Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খুলনা-যশোর মহাসড়কের মরণ ফাঁদ শহরের জোড়াগেট থেকে দৌলতপুর

| প্রকাশের সময় : ৬ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

এ.টি.এম. রফিক, খুলনা থেকে : খুলনা-যশোর মহাসড়কে দুর্ঘটনায় প্রাণহানীর ঘটনা বাড়ছেই। নগরীর জোড়াগেট থেকে দৌলতপুর পর্যন্ত রোডে প্রতিনিয়ত হতাহতের ঘটনা ঘটায় মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। বহুল ব্যস্ততম এ রোডটি চার লেনে উন্নীতকরণ ও ডিভাইডার নির্মাণ করলে সড়ক দুর্ঘটনা বহুলাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে দাবি নিরাপথ সড়ক চাই আন্দোলনের।
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়, জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়, সড়ক ও জনপদ ভবন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি ভবন, বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, আঞ্চলিক, জেলা ও থানা নির্বাচন অফিস, মৎস্য ও পরিদর্শন অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর, কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তর, দুর্নীতি দমন কমিশন, বিভাগীয় হিসাব ভবন, বাংলাদেশ বেতার খুলনা, শহীদ শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম, সরকারি মহিলা কলেজ, বিএল কলেজসহ আরও কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গুরুত্বপুর্ণ সরকারি-বেসরকারি অফিস রয়েছে জোড়াগেট থেকে দৌলতপুর পর্যন্ত এ সড়কে। এছাড়া খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও খুলনা ডায়াবেটিকস হাসপাতালসহ কয়েকটি বেসরকারি ক্লিনিকে প্রতিনিয়তই রোগী ও স্বজনদের যাতায়াত। ফলে অন্যান্য রোডের তুলনায় এই সড়কটি দিনেরাতে সমানতালেই সর্বাধিক ব্যস্ত। তাতে নেই রোড ডিভাইডার। ফলে প্রতিনিয়তই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা।
সর্বশেষ, গত সোমবার বিকালে নগরীর বৈকালী পেট্রোল পাম্পের সামনে মাহেন্দ্র ও জীপ গাড়ীর মুখোমুখী সংঘর্ষে তিনজন নিহত ও চালকসহ দু’জন গুরুতর আহত হন। নিহতের মধ্যে আর্মড পুলিশের সাবেক সদস্য ও ব্যবসায়ী ছিলেন। গেল বছরের ১৪ অক্টোবর সকালে সোহাগ পরিবহনের একটি বাসের চাপায় পিষ্ট হয়ে যশোরের নওয়াপাড়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক নওয়াপাড়ার স্থানীয় প্রতিনিথি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন নিহত হন। তারআগে, ওই বছরের ১৬ মে দুপুরে বয়রাস্থ বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সামনের রোডের মাহেন্দ্রার ধাক্কায় মোঃ রেজাউল শেখ নামের মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন। আবার, খুলনা বেতারের আঞ্চলিক কেন্দ্রের নিরাপত্তায় কর্মরত এএসআই বাবুল মন্ডল নিজের নিরাপত্তাই দিতে পারেননি! গেল বছরের ১২ ডিসেম্বর বয়রা কলেজ মোড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন তিনি। একই বছরের ৩১ মার্চ বেলা ১১টার দিকে নগরীর দৌলতপুরের বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএ) অফিসের সামনে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় এসআই অঞ্জন কুমার নিহত হন। নগরীর জোড়াগেট থেকে দৌলতপুর পর্যন্ত সড়কটিতে এভাবে প্রতিনিয়তই ঝরছে তাজা রক্ত; ঘটছে প্রাণহানী। ৩৩ দশমিক ৮৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে যশোর-খুলনা মহাসড়কের দক্ষিণপ্রাপ্ত মহানগরীর সবচেয়ে ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ।
নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন (নিসচা) খুলনা জেলার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন বিপ্লব বলেন, “খুলনা-যশোর মহাসড়কের নগরীর মধ্যে ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার অত্যন্ত ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ। এরমধ্যে জোড়াগেট থেকে দৌলতপুর পর্যন্ত রোড ডিভাইডার-ই নেই। ফলে প্রতিনিয়তই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছেই। রোডটি চার লেনে উন্নীত ও ডিভাইডার নির্মাণ করা হলে এ সড়কের দুর্ঘটনায় বহুলাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। প্রয়োজন শুধু মাত্র রোড ডিভাইডারের। আর কত জীবন গেলে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করবেন কর্তৃপক্ষ?”
রোডটি সড়ক ও জনপথের। এ প্রসঙ্গে ওই দপ্তরের খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আমজাদ হোসেন বলেন, “চার লেন না করে তো ডিভাইডার নির্মাণ করা যায় না। আগে চার লেন করতে হবে; তারপর রোড ডিভাইডার। ময়লাপোতা থেকে গল্লামারী সড়কটি চার লেন করার প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠাচ্ছি; এরপর খুলনা-যশোর সড়কটি চার লেনের প্রস্তাব পাঠানো হবে। ডিভাইডার নির্মাণের গুরুত্ব আমরাও বুঝতে পারছি।”



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খুলনা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ