পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতীয় উদ্ধার দল ফিরে গেছে
জামালপুর জেলা সংবাদদাতা : মাদারগঞ্জের উত্তর চরভাটিয়ানি গ্রামে গতকাল রোববার বেলা ২টায় দর্শনার্থীদের ডাকে কলাগাছ খেতে এসে আগুন দেখে দ্রুত ওই গ্রামের বিলের মাঝে সরে গেছে সেই হাতিটি। এদিকে হাতি উদ্ধারে আসা ভারতীয় প্রতিনিধিদলটি গতকাল রোববার দুপুরে হাতি উদ্ধার কার্যক্রম বাদ দিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেছে। তবে হাতিটি জলাশয় ছেড়ে ডাঙ্গায় না উঠায় বাংলাদেশী উদ্ধার দলের ১৭ জন সদস্য হাতিটির কাছেই নৌকায় বসে হাতিটির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, গতকাল দুপুরে মাদারগঞ্জের সিধুলি ইউনিয়নের উত্তর চরভাটিয়ানি গ্রামের আব্দুল মজিদ ম-লের বাড়ির উঠান থেকে মাত্র দুইশ’ মিটার দূরে কোমর পানিতে দাঁড়িয়েছিল হাতিটি। এসময় উৎসুক দর্শনার্থীরা হাতিটিকে মামা ডাক দিয়ে বলে মামা এসো কলাগাছ খেয়ে যাও। তখন উৎসুক দর্শনার্থীর মামা ডাকে সাড়া দিয়ে হাতিটি দ্রুত কলাগাছ খেতে আসে একেবারে পাঁচশতাধিক দর্শনার্থীর সামনে। এসময় চরভাটিয়ানি গ্রামের জহুরুল ইসলাম পানিতে নেমে ডাঙ্গা থেকে মাত্র ১০ মিটার দূরে কয়েকটি কলাগাছের টুকরো রেখে দ্রুত সরে আসে। এসময় দর্শানার্থীদের নিকট থেকে মাত্র ১০ মিটার দূরত্বে এসে পানিতে অবস্থান করে হাতিটি কলাগাছ খেতে থাকে। একপর্যায়ে পাশের বাড়ির লোকজন ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে হাতিটি তাড়াতে টিন পিটিয়ে শব্দ করে এবং ধানের খড়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় হাতিটি টিনের শব্দ শুনে এবং আগুন দেখে কলাগাছ খাওয়া ছেড়ে দ্রুত সেখান থেকে চলে যায় উত্তর চরভাটিয়ানি গ্রামের সামনে বিলের মাঝে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে উৎসুক দর্শনার্থীরা হাতির সামনে আগুন প্রদর্শনকারীদের ক্ষুব্ধ হয়ে মারমুখী হলে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম ও চরভাটিয়ানি গ্রামের মজিদ ম-লসহ স্থানীয় মাতাব্বররা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। হাতিটি রোববার গভীর রাত থেকেই চরভাটিয়ানি গ্রামের সামনে বিলের মাঝে বন্যার পানিতে অবস্থান করছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
একই গ্রামের ইদ্রিস আলী জানান, হাতিটি তাদের এলাকায় অবস্থান করায় গত ১০ দিন ধরে তারা হাতি আতঙ্কে রাতে ঘুমাতে পারেন না। রাতের বেলায় মাঝে মধ্যেই হাতিটি লোকালয়ে প্রবেশ করে। তাই তারা রাতে হাতি তাড়াতে মশাল জ¦ালিয়ে পালাক্রমে জেগে থাকেন।
এদিকে হাতিটির উদ্ধারকাজে বাংলাদেশ ১৭ সদস্যের নেতৃত্বদানকারী বন্যপ্রাণী পরিদর্শক অসিম মল্লিক জানান, পানিতে থাকায় হাতি উদ্ধার সম্ভব নয় ভেবে হাতি উদ্ধারে আসা ভারতীয় তিনজন সদস্য ঢাকা ফিরে গেছেন। কারণ ভারতীয় প্রতিনিধিদল আগামী মঙ্গলবার নিজ দেশে ফেরার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন। তবে বাংলাদেশের ১৭ সদস্যের হাতি উদ্ধার দল হাতিটি উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত হাতিটিকে খুব কাছে থেকে পর্যবেক্ষণ করবেন। এছাড়াও হাতিটিকে কোনো ভালো রাস্তার পাশে ডাঙ্গায় পেলে সময়-সুযোগ বুঝে ট্যাংকুলাইজার গান দিয়ে হাতিটি অজ্ঞান করে শিকলে বেঁধে ট্রাকযোগে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে নেয়া হবে। সেখানে হাতিটিকে উন্নত চিকিৎসাসেবা দেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।