নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা : ছিলেন বিকেএসপির সিনিয়র কোচ। বিসিবির অফারকে গুরুত্ব দিয়ে নাইমুর রহমান, আবদুর রাজ্জাক রাজদের আবিষ্কারক সারোয়ার ইমরান বিসিবিতে তিন দফায় ১৬ বছর কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন। এক সময়ে বিসিবির পেসার হান্ট কর্মসূচি আবর্তিত হয়েছে তাকে ঘিরেই। তবে বিদেশি কোচদের কদরের বিপরীতে নিজে মূল্যহীন হয়ে পড়ায় আত্মমর্যাদায় আঘাত লেগেছে এই নিবেদিত প্রাণ কোচের। সিনিয়র কোচ পদে এ বছরের অক্টোবর পর্যন্ত বিসিবির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন। তবে মিলিয়ন ডলার বাজেটনির্ভর হাই-পারফরমেন্স কর্মসূচির হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব বুঝে দেয়ার কথা থাকলেও এই প্রতিশ্রæতি বিসিবি রক্ষা না করায় সম্প্রতি বিসিবির চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন সারোয়ার ইমরান। গতকাল সে তথ্যই দিয়েছেন ২০১০ সালে গুয়াংজু এশিয়ান গেমসে স্বর্ণজয়ী ক্রিকেট দলের এই কোচ ‘হাতুরুসিংহেকে জাতীয় দলের হেড কোচের দায়িত্ব যখন দেয়া হয়, তখন আমাকে বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচ হিসেবে দলের সঙ্গে যুক্ত করার প্রতিশ্রæতি দিয়েছিল বিসিবি। পরবর্তীতে আমাকে বাংলাদেশ ‘এ’ দল এবং হাই-পারফরমেন্সের হেড কোচের কাজ দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু কথার সঙ্গে কোনো মিল পেলাম না। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে ভারত সফরে কোচ হিসেবে আমাকে পাঠানো হলেও গত বছর হাই-পারফরমেন্সের কাজে আমাকে যুক্ত করা হয়নি। দুই বছরের মধ্যে মাত্র একটি অ্যাসাইনমেন্ট পেলাম। এটা আমার কাছে ভালো লাগেনি। কাজহীন মাসে বেতন নিতে ভালো লাগে না বলে ফেব্রæয়ারিতে ইস্তফা দিয়েছি।’
যখনই জাতীয় দলের বিদেশি কোচের শূন্যতা দিয়েছে দেখা, তখনই অন্তবর্তীকালীন কোচের দায়িত্বটা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড চালিয়ে নিয়েছে সাবেক পেসবোলার সারোয়ার ইমরানকে দিয়ে। দ.আফ্রিকান কোচ এডি বারলো যখন প্যারালাইসিসে আক্রান্ত, তখন বাংলাদেশ দলের অভিষেক টেস্টে প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন সারোয়ার ইমরান। ২০০৭ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের কোচের দায়িত্বটাও ছিল তার উপর। শেন জার্গেনসেন বিসিবির চাকরি ছেড়ে দেয়ায় কোচের শূন্যতা পূরণে অন্তবর্তীকালীন দায়িত্বটা পালন করেছেন সারোয়ার ইমরানই। ২০১০ সালে গুয়াংজু এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশের স্বর্ণজয়ী ক্রিকেট দলের কোচও তিনি। হাতুরুসিংহের হাতে জাতীয় দলের হেড কোচের দায়িত্ব দিয়ে তার ডেপুটি হিসেবে নিযুক্ত করার প্রতিশ্রæতি দিয়ে তা রক্ষা করেনি বিসিবি। হাই পারফরমেন্স ইউনিটের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব দেয়ার কথা বলেও সেখানে কাজের সুযোগ না পাওয়ায় বিস্মিত সারোয়ার ইমরান ‘এ ব্যাপারে বিসিবির সিইওর সাথে কথা বলেছি। উনি বলেছেন সামনে হাই পারফরমেন্স ইউনিটের ক্যাম্প যখন চলবে, তখন সেখানে আমাকে কাজ দেয়া হবে। তার এই কথা ভালো লাগেনি।’
তবে বিসিবির চাকরি ছেড়েও দিয়েও সময়টা ভালো যাচ্ছে না সারোয়ার ইমরানের। আবাহনী, ভিক্টোরিয়া, লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের শিরোপা জয়ের এই কারিগর যেখানে প্রতি বছর প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে শীর্ষস্থানীয় ক্লাবগুলোর পছন্দের কোচের তালিকায় অগ্রভাগে থাকতেন, এবার সেখানে কদর নেই তার! বিসিবির চাকরির পাশাপাশি যেখানে প্রিমিয়ার ডিভিশনে কোচের দায়িত্ব চালিয়ে নিয়েছেন গত ১৭টি বছর, এবার সেখানে হয়েছে উল্টোটা। বিসিবির চাকরি ছেড়ে দেয়ায় হাতে যখন অফ‚রন্ত সময়, তখন প্রিমিয়ার ডিভিশনে কোচের অফার পাননি কোনো ক্লাবের পক্ষ থেকে! বিষয়টি অবাক করেছে তাকে ‘গত বছর ব্রাদার্সের কোচ ছিলাম। খেলার সময়ে ভিডিও কনফারেন্সে ওই ক্লাবের এক ডোনার আমার সঙ্গে কথা বলতে চাইতো, নির্দেশনা দিতে চাইতেন। কোচের কাজে এই হস্তক্ষেপ ভালো লাগেনি।’ ক্লাব ক্রিকেটে কোচের কাজে হস্তক্ষেপ মানার পাত্র নন সারোয়ার ইমরান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।