নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : লিওনেল মেসি ছাড়া যে আর্জেন্টিনা সাদামাটা একটা দল সেটা প্রমাণিত হল আবারো। নিষেধাজ্ঞার কারণে ছিলেন না মেসি, বলিভিয়ার কাছে তার দলও হেরেছে ২-০ গোলে। মেসি খেলেছেন এমন ছয় ম্যাচে আর্জেন্টিনা পেয়েছে ১৫ পয়েন্ট, বাকি আট ম্যাচে তাদের অর্জন মাত্র ৭ পয়েন্ট!
লা পাজে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সাড়ে তিন হাজার মিটার উচ্চতায় লড়াই করা এমনিতেই যে কোনো দলের কাছেই একটা চ্যালেঞ্চ। এর আগে ২০১০ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এই মাঠেই ৬-১ গোলে হেরেছিল আর্জেন্টিনা। ২০১৪ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ১-১ ড্র করেছিল মেসির দল। কিন্তু এবার এর সাথে যোগ হয় তাদের সাম্প্রতিক ছন্নছাড়া পারফর্মান্স। সেই সাথে আগে থেকেই দলে ছিলেন না নিকোলাস ওটোমেন্ডি, গঞ্জালো হিগুয়েইন, হাভিয়ের মাচেরানো ও লুকাস বিগলিয়া। মড়ার উপর খাঁরার ঘা হয়ে আসে মেসির নিষেধাজ্ঞ। চিলির বিপক্ষে ১-০ গোলে জয়ের ম্যাচে রেফারির সাথে অসদাচরণের অভিযোগে চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা আসে বিশ্বসেরা তারকার নামে। ম্যাচ শুরু হওয়ার কয়েক ঘন্টা আগে ফিফার পক্ষ থেকে আসে এই ঘোষণা। ফলে নতুনভাবে একাদশ সাজাতে হিমশিম খেতে হয় এদগার্দো বাউজাকে। আর তাতে বাড়তি উদ্দ্যোম পায় বলিভিয়া। সফরকারীদের রক্ষণের দুর্বলতা তো ছিলই। মূলত এই কারণেই হেরেছে এদগার্দো বাউজার দল। বলিভিয়াও দুর্দান্ত খেলেই দুই অর্ধে দু’টি গোল আদায় করে নেয়। বলিভিয়ার হয়ে গোল দু’টি করেন হুয়ান আর্চে ও মার্সেলো মার্টিনস।
আধা ঘণ্টা না পেরুতেই বৈরি উচ্চতায় ক্লান্তির ছাপ প্রকাশ পায় আর্জেন্টিনা দলে। সেই সুযোগে দুর্দান্ত এক হেডে স্বাগতিকদের এদিয়ে নেন আর্চে। এসময় সফরকারী দলের রক্ষণের বেহাল দশাও ছিল চোখে পড়ার মত। এরপর বড় আঘাত হয়ে আসে ফুনেস মোরির হাটুর আঘাত। পলে আরো অরক্ষিত হয়ে পড়ে আর্জেন্টাইন রক্ষণ। দ্বিতীয়ার্ধে মার্টিনসের গোলটা ছিল আর্জেন্টাইন ভক্তদের কাছে আরো দৃষ্টিকটু। একেবারে অরক্ষিত অবস্থায় ছিলেন মার্টিনস। জালে বল পাঠাতেও তাই একদম ভুল করেননি। সেই ২০০৫ সালের পর থেকে আর্জেন্টাইনদের কাছেও অজেয় হয়েই থাকল লা পাজ।
এই হারে রাশিয়া বিশ্বকাপ আরো কঠিন হয়ে পড়েছে আর্জেন্টিনার জন্য। লাতিন অঞ্চলের ১০ দলের বিশ্বকাপ বাছাইও রুপ নিয়েছে জটিল এক সমীকরণে। চার ম্যাচ করে এখনো বাকি। তালিকার আটে থাকা প্যারাগুয়ের সাথে দুইয়ে থাকা কলম্বিয়ার পয়েন্ট ব্যবধান মাত্র ৬। ইতোমধ্যে রাশিয়ার টিকিট পেয়ে গেছে ব্রাজিল। লড়াইটা তাই বাকি সাত দলের।
এই চার ম্যাচে তুলনামূলক সহজ দুই প্রতিপক্ষকে নিজেদের মাঠে পাবে আর্জেন্টিনা। যথাক্রমে দশ ও সাত নম্বর দল ভেনিজুয়েলা ও পেরু। কঠিন দুই প্রতিপক্ষ যথাক্রমে তিন ও ছয়ে থাকা উরুগুয়ে ও ইকুয়েডরের বিপক্ষে নামতে হবে তাদেরই মাঠে। কাজটা তাই আরো কঠিন। এর মধ্যে আবার উরুগুয়ে, ভেনিজুয়েলা ও পেরুর বিপক্ষে খেলতে পারবেন না মেসি। আরো বড় দুঃসংবাদ হল ছন্নছাড়া আর্জেন্টিনা ছাড়া কঠিন কোনো প্রতিপক্ষ নেই উরুগুয়ের সামনে, কলম্বিয়ার সামনেও কেবল ব্রাজিল। বাউজা অবশ্য বিশ্বাস করেন ঘুরে দাঁড়াবে তার দল, ‘আমরা এখনো টিকে আছি এবং আমাদের লক্ষ্য বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করা। জানি এখানে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতা অপেক্ষা করছে। তবে আমরা লড়াই চালিয়ে যাব।’
ইকুয়েডরের প্রায় নয় হাজার ফুট উচ্চতায় লড়াইয়ে ফিরবেন মেসি। কে জানে ১০ অক্টোবরের সেই দিনই হয়তো বিশ্বকাপ টিকিট প্রাপ্তির আনন্দে মাতবে আর্জেন্টিানা। ঠিক যেমন ২০০৯ সালের ১০ অক্টোবর একই আনন্দে মেতেছিলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। বৃষ্টিভেজা মাঠে মেদবহুল ভূড়িতে তার সেই স্লাইডের কথা হয়তো এখনো মনেও থাকবে অনেকের। তবে তার আগে ম্যারাডোনার ভ‚মিকায় থাকা বাউজা এই আসনে থাকবেন কিনা সেটাও একটা বড় প্রশ্ন। দলের বেহাল দশায় তার চাকরিটাও এখন ঝুলছে পেন্ডলামের সুতোয়। যদি দলকে দিশা দেখাতে না পারেন তাহলে ১৯৭০ সালের পর হয়ত আবারো আর্জেন্টিাকে ছাড়াই অনুষ্ঠিত হবে ফুটবল বিশ্বকাপ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।