Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খুলনায় মনা মুন্সী হত্যা মামলায় ৪ আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানা

| প্রকাশের সময় : ২৮ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

খুলনা ব্যুরো : খুলনা মহানগরীর ময়লাপোতা এলাকার ডিম ব্যবসায়ী মো. মনা মুন্সীর হত্যা মামলায় চার আসামির প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে মোট এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে আদালত। গতকাল সোমবার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এসএম সোলায়মান এ ঘোষণা করেন। এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহতের ছেলে ও মামলার বাদি মো. আলাউদ্দিন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হল আবুল কাশেম ব্যাপারী, তার ছেলে আব্দুল হান্নান ব্যাপারী ও আকরাম ব্যাপারী এবং পৌত্র হাসান ব্যাপারী। তাৎক্ষনিকভাবে আদালতে দন্ডের অর্থ এক লাখ টাকা জমা দিয়ে দন্ডপ্রাপ্তরা মুক্তি পান।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, ২০১০ সালের ১৬ অক্টোবর নগরীর ময়লাপোতা এলাকার হরিজন কলোনির সামনে মনা মুন্সী ডিম বিক্রি করছিলেন। এসময় একই এলাকার বাবু তার কাছে ডিম কিনতে যায়, কিন্তু তার কাছে ডিম বিক্রি না করায় মো. মনা মুন্সীকে দুই দফা মারধর করে তারা। গুরুতর অবস্থায় মনা মুন্সীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এঘটনায় নিহতের ছেলে মো. আলাউদ্দিন বাদি হয়ে কাশেম, আকরাম, হাসান, হান্নান ও তাছলি বেগমকে আসামি করে সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা করেন। মামলা করার কয়েকদিন পর পুলিশ আকরাম ও তাছলিকে গ্রেফতার করলেও পরে তাছলি আদালত থেকে জামিন পান। অন্য আসামিরা গ্রেফতার না হওয়ায় আতঙ্কিত ছিল নিহতের পরিবার। নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ইতিপূর্বে থানায় জিডি ও সংবাদ সম্মেলন করেছিল নিহতের ছেলে ও মামলা বাদি। এ অবস্থায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। আদালকে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি আরিফ মাহমুদ লিটন এবং আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাড. মো রেজাউল ইসলাম। নিহতের ছেলে ও মামলার বাদি মো. আলাউদ্দিন বলেন, “আমার আব্বাকে ওরা প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করলো, তার শাস্তি হল শুধু মাত্র ২৫ হাজার টাকার জরিমানা। মানুষের জীবন এতোই সস্তা হয়ে গেল!”
অস্ত্র মামলায় দুই জনের কারাদন্ড
খুলনায় অস্ত্র মামলায় দুই আসামির ১৭বছর করে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে খুলনার জননিরাপত্তা বিঘœকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এসএম সোলায়মান এ রায় ঘোষণা করেন। আসামিরা হল- মহানগরীর দৌলতপুর পাবলা দফাদারপাড়ার মো. শেখ জহুর ইসলামের ছেলে মো. শেখ সুমন (২৪) ও গাইকুড় এলাকার মৃত আবু সেলিম খানের ছেলে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড নামক ওষুধ কোম্পানির খুলনার এ্যাসিসটেন্ট অফিসার (ডিস্ট্রিবিউশন) নাহিদ নেওয়াজ খান খিরু (৩৩)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালের ১ সেপ্টেম্বর খুলনা মহানগরীর দৌলতপুর থানার দেয়ানা পশ্চিমপাড়া থেকে একটি পিস্তল ও এক রাউন্ড গুলিসহ শেখ সুমন ও নাহিদ নেওয়াজ খান খিরুকে গ্রেফতার করেছিল র‌্যাব-৬।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খুলনা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ