বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রাম ব্যুরো : সম্প্রতি মন্ত্রিসভায় পাসকৃত সড়ক পরিবহন আইন ২০১৭-এর পণ্য পরিবহন মালিক শ্রমিকের স্বার্থ পরিপন্থী আইনের সংশোধন ও ওভারলোড নিয়ন্ত্রণের নামে স্কেলে চাঁদাবাজি হয়রানি বন্ধসহ পণ্য পরিবহনের ৯ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গতকাল (রোববার) বৃহত্তর চট্টগ্রাম পণ্য পরিবহন মালিক ফেডারেশনের উদ্যোগে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে আগামী এক মাসের মধ্যে দাবিসমূহ মেনে নেয়া না হলে সড়ক-মহাসড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে সেক্ষেত্রে করণীয় কিছু থাকবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি চৌধুরী জাফর আহমদ। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, যে দেশে ড্রাইভারের একটা বৃহৎ অংশের লাইসেন্স নেই, সে দেশে আবার হেলপারের লাইসেন্স থাকতে হবে, তাও আবার অষ্টম শ্রেণি, পঞ্চম শ্রেণি পাস হতে হবে। পরিবহন সড়ক আইনের সংশোধন করা না হলে পরিবহন শিল্প হুমকির সম্মুখীন হবে এবং পরিবহন জগত শ্রমিক সংকটে পড়বে। তিনি বলেন, যোগাযোগ মন্ত্রীর নির্দেশে সিএমপি কমিশনারের হস্তক্ষেপে প্রাইম মুভারের স্কেলে ওজন সীমা দেয়া হয়েছিল ৪২ টন এবং ট্রাক কাভার্ডভ্যানে ২২ টন। অথচ পরবর্তী দুই মাসের মধ্যেই স্কেলে তা ৩২ ও ১৫ টন ধরে জরিমানা নেয়া হয়। বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একবার দারোগাহাট স্কেলে টাকা দিলে আবারও দাউদকান্দি স্কেলে দিতে হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহলের উদ্দেশে ফেডারেশন নেতৃবৃন্দ বলেন, পণ্য পরিবহন সংক্রান্ত কোনো আইন, নীতিমালা প্রণয়ন করতে, পণ্য পরিবহন মালিক ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দকে আলাদভাবে অবহিত করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পণ্য পরিবহন মালিক ফেডারেশনের সভাপতি জহুর আহমদ, মহাসচিব আবু মোজাফ্ফরসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের পণ্যবাহী ১৪টি পরিবহন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।