পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
আসলাম পারভেজ, হাটহাজারী : সময় সময় পরিবর্তন হয় সমাজ। সমাজ পরিবর্তনের পাশাপাশি সমাজ থেকে হারিয়ে যায় প্রাচীনকালের কিছু ঐতিহ্য। সে ঐতিহ্যের মধ্যে বর্তমান গ্রামবাংলা ও গ্রামীণ জনপদ হতে হারিয়ে গেছে হুঁক্কা। এককালে বাংলার শ্রমিক থেকে শুরু করে কৃষক ও দিনমজুররা ঘরে ঘরে কাজের ফাঁকে হড় হড় করে তামাক আর টিক্কার মধ্যে আগুন লাগিয়ে হুঁক্কা ঠানতেন। ফলে তারা কাজের পরিশ্রমের ক্লান্তি কাটিয়ে তৃপ্ত হতেন। হুঁক্কা বিভিন্ন প্রকার ছিল আগেকার দিনে। কিন্তু সে হুঁক্কার দিন আজ আর নেই। আগের দিনে হুঁক্কার প্রচলন বেশি থাকলেও বর্তমানে নেই। বর্তমান যুগে বিড়ি-সিগারেট বের হওয়ার কারণে হুঁক্কার জামানা চলে যায়। আবার এমনও ছিল তখনকার লোকেরা হুক্কা না টানলে তাদের পেট পরিষ্কার হয় না। আগের যুগে হুঁক্কার পানিও প্রতি সপ্তাহে একবার পরিবর্তন করতে হত। হুঁক্কার প্রচলন দেশের গ্রামাঞ্চল থেকে হারিয়ে গেলেও কিন্তু এখনো মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রয়েছে। আমাদের দেশে বিশেষ করে কৃষক, শ্রমিক ও দিনমজুররা হুঁক্কার কলকির উপর তামাকের টিক্কা দিয়ে হুঁক্কা টানত। কিন্তু বিভিন্ন দেশের লোকেরা হুঁক্কার প্রতি এখনো হুজুগি ছিল। তাদের আপেল দিয়ে হুঁক্কা টানতে দেখা যায়। আপেলগুলো ছোট ছোট টুকরা টুকরা করে হুঁক্কার কলকির উপর রেখে প্লাস্টিকের পাতলা এক রকম বস্তু দিয়ে ঢেকে হুঁক্কা টানে। এই বাংলার হুঁক্কা টেনে অনেকেই আলাদা আনন্দ পেত। বিড়ি-সিগারেটের চেয়ে হুঁক্কার ধূমপান স্বাস্থ্যের ক্ষতি কম বলে মনে করেন অনেকেই। কাঠের হুঁক্কা, বাঁশের হুঁক্কা ও নারিকেলের মালা দিয়ে প্রাচীনকালে হুঁক্কা তৈরি হতো। তবে বাঙালিদের কাছে প্রিয় হলো নারিকেলের মালা দিয়ে যে হুঁক্কা তৈরি হয় সেটা। পাহাড়িদের প্রিয় বাঁশের হুঁক্কা।
বর্তমান যুগে হুঁক্কার প্রচলন না থাকলেও হুক্কা ব্যবহারকারী এক বৃদ্ধের সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে বিভিন্ন কোম্পানির বিড়ি-সিগারেট প্রতিযোগিতামূলকভাবে বের করার কারণে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো হাটহাজারী থেকে হুঁক্কার প্রচলন হারিয়ে গেছে। তবে এখনো দেশের তিন পার্বত্য এলাকার কিছু কিছু বৃদ্ধ লোক তাদের ঐতিহ্য ধরে রেখে এখনো বাঁশের হুঁক্কা ব্যবহার করে আসছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।