নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
শামীম চৌধুরী, শ্রীলংকা থেকে : চার বছর আগে গলে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের একমাত্র সমর্থক হিসেবে হাজির ছিলেন শোয়েব আলী। পেইন্ট দিয়ে সারা শরীরে বাঘ বর্ণ একে, মুখে বাঘের প্রতিচ্ছবি নিয়ে প্রখর রোদের মধ্যেও সারাক্ষণ বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছেন শোয়েব। সেই ছবিটাই বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রকৃত বিজ্ঞাপন। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে ভালোবেসে, এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে শোয়েব আলীর খেতাব হয়ে গেছে ‘টাইগার’।
এবার গল টেস্টে শোয়েব আলী আর একা নন। পাশে পেয়েছেন একদল প্রবাসী বাংলাদেশীকে। গল ক্রিকেট ক্লাব এবং প্যাভিলিয়ন ভবনের মাঝে অস্থায়ী স্ট্যান্ডে এক দল প্রবাসী বাংলাদেশী সারাক্ষণ উড়িয়েছেন বাংলাদেশের পতাকা। শোয়েব আলীকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে উৎসাহ দিয়েছেন তারা। তাদের চিয়ার্স লিডারের ভূমিকায় শোয়েব, তার সঙ্গে সমস্বরে সুর মিলিয়ে একটার পর একটা স্লোগান দিয়েছেন তারা। শোয়েব আলী যখন বলেছেন ‘উইকেট, উইকেট’, তখন তাদের স্লোগানও তাই। সংখ্যায় তারা ৩৫ জন। এসেছেন সবাই ২০০ রূপীর টিকিট কেটে। গল-এর লাইট হাউজের পাশে নির্মাণাধীন পাঁচ তারা হোটেল ‘হামারি’র নির্মাণ শ্রমিক তারা। টাইলসের কাজ নিয়ে দেড় বছর আগে গলে এসে প্রবাস জীবন-যাপন করা এসব সমর্থক নিজেরাই বানিয়েছেন ২০ ফুট দীর্ঘ বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। খেলা দেখতে আসবেন যখন, তখন বাংলাদেশের পতাকা থাকবে না সঙ্গে, তা কি করে হয়? এই আইডিয়া থেকে গত পরশু রাতে লাল-সবুজ কাপড় কিনে, তন্ন তন্ন করে খুঁজেছেন দর্জি। তাদের কেউ ম্যাচ শুরুর আগে পতাকা বানিয়ে দেয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিলে নির্মাণ শ্রমিকরাই হয়ে গেছেন দর্জি। কাঁচি আর সেলাই মেশিন নিয়ে গেছেন বসে। ছুটি নিয়ে গতকাল গল স্টেডিয়ামে এসে জড়ো হওয়া এই প্রবাসী বাংলাদেশী শ্রমিকরা গতকাল টেন স্পোর্টসের ক্যামেরায়ও ধরা পড়েছে বেশ ক’বার।
এই সমর্থক দলটিকে জড়ো করতে পেরে ভীষণ খুশি সমর্থকদের দলনেতা রাজুÑ ‘ভীষণ ভালো লাগছে। বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের খেলা দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। কাছ থেকে আমাদের ক্রিকেটারদের দেখতে পারছি। বাংলাদেশ দলকে সমর্থন দিতে পারছি।’ খেলা শুরুর আগে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত বেজে ওঠার সময় তারা সবাই দাঁড়িয়ে, বুকে হাত রেখে গেয়েছেন সমস্বরে জাতীয় সঙ্গীত। পি. সারা ওভালে বাংলাদেশের শততম টেস্টেরও সাক্ষী থাকতে চান প্রবাসী এসব বাংলাদেশী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।