বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঢাকাÑবেনাপোল ভায়া ভাঙ্গা-লোহাগড়া-নড়াইল-যশোর মহাসড়কের কালনা পয়েন্টে মধুমতি নদীর উপর নির্মিত মধুমতি সেতু চালু হলেও সংশ্লিষ্ট মহাসড়কের কালনা ঘাট থেকে যশোরের মনিহার সিনেমা হল পর্যন্ত অংশটি প্রশস্তকরণের কাজ এখনও শুরু হয়নি। মহাসড়কের এই ৫৩ কিলোমিটার রাস্তার অধিকাংশই ১৮ ফুট প্রশস্ত। বিদ্যমান ১৮ ফুট সড়কের সাথে আরো ৬ ফুট প্রশস্তকরণের সিদ্ধান্ত হলেও তা বাস্তবায়নের কাজ এখনও শুরু হয়নি। ফলে মধুমতি সেতু চালু হলেও অপ্রশস্ত সড়কের কারণে এ অঞ্চলের মানুষ এই সেতুর পুরোপুরি সুফল পাচ্ছে না।
এদিকে ছয়লেনের দৃষ্টিনন্দন এই সেতু যানচলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার পর থেকে সেতুর উপর দর্শণার্থীদের উপচেপড়া ভীড় হচ্ছে। দর্শণার্থীরা কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে মূল সড়কের উপর যানবাহন থামিয়ে আনন্দ উল্লাসে মাতোয়ারা হচ্ছে। শত শত মানুষ সেতু দেখার জণ্য মুল সেতুতে উঠে নিয়ন্ত্রহীন ভাবে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলছে। পাশ দিয়ে বেপরোয়া গতিতে বাস-ট্রাক যাচ্ছে সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই। দর্শণার্থীদের যানবাহনের ভীড়ে মাঝে মাঝে লক্ষিপাশা থেকে কালনা পর্যন্ত ৪/৫ কিলোমিটার পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। কালনা সেতুর পশ্চিম পারে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা এবং পূর্ব পারে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলা। সরেজমিন গিয়ে সেতুর উপর বেপরোয়া চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রশাসনের কোন নজরদারী দেখা যায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান- দুই থানার সীমান্তবর্তী এলাকায় সেতু হওয়ায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব কোন থানার তা এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি। পদ্মা সেতুর চেয়ে দুই লেন বেশি প্রশস্ত এবং দেশের প্রথম ছয় লেন এই কালনা সেতু চালুর পর লোহাগড়া নড়াইলসহ যশোর সাতক্ষীরা ও বেনাপোল থেকে ঢাকাগামী যানবাহন মাগুরা-ফরিদপুর দৌলতদিয়া আরিচা পার হয়ে যাতায়াতের পরিবর্তে কালনা সেতু পার হয়ে সংক্ষিপ্ত পথেই ঢাকা যাচ্ছে। এছাড়া স্থল বন্দর বেনাপোলের আমদানী-রফতানি পণ্যাদিও এই সেতু দিয়ে হচ্ছে। সঙ্গত কারণেই অপ্রশস্ত এই মহাসড়কে কয়েকগুন বেশি যানবাহন চলাচল করছে। অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে সংশ্লিষ্ট মহাসড়কে সর্বদা যানজটসহ নানা ভোগান্তি লেগেই আছে। মধুমতি সেতুর প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোঃ আশরাফুজ্জামান জানান-সব বাঁধা পেরিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গত ১০ অক্টোবর মধুমতি সেতুর উদ্বোধন করেছেন। সেতুর উপর দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়েছে। রাস্তার কাজও শীঘ্রই শুরু হবে। এই কাজের অংশ হিসাবে রাস্তার দুই পাশের গাছ কাটার কাজ চলমান।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।