Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

মনোহরগঞ্জে কৃষককে ডেকে নিয়ে প্রকাশ্যে হত্যা আ.লীগ নেতাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা স্ত্রীকে হাসপাতাল থেকে তুলে নেয়ার অভিযোগ

| প্রকাশের সময় : ৪ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সংবাদদাতা : কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে রাস্তার মধ্যে প্রকাশ্যে যুবলীগ নেতা সহিদুল ইসলাম সহিদের ছুরিকাঘাতে কৃষক মো.আবদুল বাতেন (৫০) খুন হওয়ার ঘটনায় কুমিল্লার আদালতে মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার মনোহরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদালতের নির্দেশে থানায় মামলাটি রেকর্ড করেছেন। এর আগে রোববার বিকেলে ওই কৃষকের মেয়ে নার্গিস আক্তার বাদী হয়ে কুমিল্লার আদালতে ৫জনকে অভিযুক্ত করে হত্যা মামলাটি করেন। পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করে প্রয়াজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মনোহরগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। মামলায় এ হত্যার ঘটনার মূলহোতা উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য সহিদুল ইসলাম সহিদ, তাঁর বড় ভাই উপজেলা আ.লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ও সউদি আরব রিয়াদ শাখা আ.লীগের সহ-সভাপতি জাকির হোসেন, বাদীর শাশুড়ি নুরজাহান বেগম, দেবর সফিকুল ইসলাম ও নুর আলমকে আসামী করা হয়েছে। গত শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বিপুলাসার ইউনিয়নের বাকরা গ্রামে কৃষক বাতেনের বাড়ির সামনের রাস্তায় প্রকাশ্যে পেটের মধ্যে ছুরিকাঘাত করে তাকে হত্যা করা হয়। ২ ছেলে ও ৪ মেয়ের জনক আবদুল বাতেন ওই গ্রামের মৃত.আবদুর রহমানের পুত্র।
এদিকে, আদালতে মামলা দায়েরের পর থেকেই আওয়ামী লীগ নোত জাকির হোসেনসহ তার লোকেরা মামলা প্রত্যাহারের জন্য বাদীর পরিবারকে বিভিন্ন ধরণের হুমকি ও চাপ প্রয়োগ করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া রোববার বিকেলে আদালতে মামলা করার খবর পেয়ে অভিযুক্তরা নিজেদের বাঁচাতে নিহত কৃষক মো.আবদুল বাতেনের অসুস্থ্য স্ত্রী মঞ্জুয়ারা বেগমসহ (মামলার প্রধান স্বাক্ষী) পরিবারের সদস্যদের কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে থানায় সাজানো একটি মামলা নেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
মামলার বাদী নার্গিস আক্তার অভিযোগ করে বলেন, আমার বাবাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে প্রকাশ্যে হত্যা করা হলো। আসামীরা প্রভাবশালী তাই বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা করেছি। কিন্তু আদালতে মামলা করার খবর পেয়ে নিজেদের রক্ষা করতে আদালতের আদেশ থানায় পৌঁছার আগে জাকির হোসেনের লোকজন আমার অসুস্থ মাসহ পরিবারের সদস্যদের হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে যায়। তারা আমার মা’সহ পরিবারের লোকদের প্রথমে নাথেরপেটুয়া পুলিশ ফাঁড়ি এবং পরে মনোহরগঞ্জ থানায় নিয়ে নিজেদের মনগড়া মামলা নেয়ার চেষ্টা চালায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ