পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : জঙ্গিবাদ টিকিয়ে রাখার জন্য দুই প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে দায়ী করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এবং বিএনপি ক্ষমতায় আসার জন্য জঙ্গি ইস্যুকে টিকিয়ে রাখছে। দোষারোপের রাজনীতি আর অনৈক্যের সুযোগ নিচ্ছে জঙ্গিরা এমন মন্তব্যও করেছেন তিনি।
গতকাল (সোমবার) জাতীয় প্রেসক্লাবে মাহমুদুর রহমান মান্না নেতৃত্বাধীন নাগরিক ঐক্যের উদ্যোগে আয়োজিত ‘সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ-দুর্নীতি প্রতিরোধে জাতীয় ঐক্য গড়ার লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ প্রতিষ্ঠা ও মাহমুদুর রহমান মান্নার মুক্তি’ শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন রব।
রব বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিদেশ যাওয়ার সময় বলে গেলেন এই সমস্যার সমাধানের জন্য জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। তিন দিন পর দেশে ফিরে বললেন, ঐক্য হয়ে গেছে। ঐক্য তো আওয়ামী লীগের মধ্যে হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে তো হয়নি। জঙ্গি দমনে সরকারের আন্তরিকতার ঘাটতি রয়েছে দাবি করে শেখ হাসিনার ১৯৯৬ সালের সরকারের মন্ত্রী রব বলেন, গুলশান হামলার পর প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তাদের কাছে তথ্য আছে কারা এর সঙ্গে জড়িত। তাহলে কেন এই হামলা হল? মানুষ বুঝে গেছে জঙ্গি দমনে সরকারের আন্তরিকতা নেই। আসলে সরকার জঙ্গি দমনের নামে বিরোধী দল ও বিরোধী মতকে দমন করতে চায়।
দুই দলের বাইরে তৃতীয় রাজনৈতিক বলয় গড়ে তোলার উপর জোর দিয়ে রব বলেন, তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে হবে। সত্যিকার অর্থে তৃতীয় শক্তি গড়ে তোলা গেলে আজকে মাহমুদুর রহমান মান্নার মতো নেতাদের কারাগারে থাকতে হত না।
সভায় বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেন, মশা উৎপাদনের জঙ্গল রেখে আশপাশে অভিযান চালালে যেমন মশা দূর হবে না, তেমনি জঙ্গি তৈরির মূল জায়গায় না গেলে এটা বহুগুণে বাড়বে। কিন্তু সরকার এর মূলে যেতে চায় না।
নাগরিক ঐক্যের ভারপ্রাপ্ত উপদেষ্টা এসএম আকরামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর দিলারা চৌধুরী, গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, সাংবাদিক কাজী সিরাজ, সাবেক সাংসদ গোলাম মাওলা রনি, নাগরিক ঐক্যের নেতা আবু বকর সিদ্দিক বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।