Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

কলাগাছ থেকে আঁশ, তৈরি হচ্ছে পণ্যসামগ্রী

| প্রকাশের সময় : ১৪ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : অল্প বিনিয়োগে অধিক আয় করে স্বাবলম্বী হতে পারেন যে কেউ। পরিত্যক্ত কলাগাছ ও আনারসের পাতা দিয়ে এবার আঁশ বা পাট তৈরি করে সফল উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছে ঢাকার উত্তরার ‘ওয়েস্ট অ্যাগ্রো লিমিটেড’। বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তিতে উদ্ভাবিত ফাইবার মাড়াইকারী প্রিমিয়ার মডেলের মেশিনের উদ্ভাবক মাহমুদুজ্জামান বলেন, প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণসহ এই প্রযুক্তিতে যে কেউ অল্প বিনিয়োগে অধিক আয় করে স্বাবলম্বী হতে পারেন। তিনি বলেন, দেশে ব্যাপক কর্মসংস্থানের পাশাপাশি এই আঁশ বিদেশেও রফতানি করা যাবে। এরই মধ্যে এই প্রযুক্তি দেশ-বিদেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আবার এই আঁশ থেকে সুতা, নানা ধরনের হস্তশিল্প, বস্ত্রসামগ্রী, টেবিল ক্লথ, দরজা ও জানালার পর্দা, ব্যাগ ইত্যাদি তৈরি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ‘ওয়েস্ট অ্যাগ্রো লিমিটেড’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদুজ্জাম বলেন, বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ। এখানে শতকরা ৮০ ভাগ লোকই কৃষির ওপর নির্ভরশীল। কৃষি বর্জ্য ব্যবহার করে বিভিন্ন এসএমই শিল্পের জন্য কাঁচামাল তৈরির গবেষণা, তথ্য-উপাত্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে নবউদ্ভাবিত বিভিন্ন ব্যবসাকে মানুষের কাছে পৌঁছানোর মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন ও বেকারত্ব দূরীকরণে তার প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। পরিত্যক্ত কলাগাছ আমাদের জন্য যে কত মূল্যবান সম্পদ হতে পারে তা তুলে ধরে তিনি বলেন, কলার ক্ষেত বা বাগান থেকে কলা সংগ্রহের সময় কৃষকরা যখন কলার কাঁদি কেটে ফেলেন, তখন ক্ষেতে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে কলাগাছ।
ভারত, নেপালসহ পৃথিবীর অনেক দেশ বিকল্প ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পরিত্যক্ত এই কলাগাছ থেকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় আঁশ বের করে থাকেন। সাধারণত একটি স্বাভাবিক কলাগাছ হতে দুই থেকে আড়াইশ’ গ্রাম আঁশ উৎপন্ন হয়ে থাকে। কলার চাষ করতে গিয়ে একজন কৃষক প্রতি একর জমিতে ন্যূনতম ২ হাজার ২০০টি কলাগাছ লাগিয়ে থাকেন। সুতরাং এ পরিমাণ কলাগাছ থেকে ৪ হাজার ৪০০ কিলোগ্রাম বা ৪৪ কুইন্টাল আঁশ উৎপন্ন করা যায়। প্রতি এক কিলোগ্রাম আঁশের বর্তমান বাজার মূল্য ৭০ থেকে ৮০ টাকা। এই অনুপাতে মোট মূল্য দাঁড়ায় ৩,০৮,০০০ টাকা বা ৩,৫২,০০০ টাকা। সুতরাং আমাদের মনে রাখতে হবে যে, ক্ষেতে বা জমিতে পরিত্যক্ত এই পরিমাণ কলাগাছ মোটেই ফেলনার বস্তু নয়। তিনি বলেন, পূর্বে আঁশ সংগ্রহের এই কাজটি করা হতো ম্যানুয়াল বা গ্রামীণ প্রচলিত পদ্ধতিতে। এখন এই কাজগুলো করা যায় উন্নত যান্ত্রিক পদ্ধতিতে। ‘ওয়েস্ট অ্যাগ্রো লিমিটেড’ বর্তমানে বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের এই পরিত্যক্ত অথচ মূল্যবান সম্পদের ব্যাপক রূপান্তর ঘটিয়ে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে।



 

Show all comments
  • রোকনুজ্জামান ১৪ এপ্রিল, ২০১৮, ১১:৫৫ পিএম says : 0
    আমি এটা করতে ইচ্ছুক কিন্তু কোথায় পাবো মেশিন, কোনো তথ্য ন্ই
    Total Reply(0) Reply
  • MD:MINUR RAHMAN PAPPU ৯ ডিসেম্বর, ২০২০, ৬:০৪ পিএম says : 0
    I'd like to have a banana fiber making machine
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ