নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর প্রতিটা ঘাস তার চেনা। তার হাত ধরেই দীর্ঘ এক যুগ পর ‘লা ডেসিমা’ জিতেছিল রিয়াল। শিরোপার পথে সেবার সেমিফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে তাদেরই মাঠে সবচেয়ে বড় পরাজয়টিও (৫-০) উপহার দিয়েছিল বার্নাব্যুর দল। এরপরও মৌসুম শেষে ব্যর্থতার দ্বায়ে বার্নাব্যু থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল তাকে। সেই কার্লো আনচেলত্তি আবারো ফিরছেন বার্নাব্যুতে।
ভাগ্যক্রমে এবারের ফেরাটা সেই বায়ার্নের হয়েই। সাবেক ক্লাবকে মোক্ষম জবাব দেয়ার একটা উপলক্ষও বটে। মঞ্চটাও একই, তবে লড়াইটা শেষ আটের। তবে নিজেদের মাঠে প্রথম লেগে ২-১ গোলে হেরে যাওয়ায় কাজটা কঠিন হয়ে গেছে তার দলের জন্য। তাছাড়া ম্যাচটি সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে হওয়ায় সেটা হয়ে গেছে কঠিনতর। উইরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় যেখানে টানা ১২ ম্যাচ হারেনি লস ব্ল্যাস্বোসরা। জয় ১০টিতেই। তাছাড়া আসরের ইতিহাসে নকআউট পর্বে ঘরের মাঠে প্রথম লেগে হারা কোন দলের ঘুরে দাঁড়ানোর ঘটনা আছে মাত্র দুটি। এর একটির ভুক্তভোগি আবার বায়ার্ন নিজে। ২০১০/১১ মৌসুমে ইন্টার মিলানের মাঠ থেকে ১-০ গোলের জয় নিয়ে ফেরার পর নিজেদের মাঠে ৩-২ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছিল বায়ার্ন।
তবে রেকর্ড তো আর সব সময় এক কথা বল না। ঘরের মাঠে টানা ১৬ অপরাজিত থাকা বায়ার্নকেই তো তাদেরই মাঠে প্রথম লেগে হারিয়েছিল রিয়াল। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো সেদিন জোড়া গোল করে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ইউরোপিয়ান ফুটবলে করেছিলেন গোলের সেঞ্চুরি। সেই দুঃস্মৃতি ভুলে আসরে টিকে থাকতে আনচেলত্তির দলকে এবার জিততে হবে নূন্যতম দুই গোলের ব্যবধানে। দলের প্রধান অস্ত্র রবার্ট লেভান্দোভস্কি না থাকায় দুশ্চিন্তা বেড়েছে বটে। ওদিকে নিষেধাজ্ঞার কারণে মাঝমাঠের পরিচিত মুখ জাভি মার্টিনেজ না থাকাটাও আরেক দুশ্চিন্তার বিষয়।
বায়ার্নের অবশ্য সব প্রতিকুলতা কাটিয়ে উঠার সামর্থ আছে। সেটা বিশ্বাস করেন জিনেদিন জিদানও। রিয়াল কোচ তাই স্বতর্ক, ‘সব মিলে বায়ার্ন দুর্দান্ত একটা দল। তাদের সক্ষমতা আমাদের ভালোই জানা। তবে আমরাও প্রস্তুত প্রথম লেগের মত ফল করতে।’ জিদান অবশ্য বেশ ফুরফুরে মেজাজেই আছেন। চোটের কারণে এদিন থাকবেন না গ্যারেথ বেল। তবে বেলের বিকল্প আসেনসিও-ইস্কোরা যে রয়েছে দারুণ ফর্মে। জিদানকে তাই পড়তে হচ্ছে মধুর সমস্যা, ‘আমাকে যে কোন একজনকে বেছে নিতে হবে, তবে আমি খুশি এমন কঠিন পরীক্ষায় পড়ায়।’
রিয়ালের মত শেষ চারের পথে এগিয়ে আছে মাদ্রিদেরই আরেক দল অ্যাটলেটিকোও। কিং পাওয়ার স্ট্রেডিয়ামে আজ তাদের আতিথ্য দেবে লেস্টার সিটি। তবে এগিয়ে থাকার ব্যবধানটা ১-০ গোলের হওয়ায় খুব স্বস্তিতে কি থাকতে পারবেন ডিয়েগো সিমিওনে? দুশ্চিন্তা আছে শিষ্যদের পেনাল্টি দক্ষতা নিয়েও। নিজেদের শেষ ম্যাচে ওসাসুনার বিপক্ষে ৩-০ গোলে জয়ের দিন মাত্র দুই মিনিটের ব্যবধানে দুই দুটি পেনাল্টি মিস করে অ্যাটলেটিকো। এর আগে গ্রুপ পর্বেও বেশ ক’বার পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয় তার শিষ্যরা। দুই লেগ মিলে ফল ড্র হলে ম্যাচ গড়াবে টাইব্রেকারে। সেক্ষেত্রে সিমিওনে পড়ে যাবেন আরেক দুশ্চিন্তায়। লেস্টারও আসরে প্রথমবারের মত সুযোগ পেয়ে নিজেদের মাঠে হয়ে উঠেছে অপ্রতিরোধ্য। জয় সব ম্যাচেই। তবে একটা রেকর্ডে স্বস্তি পেতে পারেন সিমিওনে। লেস্টারের বিপক্ষে কোন হারের রেকর্ড নেই অ্যাটলেটিকোর।
লেস্টার কোচ ক্রেগ সেক্সপিয়ারও জানেন তার দলের জন্য কাজটা কঠিন। তবে আশা হারাচ্ছেন না ক্লাদিও রেনিয়েরির স্থলাভিসিক্ত হওয়া এই কোচ, ‘আমরা জানি যে আমরা এখানে আন্ডারডগ আর মাদ্রিদ ঐতিহাসিক একটা দল। তবে আমরা স্বাভাবিক খেলাই খেলতে চাই।’
আজ মুখোমুখি
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, কো.ফাইনাল (২য় লেগ)
রিয়াল মাদ্রিদ : বায়ার্ন মিউনিখ
লেস্টার সিটি : অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ
* ২৪ বারের মত মুখোমুখি হচ্ছে রিয়াল-বায়ার্ন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আসরে সবচেয়ে বেশিবার মুখোমুখি হওয়া দলও তারা। এর মধ্যে রিয়াল জিতেছে ১০ বার, বায়ার্ন ১১ বার।
* মিউনিখে প্রথম লেগ ১-১ গোলে ড্র হওয়ার পর নিজেদের মাঠে খেলোয়াড় জিদানের একমাত্র গোলে ২০০৩/০৪ মৌসুমে শেষ ১৬ পেরিয়েছিল রিয়াল।
* ৩৪তম বারের মত শেষ আটে খেলছে রিয়াল। এই পর্ব থেকে তারা বিদায় নিয়েছে মাত্র ছয় বার।
* আর তিন গোল করলেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গোলের সেঞ্চুরি করবেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।
* শেষ ৫ মৌসুমেই নুন্যতম সেমিফাইনালে খেলেছে বায়ার্ন।
* লেস্টারের সাথে ৫ বারের সাক্ষাতে ৪টিতেই জিতেছে অ্যাটলেটিকো, একটি ড্র
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।