পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি হচ্ছে ইউরিয়া সার। ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সঙ্কট দেখিয়ে প্রতি বস্তা ইউরিয়া ৮৫০ থেকে ৮৭০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। এদিকে ইরি-বোরোর ভরা মৌসুমে হঠাৎ সারের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়ছেন সাধারণ কৃষকেরা। তারা সরাসরি ডিলারদের কাছ থেকে ইউরিয়া সার না পেয়ে বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত মূল্যে সার ক্রয় করছেন খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে। কৃষি অধিদপ্তরের দায়িত্বে অবহেলা আর ডিলারদের সারের দোকান বন্ধ থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কৃষকেরা।
জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় সাড়ে ১০ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ক্ষেত লাগানো হয়েছে। এদের মধ্যে বিআর ২৮ চার হাজার ৮০০ হেক্টর, বি আর ২৯ এক হাজার ৭০০ হেক্টর, হাইব্রিড দুই হাজার ৮০০, ৫৮ জাতের ধান এক হাজার ২০০ ও স্থানীয় জাত ২০০ হেক্টর। কৃষকরা অতি কষ্টে ইরি-বোরো ক্ষেত লাগালেও মধ্যবর্তী সময়ে সারের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন অনেকে। প্রতিদিন সার ডিলারদের দোকানে ধর্ণা দিয়েও চাহিদা অনুযায়ী সার পাচ্ছে না তারা। তাছাড়া সঙ্কটের অজুহাতে বস্তা প্রতি ৮০-৯০ টাকা অতিরিক্ত মূল্যে দিয়ে ক্রয় করতে হচ্ছে কৃষকদের। এ উপজেলায় বিসিআই সার ডিলার সাতজন ও বিএডিসির ছয়জন ডিলার থাকলেও তাদের অধিকাংশই এ উপজেলার বাসিন্দা নন। সে কারণে তাদের গুদাম প্রায় সময় বন্ধ থাকে। ফলে বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো দাম নিচ্ছেন সাধারণ কৃষকদের কাছ থেকে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে উপজেলার বাজারগুলোতে প্রতি কেজি ইউরিয়া ১৯ থেকে ২০ টাকা খুচরা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে।
ফুলবাড়ী উপজেলার পূর্ব ধনিরাম (হাজিরহাট) এলাকার কৃষক আ: রশিদ জানান, ডিলারদের দোকান বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়ে ৮৭০ টাকা দিয়ে এক বস্তা ইউরিয়া ক্রয় করেছেন। একই কথা জানান বালাটারী গ্রামের কৃষক আজিজুল ইসলাম ও প্রাণকৃষ্ণ গ্রামের জুলহাস মিয়া, কুটিচন্দ্রখানা গ্রামের রশিদুল ইসলাম, মধ্য অনন্তপুর গ্রামের সহিদুল ও নওদাবশ গ্রামের শাহিন মিয়া। তারা বলেন স্থানীয় ডিলার না থাকার কারণে এ সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে গংগারহাট বাজারের সিরাজ ট্রেডার্সের আইনুল হক ও সৈকত এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার দিপু রায়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, সার উত্তোলনের জন্য ব্যস্ত থাকায় দুই দিন দোকান বন্ধ ছিল। আর গুদামে প্রচুর পরিমাণে জমাট বাধা (দলাযুক্ত) সার মজুত রয়েছে। কিন্তু কৃষকরা সেসব বস্তা ক্রয় করতে নারাজ। অতিরিক্ত মূল্যে সার বিক্রির বিষয়টি গুজব বলে তারা জানান ।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি অফিসার মাহবুবুর রশীদ বলেন, ডিলারদের দোকান নিয়মিত খোলা থাকার নিয়ম রয়েছে। অতিরিক্ত মূল্যে সার বিক্রির প্রশ্নই আসে না। প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।