নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা, কলম্বো (শ্রীলঙ্কা) থেকে : ডারবানে টেস্ট ক্যারিয়ারের অভিষেকে উভয় ইনিংসে ফিফটিতে (৫৮ও ৫৪), দিয়েছিলেন আগমনী বার্তা চান্দিমাল। মিডল অর্ডারে ভবিষ্যতের ডি সিলভা, মাহেলা জয়বর্ধনের যোগ্য এই উত্তরসূরিকে প্রথম সেঞ্চুরির জন্য অপেক্ষায় থাততে হয়েছে ১১তম ইনিংস পর্যন্ত। অধরায় থাকা টেস্ট সেঞ্চুরি ধরা দিয়েছে তার গলে, ২০১৩ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে। এই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করতে নেমেই পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা! গল এ ৪ বছর আগে ১১৬ নট আউট, প্রেমাদাসায় ফিরতি ম্যাচে ১০২! ২০১৪ সালে চট্টগ্রাম টেস্টে ১০০ নট আউটের পর গতকাল পি সারায় ১৩৮! টেস্ট ক্যারিয়ারে ৮ সেঞ্চুরির ৪টিই বাংলাদেশের বিপক্ষে! ক্যারিয়ার গড় যেখানে ৪২.৯৬, সেখানে বাংলাদেশের বিপক্ষে গড় ১১৫.৬০ ভাবুন তো।
ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি যার বাংলাদেশের বিপক্ষে,এই প্রতিপক্ষকে পেলে তো তিনি একটু বেশিই চাঙ্গা হবেন। হয়েছেনও। সর্বশেষ দ.আফ্রিকা সফরে তিন টেস্টের একটিতেও নেই যার ফিফটি, সেই চান্দিমাল বাংলাদেশকে পেয়ে ব্যাটিংটা ঝালাই করে নিয়েছেন। মোরাতুয়ায় সিরিজ শুরুর আগে একমাত্র ২দিনের অনুশীলন ম্যাচে ১৯০ নট আউট, তাতেই দ.আফ্রিকা সফরের হতাশা ভুলে নতুনভাবে নিজেকে চেনানোর প্রেরণা পেয়েছেন। গল এ দ্বিতীয় ইনিংসে ৫০ নট আউটে সে আভাসই দিয়েছেন। বাংলাদেশের শততম টেস্টে শ্রীলংকাকে প্রথম ২ দিনে ম্যাচে রেখেছেন এই মিডল অর্ডারই। স্কোরশিটে ৩৫ উঠতে নেই শ্রীলংকার প্রথম তিন ব্যাটসম্যান,সেখান থেকে দলকে একাই নিয়েছেন টেনে। ৫ম জুটিতে ধনঞ্জয়ের সঙ্গে ৬৬ রানে দিয়েছেন নেতৃত্ব, হেরাথের সঙ্গে ৮ম জুটিতে ৫৫ রানের বীরত্বও তারই। মূলত তার ব্যাটিংয়েই প্রথম ইনিংসে তিনশ’ পেরিয়েছে শ্রীলংকা। তাইজুলকে কভার-পয়েন্টে সিঙ্গলে ক্যারিয়ারের ৮ম সেঞ্চুরি পূর্ণ করে মিরাজকে মিড উইকেটের উপর দিয়ে খেলতে যেয়ে থেমেছেন ১৩৮ এ। চান্দিমাল নিজেও তাই নিজের ফেভারিট প্রতিপক্ষ হিসেবে গণ্য করছেন বাংলাদেশকে ‘টেস্ট ক্রিকেটে আমার প্রথম সেঞ্চুরিটি এসেছে বাংলাদেশের বিপক্ষে। কারন আমি চার সেশন ব্যাট করেছি। এর আগে আমি কখনো আমার টেস্ট ক্যারিয়ারে চার সেশন ব্যাট করিনি। তাই এটাকে আমি সবার উপরেই রাখব।’
গল এ প্রচন্ড গরম,তাপমাত্রা ৩২-৩৩ ডিগ্রিতে ওঠা-নামা করলেও ঘামতে হতো না। কিন্তু কলোম্বোতে ২৮-২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়ও অতিষ্ঠ হয়ে উঠতে হচ্ছে। এমন আবহাওয়ার মুখোমুখি হতে হবে বলে তার প্রস্তুতিটা আগেই নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন চান্দিমাল ‘আমি এই তাপমাত্রায় নিজেকে মানিয়ে নিতে অনুশীলন ম্যাচেও চেষ্টা করেছি। ওটাই অনেক সাহায্য করেছে। এটাই ম্যাচে আমাকে ভালভাবে মুখোমুখি করতে সহায়তা করেছে। প্রতিটি বিরতিতে, এনার্জি ড্রিংকস খেয়ে বিভিন্নভাবে নিজেদেরকে এই আবহওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছি।’
প্রথম দিন শেষে ২৩৮/৭ স্কোরের সঙ্গে দ্বিতীয় দিনে দলের স্কোর তিনশ’ টেনে নেয়াই যেখানে কঠিন মনে করেছে শ্রীলংকা, সেখানে শ্রীলংকার স্কোর ৩৩৮/১০! দ্বিতীয় দিনে শেষ তিন পার্টনারশিপের সমস্টি কাটায় কাটায় ১০০! যার মধ্যে দ্বিতীয় দিনে চান্দিমালের ব্যাট থেকে এসেছে ৫৪ রান। শ্রীলংকার প্রথম তিন ব্যাটসম্যান যেখানে ফিরেছেন মাত্র ৩৫ এ, সেখানে শেষ তিন জুটিতে যোগ হয়েছে শ্রীলংকার টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বাধিক ১৪৩। এমন কিছুর কৃতিত্বেও বাহাবা দিতে হচ্ছে চান্দিমালকে। পরিস্থিতির মুখে ব্যাটিংয়ে নেমে নিজেও এতোটা আস্থাশীল ছিলেন না বলে জানিয়েছেন চান্দিমাল ‘৩০ রানের মধ্যে ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ায় আমার কাজটা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আমি তখন দায়িত্ব নিয়ে দলকে ২৫০ পর্যন্ত টেনে নেয়ার কথা ভাবি। কারণ, সে সময় পিচে খেলাটা কঠিন ছিল। সিঙ্গল নিয়ে অন্য এন্ডে কিভাবে যাওয়া যায়, সেটাই ছিল মাথায়।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।