নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : একটি টেস্ট ম্যাচ যেন বদলে দিয়েছে দুই দেশের ক্রিকেকটীয় সত্তাকেই! কলম্বোর পি সারা ওভালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে নিজেদের শততম টেস্টের উপলক্ষটা জয় দিয়ে রাঙিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ। আর এই ম্যাচে হারের পর শ্রীলঙ্কার ইংরেজি দৈনিক দ্য আইল্যান্ড একটা ‘অবিচুরি’ পর্যন্ত প্রকাশ করে। যেখানে এই হারটাকে দেখানো হয় ‘শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটের মৃত্যু’ হিসেবে! কেটে গেছে বেশ ক’টা দিন। টেস্ট সিরিজের পর ওয়ানডে সিরিজেও দুর্দান্ত বাংলাদেশ প্রথমটিতে জিতে নিয়েছে ৯০ রানের বিশাল ব্যবধানে। তবে এখনও যেন সেই ঘোর থেকে যেন বেরুতেই পারছে না লঙ্কান মিডিয়া।
বাংলাদেশের ঐতিহাসিক টেস্টে শ্রীলঙ্কার হারের পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি না, সেটি খতিয়ে দেখতে শ্রীলঙ্কান এক টেস্ট ক্রিকেটারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী ইউনিট (আকসু)। শ্রীলঙ্কান সংবাদপত্র দ্য সানডে টাইমস এমন খবরই প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রীলঙ্কা টেস্ট দলের এক খেলোয়াড়ের কাছে আসা ফোন কলের সূত্র ধরে তদন্ত করা হচ্ছে। ফোনটি যুক্তরাষ্ট্রে থাকা এক ক্রিকেট ভক্তের কাছ থেকে এসেছিল। এর সত্যতা জানিয়ে আইসিসির তদন্ত কর্মকর্তা লক্ষণ ডি সিলভা বলেছেন, ‘হ্যাঁ, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা একটি ফোন কলের বিষয়ে শ্রীলঙ্কা দলের এক ক্রিকেটারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি আমরা। টেস্ট শেষ হতেই তার সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে।’ তবে এ ব্যাপারে এখনো আপত্তিকর কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানান ডি সিলভা, ‘এখনো আপত্তিকর কিছু পাওয়া যায়নি। তবে আমরা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি যে, ফোনটি কে করেছিল এবং সেখানে কোনো অর্থের লেনদেন বা আরো বড় কোনো ঘটনা ঘটেছে কি না।’
শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের দুর্নীতির ঘটনা খুব একটা নেই জানিয়ে ডি সিলভা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কানদের দুর্নীতির ঘটনা একেবারেই কম। তবে আমরা জানি কিছু মানুষ বল বাই বল জুয়া খেলে, এমন কিছু লোককে সম্প্রতি স্টেডিয়াম থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাদের সংখ্যা বাড়ছে।’ তবে এ ঘটনার সঙ্গে একজনের বেশি ক্রিকেটারের জড়িত থাকার বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছেন ডি সিলভা। এর আগে ২০১০ সালে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডেতে বীরেন্দর শেবাগকে সেঞ্চুরি-বঞ্চিত রাখতে ইচ্ছে করে নো বল করেছিলেন শ্রীলঙ্কান অফ স্পিনার সুরাজ রানদিভ। ওই ঘটনায় তাকে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ ও ওই কাজে তাকে প্ররোচিত করার জন্য তিলকাত্নে দিলশানকে জরিমানা করা হয় এবং ওই ম্যাচের অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারাকে করা হয় সতর্ক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।