Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঐতিহাসিক ব্রেক্সিট শুরু, চিঠিতে স্বাক্ষর করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

| প্রকাশের সময় : ৩০ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ঐতিহাসিক ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া শুরুর চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাস্কের কাছে তা হস্তান্তর করার কথা। চিঠিটি ইউরোপীয় ইউনিয়নে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত স্যার টিম ব্যারো তুলে দেবেন। ডনাল্ড ট্রাস্কের হাতে চিঠিটি পৌঁছার পরই শুরু হবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বৃটেনকে বের করে আনার সমঝোতা বা দেনদরবার। কার্যত এর মধ্য দিয়েই শুরু হয়ে গেল ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া। এখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র সামনে দু’বছর সময়। এর মধ্যেই তাকে সব দেনদরবার সারতে হবে। যদি এ সময়ে দু’পক্ষ কোনো সমঝোতায় আসতে ব্যর্থ হয় তাহলে উভয়পক্ষ সময় বাড়াতে সম্মত হতে পারে। যদি তা না হয় তাহলে ২০১৯ সালের ২৯শে মার্চ ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিদায় নেবে যুক্তরাজ্য। এ নিয়ে ব্রিটিশ মিডিয়াজুড়ে খবর। সেখানে সর্বাধিক গুরুত্ব পেয়েছে এ বিষয়টি। একই সঙ্গে বিশ্বজুড়েও রয়েছে এ বিষয়ে আগ্রহ। কারণ, এ প্রক্রিয়ায় বিশ্ব অর্থনীতিতেও প্রভাব পড়তে পারে। হাউজ অব কমন্সে একটি বিবৃতি দেয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী মে’র। তিনি এতে বলবেন, এখন সময় সারাদেশকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার। মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে তার সভাপতিত্ব করার কথা। তারপরই তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্য তথা বৃটেনের প্রস্থানের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন। এর মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে লিসবন চুক্তির ৫০ অনুচ্ছেদ সক্রিয় করলেন। এখন পরবর্তীতে কি হতে যাচ্ছে তার একটি সম্ভাব্য তালিকা পাওয়া গেছে নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইটগুলোতে। তাতে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (বৃটেন বাদে) ২৭টি দেশের নেতারা বৃটেনের সঙ্গে সমঝোতার জন্য ইউরোপীয় কমিশনকে অনুমতি দেয়ার ক্ষেত্রে তাদের সম্মতি জানাতে সম্মেলন আহ্বান করতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের এসব নেতা যে ম্যান্ডেট দেবেন তার ওপর ভিত্তি করে মে মাসে সমঝোতার গাইডলাইন প্রকাশ করবে ইউরোপীয় কমিশন। এ সময় ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বৃটেনের মধ্যে ভবিষ্যৎ বাণিজ্যিক চুক্তির বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। এরপর মে/জুন মাসেই শুরু হবে সমঝোতা প্রক্রিয়া। এরই মধ্যে ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। জার্মানিতে পার্লামেন্ট নির্বাচন। ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রভাবশালী এ দুটি দেশ তাদের নির্বাচন নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত থাকবে। এ বছরের শরৎকালে ব্রিটিশ সরকার ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের জন্য একটি আইন প্রণয়ন করবে এবং বিদ্যমান ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইনগুলো ব্রিটিশ আইনে প্রতিস্থাপন করবে। এ বিষয়ে যে বিল আনা হবে তা হলো দ্য গ্রেট রিপিল বিল। ২০১৮ সালের অক্টোবরের মধ্যে সমঝোতা শেষ করে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। এ বিষয়ে যেকোনো চুক্তির বিষয়ে ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের মার্চের মধ্যে হাউজেস অব পার্লামেন্ট, ইউরোপীয়ান কাউন্সিল ও ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টে ভোট হবে। বিবিসি, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঐতিহাসিক

৬ ডিসেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ