Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশের শততম টেস্ট উদযাপন করবে শ্রীলঙ্কা

| প্রকাশের সময় : ১২ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা গল (শ্রীলঙ্কা) থেকে : বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অনেক পুরোনো। ১৯৮৬ সালে এশিয়া কাপের দ্বিতীয় আসরে এশিয়া কাপে অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে শ্রীলঙ্কায়। ২০০০ সালে ১০ম দেশ হিসেবে আইসিসি’র পূর্ণ সদস্যপদ প্রাপ্তিতে বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট। সে সময়ে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের সভাপতির সঙ্গে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) ও সভাপতির দায়িত্ব ছিল সুমাথিপালার উপর অর্পিত। বাংলাদেশের দশম টেস্ট সদস্যপ্রাপ্তিতে আইসিসি’র সভায় সোচ্চার ভুমিকা রেখেছেন, দিয়েছেন বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদার দাবির পক্ষে ভোট। বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের উন্নতিতে একদল শ্রীলঙ্কান কোচ পাঠিয়ে সহায়তার হাত দিয়েছেন বাড়িয়ে, বাংলাদেশের ক্রিকেটের সঙ্গে দীর্ঘ ২ দশকের গভীর সেই সম্পর্কের কথাই গতকাল বাংলাদেশ মিডিয়াকে জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের প্রেসিডেন্ট মাহিন্দ্রা সুমাথিপালা।
শ্রীলঙ্কার মাটিতে আগামী ১৫ মার্চ থেকে বাংলাদেশ খেলবে শততম টেস্ট, বাংলাদেশের শততম টেস্ট আয়োজন শ্রীলঙ্কায় হতে যাচ্ছে বলে বাংলাদেশের এই ঐতিহাসিক টেস্টে অংশীদার হতে চায় শ্রীলংকা ক্রিকেট। ছোট-খাট একটি অনুষ্ঠান দিয়ে বাংলাদেশের শততম টেস্ট উদযাপন করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট, এমনটাই জানিয়েছেন সুমাথিপালাÑ‘সকালে আমাদের দুই বোর্ড প্রেসিডেন্ট (বিসিবি ও শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট) অতিথি হিসেবে মাঠে উপস্থিত থাকবে। ম্যাচ শুরুর আগে অংশগ্রহণকারী দুই দলকে পদক তুলে দিব। শততম টেস্ট উদযাপন উপলক্ষ্যে ডিনারের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। এশিয়ার টেস্ট প্লেয়িং দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ১০০তম টেস্ট খেলছে শ্রীলঙ্কার মাটিতে, তাই ভাইদের (বাংলাদেশ) নিয়ে আমি গর্বিত। বাংলাদেশ ক্রিকেটে অনেকটা পথ এগিয়ে গেছে। আমরা ১০০ শিশুকে খেলা দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি।’
আইসিসি’তে বিগ থ্রি’র মাতব্বরি অবসানে বাংলাদেশের মতো শ্রীলংকাও করেছে বিরোধিতা। সেই বিরোধিতার মুখে বিগ থ্রি’র মোড়লিপনা থেকে বেরিয়ে এসেছে আইসিসি। তবে বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক সত্তে¡ও এফটিপির বাইরে খেলার সুযোগ কম বলে ধরে নিয়েছেন সুমাথিপালা। তবে টেস্টে দর্শক টানতে গোলাপী বলে ৪ দিনের টেস্ট প্রবর্তনের পক্ষে সোচ্চার ভুমিকা রাখতে চালাচ্ছেন প্রচারনা।
১৯৯৮ সালে মিনি বিশ্বকাপ ক্রিকেটে (পরবর্তীতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি) আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে প্রথম সফর করেছেন বাংলাদেশে। সেই থেকে বাংলাদেশ সফর করেছেন বেশ ক’বার। বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নতির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন সুমাথিপালাÑ‘বাংলাদেশের ক্রিকেট অনেক উন্নতি করেছে। আমরা বাংলাদেশকে অন্য ক্রিকেট প্লেয়িং দেশের মতোই গণ্য করি। বাংলাদেশ দূর্বল প্রতিপক্ষ, তা মনে করি না আমি। তারাও অন্য দলগুলোর মতো শক্তিশালী দল।’ ‘জয় বাংলা’ শ্লোগানটির অর্থ এবং গুরুত্ব জানেন শ্রীলঙ্কার এই রাজনীতিবিদ এবং ক্রিকেট সংগঠক। এই শ্লোগান ধারণ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল টেস্টে হবে উদ্বুদ্ধ, এমনটাই বিশ্বাস তার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশ


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ