Inqilab Logo

সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪, ১০ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

মূর্তি অপসারণ করা না হলে সরকারের পতন অনিবার্য

| প্রকাশের সময় : ১১ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রামে হেফাজতের বিক্ষোভ সমাবেশ
চট্টগ্রাম ব্যুরো : সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে গ্রিক দেবীর মূর্তি স্থাপনের প্রতিবাদে এবং তা অবিলম্বে অপসারণের দাবিতে হেফাজতে ইসলাম চট্টগ্রাম মহানগর শাখার উদ্যোগে গতকাল বাদ জুমা নগরীর আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের উত্তর গেট চত্বরে এক বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে হেফাজত নেতারা বলেছেন, সর্বোচ্চ বিচারালয়ের সামনে গ্রিক দেবীর মূর্তি স্থাপন বাংলাদেশের গণমানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস, সংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও আদর্শিক চেতনার বিপরীত। কোনো মুসলমান মূর্তিকে ন্যায় বিচারের প্রতীক বিশ্বাস করলে তার ঈমান থাকবে না। বাংলাদেশে মূর্তি স্থাপনের চাহিদা ও সুযোগ কোনোটাই নেই। অবিলম্বে এ মূর্তি অপসারণ করতে হবে। অন্যথায় ঈমান, আকিদা ও ঐতিহ্য রক্ষার লক্ষে মূর্তি অপসারণের দাবিতে প্রয়োজনে লাখ লাখ মানুষ নিয়ে ঢাকা ঘেরাওসহ শাপলা চত্বরে আবারো অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তারা বলেন, অবিলম্বে গ্রিক মূর্তি অপসারণ করা না হলে সরকারের পতন অনিবার্য হয়ে উঠবে। তারা বলেন, অতীতে শাপলা চত্বরের অবস্থান কর্মসূচি থেকে আমরা হেফাজত আমিরের নির্দেশে চলে এসেছি। কিন্তু ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপ যদি সরকার কঠোর হাতে দমন না করে এবং অবিলম্বে গ্রিক মূর্তি অপসারণ করা না হয়, তাহলে আবারো শাপলা চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি দেয়া হবে। তৌহিদী জনতা এবার শাপলা চত্বর থেকে আর ফিরে আসবে না, যতক্ষণ না সরকারের পতন হবে।
বক্তারা বলেন, মসজিদের নগরী ঢাকাকে মূর্তির নগরী বানানো হচ্ছে কার স্বার্থে? দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভাস্কর্যের নামে মূর্তি তৈরি করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। যারা মূর্তির পক্ষে কথা বলছেন, তারা জনবিচ্ছিন্ন। এরা নাস্তিকদের দালাল। মূর্তি ও অপসংস্কৃতি চর্চা থেকে সরকারকে বের হয়ে আসতে হবে। ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশের মূর্তি সংস্কৃতি কেন? মূর্তি ও অপসংস্কৃৃতি দু’টিই ইসলামবিরোধী। মূর্তি ও অপসংস্কৃতিকে বৈধ মনে করলে মুসলমানিত্ব থাকবে না। ইসলাম এসেছে মূর্তির পুজার বিরুদ্ধে।
বক্তারা আরো বলেন, মহানবী (সা:) বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ আইন প্রণেতা হিসেবে স্বীকৃত। আমেরিকা সুপ্রিম কোর্টের সামনের ফটকে রাসূল (সা.) সর্বশ্রেষ্ঠ আইনপ্রণেতা হিসেবে ফলকে নাম আছে। ভারতের সুপ্রিম কোর্টেও আইন প্রণেতারূপে কোনো মূর্তির অবস্থান নেই। কোনো মুসলিম দেশেও এরূপ কোনো নজির নেই। তাহলে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের সামনে কেন মূর্তি থাকবে। সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে মূর্তি অপসারণ করতেই হবে। অন্যথায় জান-মাল দিয়ে হলেও ঈমান রক্ষায় ইসলামি জনতা গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে বাধ্য হবে, যা সরকারের জন্য শুভ হবে না।
কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত অর্থ সম্পাদক মাওলানা হাজী মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশ আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মঈনুদ্দীন রুহী, মাওলানা কারী মুবিনুল হক, মাওলানা আ ন ম আহমদুল্লাহ, মাওলানা জয়নুল আবেদীন কুতুবী, মাওলানা মনছুর আলম, মাওলানা শেখ আবু তাহের, মাওলানা জুনাইদ জওহর, মাওলানা অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইউনুস, মাওলানা ইকবাল খলিল, মাওলানা  মুহাম্মদ হানিফ, মাওলানা তকি ওসমানী, মাওলানা কুতুব উদ্দিন, মাওলানা সায়েম উল্লাহ প্রমুখ।
নারায়ণগঞ্জের সমাবেশে হুঁশিয়ারি
নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : সুপ্রিম কোর্টের সামনে স্থাপিত গ্রিক মূর্তি অপসারণ না হলে সারাদেশের তৌহিদী জনতা ও মুসল্লিরা আবারও মাঠে নামবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম নারায়ণগঞ্জ জেলার নেতারা। গতকাল শুক্রবার জুমআর নামাজের পর শহরের বৃহৎ ডিআইটি বাণিজ্যিক মসজিদের সামনে বঙ্গবন্ধু সড়কে জেলা হেফাজতে ইসলামের উদ্যোগে সমাবেশে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা হেফাজতের আমীর মাওলানা আবদুল আউয়াল বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে মামলা হামলার ভয় দেখিয়ে জুজুর ভয় দেখিয়ে মূর্তি স্থাপনের আন্দোলন থেকে সরাতে পারবেন না। বরং আন্দোলন দিন দিন বাড়বে। হেফাজতের মহানগর কমিটির সেক্রেটারি মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান বলেন, ‘আরো একটি শাপলা চত্বরের প্রতিধ্বনি আসছে। সরকার বাধ্য করছে মাঠে নামার। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হেফাজত নেতা আবদুল কাদির, হারুন অর রশিদ, মুফতি মাসুম বিল্লাহ, আনিস আনসারী প্রমুখ।
চাঁদপুরে বিক্ষোভ
চাঁদপুুর জেলা সংবাদদাতা :
হেফাজতে ইসলাম চাঁদপুর জেলা শাখা গতকাল বিক্ষোভ মিছিল  ও সমাবেশ করেছে। শুক্রবার দুপুরে শহরের শপথ চত্বরে সমাবেশে সভাপতিত্বে করেন জেলা হেফাজতে ইসলামের সভাপতি মাও: লেয়াকত হোসেন। ফারুক আহমেদ নোয়াইমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, জেলা হেফাজতে ইসলামের সহ-সভাপতি মুফতি সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এস এম আনোয়ারুল করিম, মাও. শাহাদাত হোসেন কাসেমী,  হাবিবুর রহমান, মাও. আবুল কালাম আজাদ,  মাও. ওমর ফারুক, মাও. মনির হোসেন, মাও. মোস্তফা খান হাসাদ।
নেত্রকোনায় মিছিল
নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা : হেফাজতে ইসলাম নেত্রকোনা জেলা শাখার উদ্যোগে গতকাল শুক্রবার বাদ জুমা জেলা শহরের বারহাট্টা রোডস্থ জামিয়া এ মিফতাহুল উলুম মাদরাসার সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা হেফাজতের আমির মুফতি তাহের কাসেমীর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মাও: আব্দুল কাইয়ুম, মাও: হাফেজ দেলোয়ার হোসেন, কারী আব্দুর রকিব, মাও: আব্দুল বারী, মাও আসাদুর রহমান আকন্দ, মাও মাজহারুল ইসলাম, মাও: আবু সালেহ্ ও গাজী আব্দুর রহিম প্রমুখ।



 

Show all comments
  • আরিফুর রহমান ১১ মার্চ, ২০১৭, ১০:৪৪ এএম says : 1
    মসজিদের নগরী ঢাকাকে মূর্তির নগরী বানানো হচ্ছে কার স্বার্থে?
    Total Reply(0) Reply
  • Alamgir Hossain ১১ মার্চ, ২০১৭, ১১:১৯ এএম says : 0
    Muslim deshe murti court er samne rakha kader khushi korar jonno?
    Total Reply(0) Reply
  • Nashir Uddin ১১ মার্চ, ২০১৭, ১১:৩৬ এএম says : 0
    সরকার কেনো মাথা ঘামায় না বুঝতে পারছি না।
    Total Reply(0) Reply
  • Nadim Rashel ১১ মার্চ, ২০১৭, ১১:৪০ এএম says : 0
    absolutely right
    Total Reply(0) Reply
  • shadhin ১২ মার্চ, ২০১৭, ৫:২৮ পিএম says : 0
    There are no palaces murti in islam.
    Total Reply(0) Reply
  • Rasedul islam ১৭ মার্চ, ২০১৭, ৯:৩৩ এএম says : 0
    bangladeshe nastikder kono jaiga nei.sob mosolman der proti ahoban nastikder biruddhe egie ason...
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হেফাজত

১ নভেম্বর, ২০২২
৩১ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ