Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফরিদগঞ্জে অপারেশনের সময় নবজাতকের পেট কেটে হত্যার অভিযোগ

| প্রকাশের সময় : ২৪ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) উপজেলা সংবাদদাতা: উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের দায়চারা গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রী খাদিজা (২০) এর প্রসব বেদনা উঠলে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করার জন্য সেন্ট্রাল হাসপাতাল ফরিদগঞ্জ নামে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে আসে তার মা সাজেদা বেগমসহ আত্মীয়-স্বজনরা। কোন কিছু বুঝার আগেই হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষ ও কর্তব্যরত ডাক্তার দ্রুত সিজারের কথা বলে। সিজারের পর পরই হাসপাতালের কর্মকর্তারা শিশুটি মৃত জন্ম হয়েছে, তাই দ্রুত বাড়িতে নিয়ে যান এই কথা শুনে নবজাতকের পরিবার শিশুটির মা’কে হাসপাতালে রেখে শিশুটিকে প্যাকেটজাত করে তাদের হাতে তুলে দেয়। সকালে শিশুটিকে দাফন করার জন্য প্যাকেট খুললে দেখতে পায় ভিন্ন চিত্র। নবজাতকের পেটের নাড়িভুঁড়ি ও কলিজা বের হওয়া। পাশে পড়ে রয়েছে সিজারের কাজে ব্যবহৃত কাচিসহ আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি। ভুক্তভোগীদের দাবী ডাক্তার সিজার করার সময় শিশুটির কলিজাসহ পেট কেটে ফেলে। বুধবার রাতে উপজেলা সদরের সেন্ট্রাল হাসপাতালে সিজার করার সময় এই ঘটনা ঘটে। ক্ষুব্ধ লোকজন হাসপাতালটি ঘিরে ভাংচুরের চেষ্টা করলে পুলিশ এসে তা নিয়ন্ত্রণে আনে। সংবাদ পেয়ে চাঁদপুর পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নবজাতকের নানী সাজেদা বেগম জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দ্রুত সিজারের পরামর্শ দেয়। রাত ১১টায় হাসপাতালের গাইনী চিকিৎসক ডা: মাহমুদা সিজারিয়ান অপারেশন করেন। সিজারিয়ান অপারেশন শেষে হাসপাতালের কর্মকর্তারা শিশুটি মৃত ভূমিষ্ঠ হয়েছে বলে জানিয়ে প্যাকেটজাত অবস্থায় শিশুটির লাশ দ্রুত তাদের কাছে দিয়ে বাড়ি নিয়ে যেতে বলেন। সকালে শিশুটিকে দাফন করার জন্য প্যাকেট খুললে এই অবস্থা দেখতে পান। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে শিশুটির অবস্থা দেখে তারা শিশুটিকে ফরিদগঞ্জ থানায় নিয়ে আসেন।
ডাক্তার মাহমুদা জানান, শিশুটি জন্ম হওয়ার সময় পরিপূর্ণতা নিয়ে আসেনি। তার পেটের ওয়াল ছিল না। ফলে পেটের ভিতরের সব কিছু বের হয়ে গেছে। পুলিশ সুপার সামছুন্নাহার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের জানান, শিশু মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে এসেছেন। অপরাধ হয়ে থাকলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম জানান, মামলার প্রস্তুতি চলছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাসপাতাল থেকে ৩ জনকে থানায় নিয়ে আসা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অভিযোগ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ