বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
যশোরের মণিরামপুরে ফাতেমা খাতুন (২০) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। সোমবার সকালে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী সোহান হোসেনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
এর আগে রোববার ১১সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে ওই গৃহবধূর মরদেহ মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ফেলে চলে যান তার স্বামী-স্বজনরা। নিহত ফাতেমা অভয়নগর উপজেলার জিয়াডাঙ্গা গ্রামের ইয়াসিন আলীর মেয়ে।
নিহতের স্বজনরা জানান, দুই মাস আগে ফাতেমার সঙ্গে বিয়ে হয় মণিরামপুর উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে সোহান হোসেনের সাথে। বিয়ের পর থেকে আড়ত ব্যবসার জন্য তিন লাখ টাকার জন্য ফাতেমাকে চাপ দিতে থাকেন সোহান। কিছুদিন আগে টাকার জন্য ফাতেমাকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেন সোহান। গত শনিবার শ্বশুর বাড়ি থেকে এক লাখ টাকা সহ স্ত্রীকে নিজ বাড়ি নিয়ে আসেন সোহান। বাড়িতে ফিরে বাকি দুই লাখ টাকার জন্য তাদের মধ্যে বাকবিক্তা হয়। এরপর রোববার দিবাগত রাত একটার দিকে ফাতেমাকে মৃত অবস্থায় মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফেলে রেখে চলে যান সোহান ও তার পরিবারের লোকজন। এ সময় তারা ফাতেমা আত্মহত্যা করেছেন বলে তার পিতাকে ফোন করে জানান।
ফাতেমার পিতা ইয়াসিন আলী বলেন, তার মেয়ের শরীর জুড়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। যৌতুকের জন্য ফাতেমাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। হত্যার বিচার দাবি করেন তিনি।
মণিরামপুর থানার ওসি নূর-ই আলম সিদ্দিকী জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফাতেমার স্বামী সোহান হোসেনকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।