Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খেলার ফলাফল নিয়ে ঢাবিতে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ

| প্রকাশের সময় : ৮ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার : বাংলাদেশের দুর্দান্ত বোলিং লাইন আপ আর দুরন্ত ফিল্ডিং এ যখন লঙ্কান ব্যাটিং বিধ্বস্ত তখন বিজয়ের আনন্দে ভাসার পরিবর্তে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ঢাবির এফ রহমান হল ছাত্রলীগের দুই পক্ষ।
বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার মধ্যকার টি-২০ ম্যাচের সময় বেশ কয়েক দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হলের টেলিভিশন কক্ষে রেডিওর ধারাভাষ্য শুনে খেলার শেষ দিকে মোস্তাফিজের দুই উইকেট নেয়ার সময় টেলিভিশনে বল দেখার আগেই কেউ কেউ ‘আউট’ বলে চেঁচিয়ে উঠেন।
আর এ নিয়ে হল ছাত্রলীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান তুষারের অনুসারীদের মধ্যে বাকবিন্ডতা শুরু হয়ে তা সংঘর্ষে গড়ায়।
এতে তুষারের অনুসারী পাঁচকর্মী আহত হয়েছেন। হলের ৪২১, ৩০৪ এবং ৩০৬ নম্বর কক্ষ ভাঙচুর ছাড়াও একটি ল্যাপটপ ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় আহত সংঘর্ষে আহত বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সাইফুল ইসলাম, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের রাজিব, সমাজকল্যাণ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের আপেল, একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের আফজাল এবং সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের আফছারকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া ভর্তি করা হয়েছে। এরমধ্যে সাইফুলের অবস্থা গুরুতর।
এদিকে সংঘর্ষের সময় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শোডাউন করতেও দেখা গেছে ছাত্রলীগের কর্মীদের। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘খেলা দেখছি, বাংলাদেশ জয় পেয়েছে। কিন্তু তারা (ছাত্রলীগ) যেভাবে মারামারি শুরু করে এক পর্যায়ে মনে হয় রুমে থাকাও রিস্ক। তখন বিজয়ে উলাস আর হয়নি। খেলাও দেখা হয়নি।’
সংঘর্ষে নেতৃত্ব দেন-সময় বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রাজু আহমেদ, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষেও রকিব হাসান ও সাজু, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের তৃতীয় বর্ষের রাশেদ রাজন, হলের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মনজুর আহমেদ রানা। তারা সবাই হল ছাত্রলীগের সভাপতি হাফিজুর রহমানের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
এ বিষয়ে হল ছাত্রলীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার সময়ে আমি বাইরে ছিলাম। হল সাধারণ সম্পাদক ঢাকার বাইরে অবস্থান করছেন। তিনি ফিরলেই জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান তুষার বলেন, আমি চট্টগ্রাম অবস্থান করছি ফলে এ সম্পর্কে কিছুই জানি না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খেলা

৩০ ডিসেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ