Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জরুরি বৈঠক হচ্ছে জাতিসংঘে

সিরিয়ায় গ্যাস হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে শতাধিক

| প্রকাশের সময় : ৬ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে সম্ভাব্য রাসায়নিক গ্যাস হামলায় বহু হতাহতের পর বিষয়টি নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। গত মঙ্গলবার দেশটির বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইদলিবের খান শেইখৌন শহরে চালানো ওই হামলায় বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকের ডাক দিয়েছে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য। বিবিসি জানিয়েছে, এই হামলার জন্য সিরিয়ার সরকারকে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য বিশ্ব শক্তি। অপরদিকে দামেস্কের কর্মকর্তারা এ ধরনের (রাসায়নিক) কোনো অস্ত্র ব্যবহারের কথা অস্বীকার করেছেন। জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত ম্যাথিউ রাইক্রফট এই হামলাকে সিরিয়ার শান্তির জন্য অত্যন্ত খারাপ খবর বলে মন্তব্য করেছেন। নিউ ইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এটি পরিষ্কারভাবে একটি যুদ্ধাপরাধ। আমি নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের ডাকছি যারা এর আগে সমর্থনের অযোগ্যদের রক্ষা করতে তাদের ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করেছিলেন। এদিকে, গত মঙ্গলবার সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইদলিব প্রদেশে এ গ্যাস হামলায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আক্রান্তদের হাঁপানি, মুখভরে ফেনা ওঠা ও বমি হচ্ছে। তীব্র কষ্টে জীবনের সঙ্গে লড়ছেন অনেকে। সিরিয়ার হাসপাতালগুলোতে তহবিল জোগানদাতা সংস্থা ইউনিয়ন অব মেডিক্যাল কেয়ার অর্গানাইজেশনস এ তথ্য জানিয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ইদলিবের দক্ষিণে খান শেখোউন গ্রামে প্রথমে গ্যাস হামলা চালানো হয়। এরপর সিরিয়ায় স্বেচ্ছাসেবার ভিত্তিতে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হোয়াইট হেলমেটসের খান শেখোউন ও আল-রাহমি হাসপাতালে হামলা চালানো হয়। সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা অন্তত ৪০টি হামলা হতে দেখেছে। ইদলিবে গ্যাস হামলা ও হামায় সামরিক হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। ঘটনাস্থল থেকে ধারণ করা ভিডিও ফুটেজে বেসামরিকদের শ্বাস রোধ হয়ে আসার ও মুখ দিয়ে ফেনা বের হয়ে আসার দৃশ্য দেখা গেছে। তারপর আহতদের যেসব ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল সেখানে বিমান হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। হামলায় কী ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছে তা নিশ্চিত না হওয়া গেলেও সিরিয়ার সরকারবিরোধীরা দাবি করেছে, তাদের বিশ্বাস হামলায় নার্ভ এজেন্ট সারিন গ্যাস ব্যবহার করা হয়েছে।
এদিকে, এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরীয় সরকারের এই জঘন্য কাজের নিন্দা জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন ‘নির্দয়, নির্লজ্জ বর্বরতার’ জন্য সিরীয় সরকারকে দায়ী করছেন। সিরিয়া বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত স্তেফান দ্য মিসতুরা বলেছেন, এটি একটি ভয়াবহ হামলা এবং এই হামলার জন্য দায়ীদের পরিষ্কারভাবে শনাক্ত করে তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। এই হামলার জন্য তাদের বাহিনী দায়ী নয় বলে দাবি করেছে সিরিয়া। আর রাশিয়া জানিয়েছে, ওই এলাকায় তারা কোনো বিমান হামলা চালায়নি। এই হামলার কারণে বেলিজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে হতে যাওয়া একটি সম্মেলন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। রয়টার্স, বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিরিয়া

১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ