Inqilab Logo

বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিশ্ব নিদ্রা দিবসের সেমিনারে বক্তারা প্রশান্তির ঘুমের জন্য প্রয়োজন পরিমিত আহার

| প্রকাশের সময় : ২৮ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ‘প্রতিদিন একজন মানুষের ছয় পথকে সাত ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। এই নির্দিষ্ট ঘুম হলে আমরা সুস্থ অনুভুতি নিয়ে দিনের শুরু করতে পারি। তবে প্রশান্তির ঘুমের জন্য প্রয়োজন পরিমিত আহার, কম ওজন ও নাক ডাকা বন্ধ করা। ঘুম গভীর হলে, সুস্থ থাকবেন এবং হৃদরোগসহ নানা পরাগের ঝুঁকি কমবে। গতকাল সোমবার রাজধানীর হলিফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মিলনায়তনে বিশ্ব নিদ্রা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এসব কথা বলেন। ‘অ্যাসোসিয়েশন অব সার্জন ফর সিøপ অ্যাপনিয়া বাংলাদেশ’ এই সেমিনারের আয়োজন করে। সুনিদ্রার গুরুত্ব বোঝাতে ২০০৮ সাল থেকে মার্চ মাসে সারা বিশ্বে ঘুম দিবস পালন করে আসছে সংগঠনটি। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর ২৭ মার্চ বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৮০টি দেশে এই নিদ্র দিবস পালিত হচ্ছে।
সেমিনারে চিকিৎসকরা জানান, অতিরিক্ত ওজনের কারণে মূলত মানুষ নাক ডাকে। যে কারণে আমাদের পরিমিত আহার করতে হবে, যাতে ওজন ঠিক থাকে। এ ছাড়া ধূমপান ও মদ্যপান না করলে ঘুম ভালো হয়। তবে রাতে খাওয়ার পরপরই ঘুমাতে না যাওয়ার পরামর্শও দেন চিকিৎসকরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন এই দিবস পালনের জন্যে আয়োজক সংগঠনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, প্রতিদিন ছয় থেকে সাত ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। নির্দিষ্ট ঘুম হলে প্রতিদিন সকালে আমরা সুস্থ অনুভূতি নিয়ে দিনের শুরু করতে পারি। নয়তো নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি ইকবাল আর্সলান প্রশান্তির ঘুম এবং এ-সংক্রান্ত বিষয়গুলো জাতীয় স্বাস্থ্য কৌশলপত্রে অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন।
জাতীয় নাক কান গলা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক প্রফেসর মো. আবদুল্লাহ বলেন, ভালো নিদ্রা না হলে নানা সমস্যা দেখা দেয়। এ বিষয়গুলো সাধারণ মানুষকে জানানো দরকার।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি প্রফেসর খোরশেদ আলম মজুমদার সভাপতির বক্তব্যে বলেন, গভীর ঘুম বা ভালো ঘুম না হলে শরীর ও মনে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া অনিদ্রার কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ জন্য আমাদের সবারই প্রশান্তির ঘুম দরকার।
সংগঠনের মহাসচিব এবং স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের ইএনটি অ্যান্ড হেড নেক সার্জারি বিভাগের প্রধান প্রফেসর মনিলাল আইচ বলেন, ওষুধের মাধ্যমে ও শল্যচিকিৎসায় নাক ডাকার সমস্যা দূর করা সম্ভব। তবে নিদ্রাকালীন শ্বাসরুদ্ধতা নাক ডাকার অন্যতম কারণ, এতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন, হলি ফ্যামিলি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ দৌলতুজ্জামান, প্রফেসর সাখাওয়াত আলী, ইউসুফ কবির ও জহরুল হক প্রমুখ। সেমিনার শুরুর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সকাল সাড়ে আটটায় একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে শেষ হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিশ্ব

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ