Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তানোরে কর্মসৃজন কর্মসূচি ব্যাপক ভূমিকা রাখছে

| প্রকাশের সময় : ১৫ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

তানোর (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা : রাজশাহীর তানোরে অতি দরিদ্রদের জন্য গৃহীত ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচি দারিদ্র্য বিমোচন, গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ, সংস্কার, নতুন রাস্তা নির্মাণ ও সাধারণ মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমি রেখেছে। কর্মসৃজন কর্মসূচির ফলে একদিকে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের অতিদরিদ্ররা অভাব-অনটনের সময় কাজ পাচ্ছে, অন্যদিকে এলাকার গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ, কাঁচা রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন ও সংস্কার হচ্ছে। জানা গেছে, চলতি বছরে স্থানীয় সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর দেখভাল ও কঠোর নজরদারীর ফলে এই প্রকল্পের সুফল পেতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের (ইউপি) প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের কাঁচা রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়নে রাতারাতি এসব এলাকায় আমূল পরিবর্তন দেখা গেছে।
তানোরের কলমা, পাঁচন্দর ও বাধাইড় ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় এমন কিছু প্রকল্প রয়েছে, যেখানে দেশ স্বাধীনের পরে কোনো উন্নয়ন কাজ (মাটির) পৌঁছায়নি। এদিকে দীর্ঘদিন পরে এসব গ্রামাঞ্চলের রাস্তাঘাটের দৃশ্যমান ব্যাপক উন্নয়নে সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তানোরে চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে অতিদরিদ্রদের জন্য ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচির (কর্মসংস্থান) প্রথম পর্যায়ে ৭টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) অনুকূলে ৩১টি প্রকল্পে ১০১৫ জন শ্রমিকের বিপরীতে ৯০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এরমধ্যে কলমা ইউপিতে ৪টি প্রকল্প, সরঞ্জাই ইউপিতে ৩টি প্রকল্প, তালন্দ ইউপিতে ৪টি প্রকল্প, পাঁচন্দর ইউপিতে ৬টি প্রকল্প, চাঁন্দুড়িয়া ইউপিতে ৩টি প্রকল্প, বাধাইড় ইউপিতে ৬টি প্রকল্প ও কামারগাঁ ইউপিতে ৫টি প্রকল্প দেয়া হয়েছে। চলতি বছরের ৪ ফেব্রæয়ারী থেকে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু করে আগামী ১০ মার্চের মধ্যে প্রকল্প শতভাগ বাস্তবায়ন করার কথা বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ ইউপি এলাকায় দ্রæত গতিতে এগিয়ে চলেছে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ।
কলমা ইউপির ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পল্লীর বাসিন্দা সুরমনি হাসদা (৫৫), গণেশ টুডু (৪৫) ও সেফালী হেমব্রম (৩২) বলেন, তাদের গ্রামে যাতায়াতের রাস্তা হবে এটা তারা কখনও কল্পনাও করেননি। কিন্তু এবার তাদের গ্রামের যাতায়াতের জন্য মাটির রাস্তা তৈরী করা হয়েছে। পাঁচন্দর ইউপি’র চিমনা গ্রামের বাসিন্দা আনারুল ইসলাম (৪৫) ও লুৎফর রহমান (৩৩) বলেন, দীর্ঘদিন পরে তাদের গ্রামের মাটির রাস্তা সংস্কার ও কবরস্থানে মাটি ভরাটের কাজ করা হয়েছে।
বাধাইড় ইউপির জোকারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সাইদুর রহমান (৫৪) বলেন, এবার তাদের গ্রামের রাস্তায় মাটি ভরাটের কাজ করায় গ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে। সরনজাই চকপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আমির উদ্দীন ও মাহাতাব আলী বলেন, তাদের গ্রামের খেলার মাঠ সংস্কার করায় এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হয়েছে। এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন (পিআইও) কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী এনামুল হক বলেন, এবার এমপি মহোদয়ের কঠোর নির্দেশ ও দেখভাল করায় প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা কাজে কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নিতে পারেননি। তিনি বলেন, প্রতিটি প্রকল্পে দৃশ্যমান প্রায় শতভাগ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতে চলেছে। এব্যাপারে কলমা ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না বলেন, এবার কর্মসৃজন কর্মসূচির প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ স্থানীয় এমপি নিজেই কঠোর নজরদারী করায় এলাকার গ্রামীণ অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।
এ ব্যাপারে পাঁচন্দর ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল মতিন মন্ডল বলেন, এবার কর্মসৃজন কর্মসূচির কাজে অনিয়মের কোনো সুযোগ নাই। তিনি বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে তার এলাকায় গ্রামীণ অবকাঠামোর ব্যাপক দৃশ্যমান উন্নয়নের পাশাপাশি অতিদরিদ্র কর্মহীনদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাখছে


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ