স্টাফ রিপোর্টার : বৈশাখী ও ৫ শতাংশ বর্ধিত ভাতা, ছাত্রদের টিফিন, পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, শিক্ষক হয়রানি বন্ধ, নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তি ও চাকরি জাতীয়করণের দাবি জানিয়েছে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট। গতকাল (বুধবার) রাজধানীতে শিক্ষক সমিতি ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা এসব দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, শিক্ষকরা নানাভাবে সমাজে অবহেলিত ও হয়রানি-নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। শিক্ষকদের চাকরির নিরাপত্তা-আর্থিক সচ্ছলতা, সামাজিক মর্যাদা নেই বলে এই পেশায় মেধাবীরা আসতে চান না। বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিক্ষকরা রাজনৈতিক হয়রানির শিকার হয়ে চাকরি হারিয়ে পথে ঘুরছেন। শিক্ষকদের চাকরির নিরাপত্তা নেই বলেই আজ শিক্ষার বেহাল অবস্থা। সঠিক পরিকল্পনার অভাবে অনেক কম মেধাবী, এমনকি মেধাহীন শিক্ষার্থীরাও পাবলিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাচ্ছে। যা সমাজে উপহাসের পাত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন অবস্থা এমন হয়েছে যে, জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের দেখলে অনেকেই মুচকি হাসে। আর এভাবে মেধাবী শিক্ষার্থীদের (তাদের মধ্যে যারা জিপিএ-৫ পায়) প্রতি অবিচার করা হচ্ছে। বেতন স্কেলে পার্থক্যের কথা তুলে ধরে বলা হয়, সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের সমযোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা থাকলেও বেসরকারি স্কুলে বেতনের পার্থক্য রয়েছে। সরকারি স্কুলে বৈশাখী ভাতা, পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা ও বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট থাকলেও বেসরকারি শিক্ষকদের বেতন স্কেলে ২৫ শতাংশ ও কর্মচারীদের ৫০ শতাংশ উৎসব ভাতা প্রদান করা হয়।
এসময় সংগঠনটির নেতারা শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে টিফিনের দাবি করা হয়। স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের দীর্ঘদিন এমপিওভুক্ত না হওয়ার কারণে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন উল্লেখ করে বলা হয়, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা এমপিও পাওয়ার দাবিদার। তাদেরকে চলতি অর্থ-বছরেই এমপিও দেয়ার দাবি জানায়।