পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা : ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে আইআরআইডিপি প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ৩টি সড়ক নিম্নমানের ইট ও বালি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া কাজগুলো সিডিউল মোতাবেক সম্পন্ন করা হয়নি। আমা ইট দিয়ে রাস্তা তিনটির কাজ শেষ করে সরকারী টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান ও সার্ভেয়ার আব্দুল আজিজ এই অনিয়মের সাথে জড়িত। আমা ইট দিয়ে কাজ শেষ করায় রাস্তাগুলো বেশিদিন টিকবে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এলাকাবাসী নিম্নমানের ইট ও বালি দিয়ে রাস্তা করার প্রতিবাদ করলেও সার্ভেয়ার আব্দুল আজিজ ঠিকাদারের পক্ষেই কাজ করছেন। এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, আইআরআইডিপি-২ প্রকল্পে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কোলা-সড়াবাড়িয়া খালকোলা বড়বাড়ি-দাশবাইশা ব্রিজ সড়ক উন্নয়ন এর কাজ পায় ঝিনাইদহের মুগ্ধ বির্ল্ডাস। এ কাজের আনুমানিক ব্যায় ১৮ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। কালীগঞ্জ উপজেলার তালিয়ান কালিবাড়ি মোড় থেকে রামচন্দ্রপুর ফুট ব্রিজ সড়কের কাজ পায় ঠিকাদার মো: নায়েব আলী জোয়ার্দ্দার। প্রকল্পের আনুমানিক ব্যায় ৪১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কালীগঞ্জ উপজেলার কোলা আয়ুব হোসেনের থেকে পশু হাসপাতাল সড়ক উন্নয়নের কাজ পায় ঠিকাদার মো: নায়েব আলী জোয়ার্দ্দার। প্রকল্পের ব্যায় ৩২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। ঝিনাইদহের ঠিকাদারদের নামে কাজ হলেও তারা এই কাজ করছেন না বলে জানা গেছে। তবে রাস্তার দেখভাল করার দায়িত্ব পেয়েছেন সার্ভেয়ার আব্দুল আজিজ। এর আগের ২টি রাস্তায় নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বড়বাইশা সড়ক উন্নয়নে সর্বনিম্নমানের ইট ও বালি ব্যবহার করা হয়েছে। এ নিয়ে গ্রামের মানুষ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ও সার্ভেয়ার আজিজের কাছে অভিযোগ করলেও সেই কাজ শেষ করে চূড়ান্তভাবে বিল তুলে নেয়া হয়েছে। ইতিপূর্বে কালীগঞ্জ উপজেলার পল্লী সড়ক অবকাঠামো উন্নয়ন (জিওবিডবিøউ) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় কালীগঞ্জ জিসি-কোলা জিসি সড়কে প্রায় ৯৮ লাখ ৭৪ হাজার ৩শ’ ৭০ টাকা ব্যয়ে সংস্কার করা হয়েছে। কাজটি পায় নির্জন এন্টারপ্রাইজ। কিন্তু এক বছর না যেতেই রাস্তাটি আগের চেহারায় ফিরে গেছে। ওই কাজেরও দেখভাল করেছিলেন সার্ভেয়ার আব্দুল আজিজ। এ সব রাস্তা নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করলেই অতিনিম্নমানের কাজের বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। এ বিষয়ে কোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন জানান, বড়বাইশা ব্রিজ সড়ক নির্মাণে একেবারেই নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে করা হয়েছে। এমন অভিযোগ স্থানীয়রা তাকে দিলে তিনি সাথে সাথে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারকে জানান। সেখানে যে ইট আনা হয়েছিল তা খুবই খারাপ মানের। নিম্নমানের কাজ নিয়ে সার্ভেয়ার আব্দুল আজিজের সাথে কথা বললে তিনি জানান, উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার অফিস থেকে তাকে যেভাবে বলা হয়েছে, তিনি সেইভাবেই দায়িত্ব পালন করেছেন। আর কাজ যারা করছেন তারা রাজনীতি করে। তাদেরকে কিছু বলার আমার কোন সাহস নেই। কালীগঞ্জ এলজিইডি’র উপজেলা প্রকৌশলী মো: হাফিজুর রহমান জানান, সার্ভেয়ার দিয়ে রাস্তা বুঝে নেবার কোন সুযোগ নেই। তবে সে কাজ বোঝে বিধায় তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। তিনি আরো জানান, কিছু রাস্তা নিম্নমানের ইট দিয়ে করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেগুলো পরে ঠিক করা হয়েছে। তবে উপজেলা প্রকৌশলীর এই বক্তব্য নেয়ার পর স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সব রাস্তার কাজ আগের মতোই হচ্ছে নিম্নমানের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।