পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
মোঃ লিহাজ উদ্দীন মানিক, বোদা (পঞ্চগড়) : পঞ্চগড়ের বোদায় চলতি মৌসুমে আম ও লিচুর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। উপজেলার প্রতিটি আম ও লিচু গাছে শোভা পাচ্ছে সোনালী মুকুল। প্রতিটি গাছে মুকুল থেকে থোকায় থোকায় আম ও লিচু আসতে শুরু করেছে। ফলে এবার মধু মাসের ফল আম ও লিচুর বাম্পার ফলন হতে পারে। আম ও লিচু চাষীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি বছর এ অঞ্চলের আম ও লিচু দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় সরবরাহ করা হয়ে থাকে। আম ও লিচু লাভজনক ব্যবসা হওয়ায় প্রতি বছরই এ উপজেলাতে আম ও লিচু চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ও প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে এবারও রেকর্ড পরিমাণ আম ও লিচুর ফলন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার প্রতিটি বাড়ির বসত ভিটায় বা আঙ্গিনার আম ও লিচু গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। মুকুলের সঙ্গে ফুলে ফুলে মৌমাছির গুঞ্জন আর ঝিঁ ঝিঁ পোকার ঝিঁ ঝিঁ শব্দে এলাকা মুখরিত হয়ে উঠেছে। আম-লিচু বাগানগুলোতে ফুল আসা থেকে লিচু আহরণ পর্যন্ত ৩-৪ মাস আম ও লিচু বাগানের সঙ্গে সম্পৃক্তদের কর্মব্যস্ততা বেড়ে যায়। ফুল আসার ১৫ দিন আগে এবং ফুল আসার ১৫ দিন পরে সেচ দিতে হয়। সেই অনুযায়ী গাছে মুকুল আসার সঙ্গে সঙ্গেই মুকুলকে টিকিয়ে রাখতে আম ও লিচু চাষী ও ব্যবসায়ীরা স্প্রে করে চলছে।
এছাড়াও মুকুল যাতে ঝরে না পড়ে সেজন্য গাছের গোড়ায় নিয়মিত পানি ও সার দিয়ে যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কৃষি অফিসার আল মামুন অর রশিদ জানান, এই উপজেলায় প্রায় ৫ শতাধিক আম ও লিচু বাগান রয়েছে। এ অঞ্চলের আম ও লিচু সুস্বাদু ও মিষ্টি হওয়ায় দেশব্যাপী এর চাহিদা রয়েছে। কৃষি কর্মকর্তারা চাষীদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে আসছেন। কোন সময়ে কোন কীটনাশক, বালাইনাশক ব্যবহার করা উচিত সে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।