নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : বায়ার্ন মিউনিখ বাধা টপকে শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে পা রাখতে পেরেছে রিয়াল মাদ্রিদ। এজন্য বার্নাব্যু সমর্থকরা রেফারি ভিক্টোর কাসাইকে বিশেষ একটা ধন্যবাদ দিতেই পারেন। ম্যাচে তিন তিনটি অমার্জনীয় ভুল করলেন রেফারি, তিনটিই গেল রিয়ালের পক্ষে! আর তাতে কপাল পুড়ল বায়ার্নের।
এর মধ্যে প্রথম ভুলটিই বায়ার্নকে ভুগিয়েছে বেশি। ম্যাচের বয়স তখন ৮৪ মিনিট, ২-১ গোলে এগিয়ে বায়ার্ন। দুই লেগ মিলে ৩-৩ সমতা। রিয়ালেরও অ্যাওয়ে গোলের সুবিধাও তখন শেষ। ঠিক এমন সময় আর্তরো ভিদালকে অহেতুক হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। রিপ্লেতে তা স্পষ্ট ধরা পড়ে। এর আগেও একটি হলুদ কার্ড দেখায় লাল কার্ড দেখে মাঠ ত্যাগ করতে হয় চিলিয়ান মিডফিল্ডারকে।
নির্ধারিত সময়ে এই ফল বজায় ছিল। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ে একজন কম নিয়ে আর পেরে উঠেনি বায়ার্ন। আরো স্পষ্টভাবে বললে, রেফারির আরো দুই ‘মহাভুল’ সিদ্ধান্তের জের টানতে পারেনি মিউনিখের দলটি। ৫ মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, দুটিই স্পষ্ট অফসাইডে করা। কিন্তু তা বেমালুম রেফারির চোখ এড়িয়ে যায়। ম্যাচও ৪-২ ব্যবধানে চলে যায় রিয়ালের পকেটে।
এর আগে রিয়ালের সমতাসূচক গোলটিও করেছিলেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। ফলে হ্যাটট্রিক দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে গোলের সেঞ্চুরিও পূর্ণ করেন রোনালদো। প্রথমার্ধে বেনজেমা-ইস্কো-ক্রুসদের কাছ থেকে একের পর এক সহজ সুযোগ নষ্ট করে দর্শক দুয়ো কুড়োনো রোনালদোই তাই শেষ পর্যন্ত বনে যান বার্নাব্যুর নায়ক। ম্যাচ শেষে নিজের কষ্ট চেপে রাখতে পারেননি রোনালদো, ‘তাদের (সমর্থক) কাছে আমার একটাই চাওয়া, তারা যেন আমাকে দুয়ো না দেয়। আমি সব সময় আমার সেরাটা দিয়েই খেলি।’
প্রধমার্ধে গোল করতে পারেনি কোন দলই। দ্বিতীয়ার্ধের অষ্টম মিনিটে মেলে প্রথম গোলের দেখা। তবে রিয়াল নয়, বায়ার্নের হয়ে পেনাল্টি থেকে গোলটি করেন রবার্ট লেভান্দোভস্কি। দুই লেগ মিলে তখন ২-২ সমতা, অ্যাওয়ে গোলের সুবাদে অবশ্য রিয়াল তখনও এগিয়ে। তবুও স্বস্তি মিলছিল না বার্নাব্যু ভক্তদের। ৭৬তম মিনিটে অবশেষে স্বস্তি মেলে। কাসিমিরোর ক্রস থেকে ভেসে আসা বলে রোনালদোর সফল হেডার।
কিন্তু হায়! মাত্র ৩৬ সেকেন্ডের মাথায় কি ভুলটাই না করলেন সার্জিও রামোস। বিপদমুক্ত করতে ভিড়ের মধ্য থেকে বল গোলরক্ষক কেইলর নাভাসের দিকে বাড়িয়েছিলেন রিয়াল অধিনায়ক। কিন্তু ভুল বোঝাবুঝিতে নাভাস তখন সামনে। বল জড়ায় ফাঁকা জালে। দুই লেগ মিলে স্কোরবোর্ড তখন ৩-৩। এরপরই শুরু হয় রেফারির সেই ভুলের মহড়া। অতিরিক্ত সময়ে রোনালদোর দুই গোলের পর ব্যবধান ৪-২ করে দেন মার্কো অ্যাসেনসিও। রেকর্ড টানা সপ্তমবারের মত আসরের শেষ চারে পৌঁছায় রিয়াল মাদ্রিদ। সেখানে রিয়ালের সঙ্গি হয়েছে তাদেরই প্রতিবেশী ও মাদ্রিদের আরেক দল অ্যটলেটিকো।
রিয়াল মাদ্রিদ ৪ : ২ বায়ার্ন মিউনিখ
দুই লেগ মিলে রিয়াল মাদ্রিদ ৬-৩ গোলে জয়ী
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ১০০ গোল করলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।
রেকর্ড টানা সপ্তম বারেরমতো সেমিফাইনালে খেলছে রিয়াল মাদ্রিদ।
বায়ার্নের বিপক্ষে ৯ গোল করেছেন রোনালদো। নির্দিষ্ট প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এমন কীর্তি আর আছে একমাত্র লিওনেল মেসির।
আসরে টানা ষষ্ঠ সফল পেনাল্টি নেন বায়ার্নের পোলিশ স্ট্রাইকার রবার্ট লেভান্দোভস্কি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।