পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ব্যবসায় প্যাকেজ ভ্যাট পুনর্বহাল ও বিন লক, অবাস্তব ভ্যাটের হার, ভ্যাট আদায়ে আগ্রাসী ও নানামুখী হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ আয়রন এ্যান্ড স্টিল ইমপোরটার এসোসিয়েশন। গতকাল বুধবার দুপুরে পুরান ঢাকার সংগঠনটির নিজস্ব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবী জানানো হয়। এর আগে একই দাবীতে বংশাল রোডে মানববন্ধনের আয়োজন করে সংগঠনটি। এতে ঢাকার সহস্রাধিক স্টিল ব্যবসায়ী অংশগ্রহণ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ব্যবসায়ীদের ওপর সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও অন্যায়ভাবে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। লৌহ ব্যবসায়ীরা আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ৪ শতাংশ এ্যাডভান্স ট্রেড ভ্যাট পরিশোধ করে আসছি। এর পরেও বিভিন্ন সার্কেলের ভ্যাট অফিসাররা আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে আমাদের খাতাপত্র নিয়ে যাচ্ছে, আমাদের বিক্রীত মাল গাড়ীসহ আটক করছে, আমাদের ব্যবসায়ীদের হয়রানির শিকার করছে এবং বাধ্য হয়ে তারা পুনরায় সরকারী কোষাগারে ট্রেজারী ও কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে মাল ছাড় করতে হচ্ছে।
এছাড়াও সার্কেল অফিস থেকে ব্যবসায়ীদের কোন প্রকার রিটার্ন দাখিলের বিষয়ে অবহিত না করে হঠাৎ করেই ব্যবসায়ীদের রিটার্ন দাখিল না করার কারণে আমদানিকারকের বিএন বন্ধ করে দিচ্ছে। ফলে আমদানিকারক মাল পোর্ট থেকে খালাস করতে পারছে না। অন্যদিকে ১লা জুলাই পর্যন্ত খুচরা পর্যায়ে প্যাকেজ ভ্যাট প্রদানের বিধান থাকলেও বংশাল, কেরাণীগঞ্জ, মীরহাজীরবাগসহ অনেক সার্কেল অফিসার মানছে না।
পূর্বের ন্যায় প্যাকেজ ভ্যাট পুর্নবহাল করাসহ ৮ দফা দাবী জানান তারা। দাবীগুলোর মধ্যে রয়েছে, প্র্রত্যেকটি সেক্টরের ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপ আলোচনা করে ভ্যাট নির্ধারণ, ভ্যাট আইন সহজ ও সংক্ষিপ্ত করা, ভ্যাট কর্মকর্তাদের বিন লক করে ব্যবসা বন্ধের বিধান বাতিল, হয়রানিমূলক রিটার্ন সাবমিটের বিধান বাতিল, লৌহশিল্পের কাঁচামালের ট্রেডিং পর্যায়ের ভ্যাট প্রত্যাহার, দেশীয় শিল্পভিত্তিক ব্যবসা বান্ধব ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, এফবিসিসিআই-এর পরিচালক মনজুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক পরিচালক আলী জামান, আব্দুর রাজ্জাক, গিয়াস উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ নাসির উল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন নুরানী, মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।