পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
কেশবপুর উপজেলা সংবাদদাতা : কেশবপুর উপজেলার মজিদপুর বøকের অর্ধশত কৃষক আধুনিক প্রযুক্তির চাষাবাদ, বীজ উৎপাদন, বিষমুক্ত ও স্বাস্থ্যসম্মত ফসল উৎপাদন করে স্বাবলম্বী হতে শুরু করেছেন। উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বক্ষণিক দিক নির্দেশনায় বিভিন্ন বøকের কৃষক-কৃষাণীরা বোরো ও সবজি বীজ উৎপাদন করে কেশবপুরের প্রায় ৩০ ভাগ বীজের চাহিদা মিটিয়ে চলেছে। এসব কুষক উপজেলা কুষি অফিসের প্রশিক্ষণ নিয়ে মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করছেন। তারই পরিচালনায় বর্তমান ওই বকে বিভিন্ন ফসলের আধুনিক প্রযুক্তির প্লট প্রদর্শনী স্থাপন, চাষি সমাবেশ, নতুন নতুন উফশি জাতের ধানের চাষ পদ্ধতি ও ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে বিষমুক্ত সবজী উৎপাদনে চাষিরা সাফল্য দেখিয়ে চলেছে। উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, কৃষি ও কৃষকের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কৃষি অফিসের দিক-নির্দেশনা আর কৃষকরা তা মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করে থাকেন বলেই বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এ কথা উপলদ্ধি করে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা তার বøকের কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তির চাষাবাদ, পুষ্টি, বিষমুক্ত ও স্বাস্থ্যসম্মত ফসল উৎপাদনে মাঠে মাঠে গিয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তিনি মজিদপুর ব্লকের সকল চাষিকে সংঘটিত করতে আইপিএম ও আইসিএম-এর অর্থায়নে বিভিন্ন ফসল উৎপাদনে কৃষকের সমস্যা শুনে পরামর্শ দিয়ে আসছেন। তারই তত্ত্বাবধানে বকের কৃষক আতিয়ার রহমান, রবিউল ইসলাম, আবুল কালাম, ইসমাইল হোসেন, আব্দুল আজিজ বোরো, আমন ধান বীজ, বিভিন্ন শাক-সবজির বীজ উৎপাদন করছেন। যা বর্তমান সময়ে একটি লাভজনক ব্যবসা। এতে ওই সমস্ত কৃষক পরিবারে আর্থিক সচ্ছলতা এসেছে।
কৃষক রবিউল ইসলাম, ইসমাইল হোসেন জানান, তারা গাজীপুর বীজ উৎপাদন খামার থেকে বিভিন্ন উফশী জাতের (ধান) ব্রিডার সীড কিনে এনে বোরো মৌসুমে মাঠে আবাদ করে উন্নত জাতের ভিত্তি বীজ উৎপাদন করে থাকেন। যা সুলভ মূল্যে কৃষকদের মাঝে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। কৃষক আব্দুল আজিজ জানান, তিনিসহ কয়েক জন চাষি ডাটা, পুঁইশাক, লাল শাক, পালঙ শাকসহ বিভিন্ন সবজি বীজ উৎপাদন করে থাকেন। তাদের উৎপাদিত বীজের বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
এ ব্যাপারে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার দিক-নির্দেশনা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিভাবে একই জমিতে অল্পসময়ে একাধিক ফসল আবাদ করে স্বাবলম্বী হওয়া যায় সে ব্যাপারে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে এবং কৃষক তা মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করে স্বাবলম্বী হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহাদেব চন্দ্র সানা বলেন, শুধু মজিদপুর বøক নয় উপজেলার প্রত্যেকটি বøকের কৃষকরা ফসল আবাদে সফল হচ্ছেন। বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনে প্রতিটি গ্রামে কৃষকদের সচেতন করতে উঠান বৈঠক করা হচ্ছে। মাটির স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্যে কেঁচো ও কম্পোষ্ট সার ব্যবহারে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এ সব সভায় ক্ষতিকর কীটনাশক ব্যবহার না করার ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। যার কারণে এ উপজেলার উৎপাদিত কৃষিপণ্য কেশবপুরের চাহিদা মিটিয়ে বাইরে রফতানি হয়ে আসছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।