পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নূরুল ইসলাম : ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে ট্রেন যাবে দেড় ঘণ্টায়। এজন্য চীন থেকে আনা হবে দ্রুতগতির এক্সপ্রেস ট্রেন। নতুন করে তৈরি করা হবে স্ট্যান্ডার্ড গেজের ডাবল রেল লাইন। ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা হয়ে কুমিল্লার লাকসাম হয়ে সরাসরি এই রেললাইন যাবে চট্টগ্রামে। তাতে দূরত্ব কমবে প্রায় একশ’ কিলোমিটার। তখন অনায়াসে দেড় থেকে দুই ঘণ্টায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়া যাবে। রেলওয়ে সূত্র জানায়, সম্ভাব্য সময়ের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করতে চায়না রেলওয়ে ইইয়াম ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লি.-এর সঙ্গে ইতোমধ্যে একটি সমঝোতাস্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ডেভেলপমেন্ট অব প্রজেক্ট প্রপোজাল (ডিপিপি) অনুমোদন করেছে। চীন সরকারের আর্থিক সহায়তায় এ প্রকল্প বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক এ প্রসঙ্গে বলেন, শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়। রেলেরও উত্তরোত্তর উন্নয়ন হচ্ছে। আগামীতে আরও হবে ইনশা আল্লাহ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলকে গণমানুষের পরিবহনে রূপ দিতে অনেকগুলো পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। তার নির্দেশেই সেগুলো বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, রাজধানী ঢাকার সাথে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে আধুনিক প্রযুক্তির দ্রুতগামী ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা করেছে সরকার। সে লক্ষ্যে ইতোমধ্যে চীনের সাথে একটি চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে। চলছে ফিজিবিলিটি স্টাডি। এটি শেষ হলে রুট নির্ধারণ করে জমি অধিগ্রহণ শুরু হবে। রেল ভবনের একজন কর্মকর্তা জানান, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দূরত্ব যাতে কমানো যায় সে লক্ষ্যে নতুন করে স্ট্যান্ডার্ড গেজ রেললাইন স্থাপন করা হবে। ওই কর্মকর্তা বলেন, স্ট্যান্ডার্ড গেজ ছাড়া দ্রুতগামী ট্রেন চলতে পারে না বলেই নতুন করে তা স্থাপন করতে হবে। তিনি জানান, ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা হয়ে কুমিল্লার লাকসাম হয়ে ডাবল রেল লাইন যাবে চট্টগ্রামে। তাতে ঢাকা-চট্টগ্রামের দূরত্ব প্রায় এক শ’ কিলোমিটার কমে যাবে। এতে খরচ পড়বে ৩০ হাজার ৯৫৫ কোটি টাকা। বর্তমান মিটার গেজ রেললাইনে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দূরত্ব ৩২০ দশমিক ৭৯ কিলোমিটার। ঢাকা থেকে টঙ্গী-ভৈরববাজার-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-কুমিল্লা হয়ে চট্টগ্রাম গেছে সেই রেললাইন। এতে করে এই রুটে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে বর্তমানে পাঁচ ঘণ্টার মতো সময় লাগে। ঢাকা থেকে কুমিল্লার লাকসাম হয়ে চট্টগ্রম পর্যন্ত হাইস্পিড ট্রেনলাইন নির্মিত হলে দূরত্ব কমবে প্রায় একশ’ কিলোমিটার। তখন এই রুটে মোট দূরত্ব দাঁড়াবে ২৩০ কিলোমিটার। আর স্ট্যান্ডার্ড গেজে একটি ট্রেন ঘণ্টায় তিন শ’ কিলোমিটার বেগে চলতে সক্ষম। সেক্ষেত্রে ২৩০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে এক ঘণ্টাই যথেষ্ট। রেলওয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, আমরা তিনশ’ কিলোমিটার বেগে ট্রেন না চালাতে পারলেও ১৮০ কিলোমিটার বেগে চালাতে পারবো। তাতেও দুই ঘণ্টার বেশি সময় লাগবে না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আনুমানিক ৩০ হাজার ৯৫৫ কোটি ৭ লাখ টাকার এই প্রস্তাবিত বিশাল প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে রেল ভবন। প্রকল্প সহায়তা হিসেবে চীন থেকে আসবে ২৪ হাজার ৭৬৪ কোটি ৬ লাখ টাকা। নতুন এই রেললাইন নির্মিত হলে তা বাংলাদেশের জন্য হবে তৃতীয় মাত্রার রেললাইন। বর্তমানে দেশে মিটার গেজ ও ব্রড গেজ রেল লাইন চালু আছে। মিটার গেজ লাইনের প্রস্থ ৩ ফুট ৩ ইঞ্চি প্রায় (১০০০ মিলিমিটার), স্ট্যান্ডার্ড গেজ লাইন ৪ ফুট ৮.৫ ইঞ্চি (১৪৩৫ মিলিমিটার) ও ব্রড গেজ লাইনের প্রস্থ ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি (১৬৭৬ মিলিমিটার)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।