Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ধর্ষণের শিকার নারী ইউপি সদস্যকে আর ঘরে নেবেনা স্বামী !

| প্রকাশের সময় : ৮ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রাজশাহী ব্যুরো : চেয়ারম্যান মেম্বারের ধর্ষণের শিকার নারী ইউপি সদস্যকে ঘরে নেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন তার স্বামী আবদুল মান্নান। তালাকের প্রস্তুতিও চলছে। স্বামী আবদুল মান্নানের অভিযোগ, চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য দ্বারা ধর্ষণের ঘটনায় তার ব্যক্তিগত ইমেজ ক্ষুন্ন হয়েছে। পুরো এলাকায় রটে গেছে তার স্ত্রী একজন ধর্ষিতা। এ কারণে তিনি তাকে তালাক দিবেন।
সংশিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই নারী সদস্যকে পুলিশ রামেক হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তির পর তার স্বামী আবদুল মান্নান তালাকের ঘোষণা দেন। আবদুল মান্নান বলেন, আমি আমার স্ত্রীকে একটি বারের জন্যও ওসিসিতি দেখতে যায়নি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বাজুবাঘা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আমার স্ত্রী একাই কর্মরত নন। তার মতো আরও তিনজন সদস্যসহ বেশ কয়েকজন নারী রয়েছে। তাহলে অন্যরা বাদ দিয়ে আমার স্ত্রী কেন ধর্ষণের শিকার হবে? তিনি এই বিষয়টি কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না বলে জানান।
এদিকে স্থানীয়রা বলছেন, যারা মানবসেবার নামে জনপ্রতিনিধিত্ব করতে এসে ইউনিয়ন পরিষদকে অপবিত্র করে তারা মানুষ নয়, তাদের বিচার হওয়া দরকার। এ জন্য শনিবার ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার শিক্ষার্থী ও সুধী সমাজের ব্যানারে চন্ডিপুর পাকা রাস্তায় এক প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে বলে তারা উল্লেখ করেন। প্রসঙ্গতঃ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাজুবাঘা ইউনিয়ন পরিষদের লাইব্রেরিতে এক নারী ইউপি সদস্যকে ধর্ষণের সময় আরেক ইউপি সদস্য এবং এতে সহায়তার অভিযোগে চেয়ারম্যানকে আটক করে এলাকাবাসী। এরপর ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে এলাকাবাসী চেয়ারম্যান জান্নাত আলী ও ঘটনার নায়ক ইউপি সদস্য আলাল উদ্দিনকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্বামী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ