বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কক্সবাজার অফিস : পর্যটন শহর কক্সাবজারকে পানিবদ্ধতা ও কাদামুক্ত করতে অভিযান শুরু করেছে কক্সবাজার পৌরসভা। অভিযানে প্রথম দিনে গতকাল বৃহস্পতিবার নালা দখল করে গড়ে তোলা ১৪ টি স্থাপনার অবৈধ অংশ ভেঙেফেলা হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত মেয়র মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে বৌদ্ধমন্দির সড়ক ও বাজারঘাটায় এই অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে ভাঙা হয়েছে নালা দখল করে গড়ে তোলা বহুল আলোচিত আবু সেন্টার ও আজিজ টাওয়ার, রাবেয়া কুঠির, হোটেল শাহেরাজ ও রেস্তোরাঁ, তার পূর্বের একটি টিনের দোকান, আহমদিয়া ভবন হোটেল সীহার্টের পূর্বের একটি টিনের দোকানের অবৈধ অংশ ভেঙে দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে বৌদ্ধমন্দির সম্মুখস্থ দিপালী ভবন, বৌদ্ধমন্দির সড়কের মাহতাবের মালিকানাধীন ভবন কক্সবাজার বিল্ডার্স, ছালামত উল্লাহ সড়কের সাজ্জাদ ইলেকট্রিকের গোডাউন, জাফর প্লাজা, সাধু বহদ্দারের বসতবাড়ির একাংশ ও সীমানা দেওয়াল ও আনোয়ারের মরিচমিল’র কিছু অংশ ভাঙা পর অবশিষ্টগুলো মালিক পক্ষ নিজেরা ভাঙার জিম্মা নেন। মুচলেকা নিয়ে তাদেরকে নিজ উদ্যোগে আগামী ৩০ মার্চের মধ্যে ভেঙে নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ভেঙে না নিলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে এবং পৌরসভা নিজ উদ্যোগে ভেঙে ফেলবে জানানো হয়।
ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী অভিযানকালে সাংবাদিককের জানান, অভিযানের প্রথম দিনে সাতটি স্থাপনার অবৈধ অংশ পুরোপুরি ভেঙে ফেলা হয়েছে। আরো সাতটি স্থাপনার মালিকেরা নিজেরা ভেঙে ফেলার জিম্মা নিয়েছেন। তবে সেসব স্থাপনাগুলোতেও কিছু কিছু অংশ ভাঙা হয়েছে। লিখিত মুচলেকা নিয়ে তাদেরকে আগামী ৩০ মার্চ পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে।
উচ্ছেদ অভিযানে মেয়র ছাড়াও কয়েক কাউন্সিলর, পৌরসভার প্রধান নির্বাহী, সচিব রাসেল চৌধুরী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা খোরশেদ আলমসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নিয়েছেন। উচ্ছেদ কার্যকমে কাজ করছে ৩০ জনের অধিক শ্রমিক। সেই সাথে কাটার মেশিন, ড্রিইল মেশিন ও বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।