Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সেই দক্ষিণাঞ্চলকে হারিয়ে মধ্যাঞ্চলের আরেকটি শিরোপা উল্লাস

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০৪ এএম

মূল কাজটা প্রথম ইনিংসেই সেরে ফেলেছিলেন ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলের বোলাররা। কন্ডিশন ও উইকেটের সুবিধা নিয়ে বিসিবি দক্ষিণাঞ্চলকে মাত্র ১৬৩ রানে বেঁধে ফেলেন সৌম্য-মোসাদ্দেকরা। ইনডিপেনডেন্স কাপের শিরোপা জয় মধ্যাঞ্চলের জন্য তখন শুধুই সময়ের ব্যাপার। দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে খেলা জাতীয় দলের বোলাররা দ্রুত কিছু উইকেট নিয়েও মধ্যাঞ্চলের জয় থামাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৭ ওভার ৩ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয়ে শিরোপা উল্লাসে মেতেছে মধ্যাঞ্চল।

ফাইনালের ঠিক আগেই দেখা হয়েছিল দুই দলের। লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে। বল হাতে মুস্তাফিজুর রহমান ও ব্যাট হাতে তৌহিদ হৃদয় জ্বলে ওঠায় মধ্যাঞ্চলকে হারিয়েছিল দক্ষিণাঞ্চল। কিন্তু শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে খুঁজে পাওয়া গেল না তাদের। হতাশ করল তাদের সতীর্থরাও। মামুলি লক্ষ্য তাড়ায় অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স ও আল-আমিনের হাফসেঞ্চুরিতে স্বাধীনতা কাপে চ্যাম্পিয়ন হলো মধ্যাঞ্চল।
গতকাল সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দক্ষিণাঞ্চলকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে মধ্যাঞ্চল। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরুর পরও দক্ষিণাঞ্চল ৪৮.৫ ওভারে গুটিয়ে যায় মাত্র ১৬৩ রানে। জবাবে ৪২.৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান তুলে শিরোপা ঘরে তোলে মধ্যাঞ্চল।
দলটির দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মিজানুর রহমান ও সৌম্য সরকার ভালো শুরু এনে দেন। দুজন মিলে ৬৫ রান যোগ করে বাকিদের কাজটা সহজ করে দেন। কিন্তু জাতীয় দলের বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদের এক স্পেলে চোখের পলকে ৩ উইকেট হারায় মধ্যাঞ্চল। আরেক স্পিনার মেহেদী হাসান ১ উইকেট নিলে ১১ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে দলটি। তবে এরপর আর উইকেট পড়তে দেননি অধিনায়ক মোসাদ্দেক ও আল আমিন জুনিয়র। দুজনের ৮৮ রানের অবিচ্ছিনড়ব জুটি শিরোপা জেতায় মধ্যাঞ্চলকে। ৬৯ বল খেলে ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন আল আমিন। ৮৫ বলে ৩৩ রানের ইনিংস এসেছে অধিনায়ক মোসাদ্দেকের ব্যাট থেকে। জয়সূচক রানটিও এসেছে তার ব্যাট থেকে। ৪৩তম ওভারে ফরহাদ রেজার বল কাভারে ঠেলে মোসাদ্দেক এক রান নিয়েই শিরোপা জয়ের উল্লাসে মেতেছেন মধ্যাঞ্চলের ক্রিকেটাররা। ১০ ওভার ৩২ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট দক্ষিণাঞ্চলের নাসুমের। সমান সংখ্যক রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন আগের ম্যাচেই দ্যুতি ছড়ানো তারকা পেসার মুস্তাফিজ।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু পেলেও বড় রান পায়নি দক্ষিণাঞ্চল। মধ্যাঞ্চলের বাঁহাতি স্পিন আর মিডিয়াম পেসের বিপক্ষে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ৪৮ ওভার ৫ বলে ১৬৩ রান করে দলটি। উদ্বোধনী জুটিতে ৫১ রান তোলেন পিনাক ঘোষ ও এনামুল হক বিজয়। দ্বাদশ ওভারে এই জুটি ভাঙেন বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু। এলবিডব্লিউ হয়ে বিজয় ফেরেন ৩৪ বলে ২০ রান করে। তার বিদায়ে খেই হারায় দলটি। অল্প সময়ের মধ্যে বিদায় নেন পিনাক ও হৃদয়। ৪৭ বলে ৩৫ রান করে পিনাক হন সৌম্য সরকারের শিকার। হৃদয় খুলতে পারেননি রানের খাতা।
চতুর্থ উইকেটে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন অমিত হাসান ও অধিনায়ক জাকির হাসান। কিন্তু তাদের জুটিকে এগোতে দেননি মোসাদ্দেক। দুজনকেই পরপর দুই ওভারে ফেরান তিনি। জাকির ২৬ বলে ১৪ ও অমিত ৬১ বলে ২৯ রান করেন। তারা আউট হওয়ার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় দক্ষিণাঞ্চল। কেবল নাহিদুল ইসলাম লড়াই করতে পারেন ব্যাট হাতে। তিনি করেন ৪৮ বলে ৩১ রান। মধ্যাঞ্চলের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মোসাদ্দেক, সৌম্য, নাজমুল, মুরাদ ও মৃত্যুঞ্জয়।
৫০ ওভারের এই লিস্ট ‘এ’ টুর্নামেন্টের আগে চার দিনের প্রথম শ্রেণির ঘরোয়া আসর বিসিএলেও মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই দল। ওই লড়াইয়েও শুভাগত হোমের জোড়া সেঞ্চুরিতে দক্ষিণাঞ্চলকে ৪ উইকেটে হারিয়ে সেবারও চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মধ্যাঞ্চল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দক্ষিণাঞ্চলকে হারিয়ে মধ্যাঞ্চলের আরেকটি শিরোপা উল্লাস
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ