পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : নগরীতে সাতদিন আগে ডিবি (গোয়েন্দা পুলিশ) পরিচয়ে একই পরিবারের তিনজনকে তুলে নিয়ে যাবার অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেছে তাদের পরিবার। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য এর সঙ্গে জড়িত বলে তারা অভিযোগ করেছেন। তিনজন হলেন, পরিবহন ব্যবসায়ী এস এম শফিকুর রহমান এবং তার দুই শ্যালক মো. হাসান তারেক ও মোয়াজ্জেম হোসেন সাথী।
তাদের বাসা নগরীর খুলশি থানার আলফালাহ গলিতে। শফিকুর নগরীর সল্টগোলা ঈশান মিস্ত্রি হাট এলাকার এস এস ট্রান্সপোর্টের মালিক। তারেকের বায়েজিদ এলাকায় টি আর মোবাইল টেকনোলজি নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। তার ভাই মোয়াজ্জেম মধ্যপ্রাচ্য থেকে সদ্য দেশে বেড়াতে এসেছে।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে শফিকুরের স্ত্রী সোলতানা রাজিয়া টুম্পা বলেন, ২৪ মার্চ দুপুরে ৬ জন লোক নিজেদের ডিবি পরিচয় দিয়ে আমাদের বাসায় আসে। ঘরে ঢুকেই তারা তিনজনের আটটি মোবাইল কেড়ে নেয়। এরপর একটি সাদা কাগজে দস্তখত করার জন্য আমার স্বামীর উপর চাপ প্রয়োগ করেন।
দস্তখত দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমার স্বামী ও ভাই মোয়াজ্জেমকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। তারেক মোটর সাইকেল নিয়ে মাইক্রোবাসের পেছনে পেছনে যেতে থাকলে পাঁচলাইশ থানার সামনে থেকে তাকেও মোটর সাইকেলসহ তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
তারেকের মা মিনা বেগম ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, হঠাৎ ছয়জন লোক বাসায় ঢুকে বলে, আমরা ঢাকা থেকে এসেছি। শফিককে একটু আমাদের সঙ্গে যেতে হবে। আমি কোথায় নিয়ে যাবে জানতে চাইলে তারা বলেন, আগ্রাবাদে যেতে হবে। একজন লোককে চিনিয়ে দিয়ে ফিরে আসবে। আমি বললাম, ওকে কেন আপনারা নিয়ে যাবেন। তারা বলল, উনারা একসাথে চলেন। তিনি জানান, শফিকুরের সঙ্গে মোজাম্মেলকেও বের করে মাইক্রোবাসে তোলা হয়। তিনি তাদের পেছন পেছন বের হয়ে দেখেন, মাইক্রোবাসটি ছিল সাদা রংয়ের। তবে নম্বরপ্লেট ছিল না।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২৫ মার্চ খুলশি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। ওইদিন রাতে শফিকুর তার মোবাইল থেকে স্ত্রীর মোবাইলে ফোন করে কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমাদের যারা তুলে নিয়ে এসেছে তারা নাকি সরকারের বিশেষ টিমের লোকজন। আমার এখানে খুব কষ্ট হচ্ছে। আমাদের উপর অমানবিক ও পৈশাচিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে। আমাদের এখান থেকে উদ্ধারের ব্যবস্থা কর।
শফিকুরের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী ও ভাইদের কোন অপরাধ থাকলে দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় বিচার হোক। কিন্তু ছয়দিন ধরে তাদের থানায় সোপর্দ না করে যেভাবে নির্যাতন চালানো হচ্ছে এটা কোন আইনে পড়ে। কোন চিহ্নিত অপরাধীকেও তো এভাবে গুম করে রেখে নির্যাতন চালানো যায় না।
স্বামী শফিকুর দক্ষিণ জেলা শ্রমিক লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করেন তার স্ত্রী টুম্পা। তিনি বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কিছু কিছু লোক এমন এমন বিতর্ক সৃষ্টি করছে যা সরকারের উজ্জ্বল ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
সংবাদ সম্মেলনে তারেকের সন্তান-সম্ভবা স্ত্রী ফৌজিয়া আইনুন নাহার রুমিও উপস্থিত ছিলেন। নিজের স্বামীসহ তুলে নিয়ে যাওয়া তিনজনকে ফিরিয়ে দেয়ার আকুতি জানিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন রুমি। তারেকের বোন বিবি আমেনা রুম্পা সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তুলে নিয়ে যাওয়া পর নগর গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের পরিবার। কিন্তু ডিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তারা কাউকে তুলে নিয়ে যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।