছে। সেখানে যদি কোন অবৈধ জায়গা থাকে সেটা আমরা উদ্ধার করবো।
এমনকি যেউ যদি মামলা করে আর সেই মামলায় যদি হাই কোর্ট রায় দেয় মরিয়ম টাওয়ার ভেঙে ফেলার, তাহলে আমরা ভেঙে দিব। মরিয়ম টাওয়ারের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে দুটি মামলা রয়েছে, সেই মামলায়ও যদি রায় আসে মরিয়ম টাওয়ার ভাঙতে হবে আমরা উঠে দিব।
এই উচ্ছেদ অভিযানে গুলশান-বারিধারা লেকের পাশে ৫০ ফুট রাস্তা হবে বলে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আগামী দুই তিন মাসের মধ্যে এখানে ৫০ ফুট রাস্তা হবে। যেটা পৃথিবীর সব দেশেই আছে লেক ড্রাইভ। এখানেও হবে। এখানে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তারা ক্ষতিপূরণ পাবে।
মন্ত্রী বলেন, গুলশান লেকের অনেক জলাশয় ছিল। জলাশয় নিয়েই গুলশান এলাকা করা হয়। কিন্তু কালের পরিবর্তনে দেখা যায় বিভিন্ন সরকার আসার পর এই লেকগুলো ভরাট করা হয়।
তিনি বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, জিয়া এবং খালেদা জিয়া এই তিন সরকারের আমলে সমস্ত লেক এবং জলাধারা ভরাট করা হয়েছে। রাজউকের প্ল্যান অনুযায়ী গুলশানের আজাদ মসজিদও লেকের উপর নির্মিত, তাহলে এরমধ্যে কতগুলো স্থাপনা হয়েছে। শেখ হাসিনার আমলে লেকের এক ইঞ্চি জায়গায়ও ভরাট করা হয়নি।
মেয়র আনিসুল হক বলেন, মন্ত্রীর নির্দেশে আমি এখানকার বাসিন্দাদের যাদের জায়গা ছিল তাদের অভিযোগ শুনেছি, তাদের কিছু দাবি দাওয়া আছে। সেই দাবি সরকারের নিকট তুলে ধরেছি। আশাকরি সরকার সর্বোচ্চ যতটুক করা সম্ভব তা করবে। এই উচ্ছেদ অভিযানে পর গুলশান এভিনিউ-এর প্যারালান রাস্তা হবে এতে গুলশানের উপর চাপ কমবে।
মরিয়ম টাওয়ার সম্পর্কে বলেন, মন্ত্রী ইনভেসটিগেশন করছেন, যদি মরিয়ম টাওয়ারে কোথাও কিছু থাকে, তার যতটুক জেনুইন নিশ্চয়ই তা পাবেন। তার বাইরে যদি কিছু থাকে তার জন্য সরকার ব্যবস্থা নিশ্চয়ই নেবে।  



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গুলশান

৩০ নভেম্বর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ