Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

৬ কন্টেইনারে মিললো এলইডি টিভি বিদেশি মদ সিগারেট

প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:০৭ এএম, ৬ মার্চ, ২০১৭

চট্টগ্রাম বন্দরে মিথ্যা ঘোষণায় শত কোটি টাকার পণ্য আমদানি
চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম বন্দরে পোল্ট্রি ফিড কারখানার যন্ত্রপাতির নামে আনা ছয়টি কন্টেইনার খুলে পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, সিগারেট ও এলইডি টিভি। গতকাল (রোববার) বন্দরের এনসিটি টার্মিনালে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খানের উপস্থিতিতে কন্টেইনারগুলো খোলা হয়। কন্টেইনারগুলোতে বিভিন্ন মাপের সনি ও স্যামসাং এলইডি টিভি এবং বিদেশি সিগারেট ও মদ পাওয়া যায়। জব্দ এসব পণ্যের আনুমানিক দাম শত কোটি টাকা বলে শুল্ক গোয়েন্দারা জানান। আজ (সোমবার) আরও ছয়টি কন্টেইনার খোলা হবে।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান বলেন, ঘোষণা অনুযায়ী কন্টেইনার ছয়টিতে পোল্ট্রি ফিডের মূলধনী যন্ত্রপাতি থাকার কথা ছিল। এর তিনটিতে পাওয়া গেছে এলইডি টিভি ও তিনটিতে বিদেশি সিগারেট ও মদ। পোল্ট্রি ফিডের মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে মাত্র এক শতাংশ শুল্ক দিতে হয়।
আমদানিকারক সেই সুযোগে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে বিদেশি মদ, সিগারেট ও এলইডি টিভি নিয়ে এসেছে। মদ, সিগারেট ও এলইডি টিভি আমদানির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত শুল্ক দিতে হয়। মইনুল খান জানান, দুই চালানে মোট ১২টি কন্টেইনার এসেছে। বাকি ছয়টির স্ক্যানিং চলছে। স্ক্যান শেষে সোমবার বাকিগুলোও খোলা হবে। তিনি জানান, পণ্যগুলোর আমদানিকারক খোরশেদ আলম নামের এক ব্যক্তি। নথিপত্রে ঢাকার খিলক্ষেত ও কেরানীগঞ্জের ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু খিলক্ষেতের ঠিকানায় তার কোনো অফিস পাওয়া যায়নি।
এছাড়া ব্যাংকের কাগজপত্র বিশ্লেষণ করে ভুয়া তথ্য দেওয়ার প্রমাণ পেয়েছি আমরা। আমদানিকারকের পক্ষের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট জালাল উদ্দিনও গা ঢাকা দিয়েছে। মইনুল খান বলেন, চোরাচালান ও মানি লন্ডারিংসহ সংশ্লিষ্ট আইনে দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
জব্দকৃত কন্টেইনারের শতভাগ কায়িক পরীক্ষাকালে সেখানে চট্টগ্রাম কাস্টমস, বন্দর, শুল্ক গোয়েন্দাসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ছয়টি কন্টেইনারের তিনটিতে সিগারেট ও বাকি তিনটিতে এলইডি টিভি পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৪০ ফুটি কন্টেইনারের অর্ধেকে এলইডি টিভি আর অর্ধেকটা জুড়ে ছিল মদের বোতল ভর্তি কার্টন। ২০টি কার্টনে কয়েকশ’ দামি বিদেশি মদ পাওয়া গেছে। বিকেল পর্যন্ত এসব পণ্যের জব্দ তালিকা তৈরি করা হয়। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত টিভি, সিগারেট ও মদের পরিমাণ কত তা জানা যায়নি।
জানা যায়, দুটি চালানে ১২টি কন্টেইনার চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। এর মধ্যে নয়টি কন্টেইনারে আমদানি নিষিদ্ধ ও ক্ষতিকর পণ্য রয়েছে এমন তথ্য আগে থেকেই ছিল।
কাস্টমসের একটি সূত্র বলছে, কন্টেইনারগুলোতে আমদানি নিষিদ্ধ এবং ক্ষতিকর পণ্য থাকার বিষয়টি অনেকটা নিশ্চিত ছিল। কারণ, কন্টেইনারগুলো স্ক্যানিং করার আগেই নিষিদ্ধ পণ্য থাকার কিছু আলামত দেখা গেছে।
শুল্ক গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, প্রথম চালানের ৩টি কন্টেইনার গত শুক্রবার বন্দরে নামানো হয়। তবে বহির্নোঙরে জাহাজ আসে ২৮ ফেব্রæয়ারি। এই চালানে আরো ৩টি কন্টেইনার রয়েছে। অপর ৬টি কন্টেইনার গত বুধবার বহির্নোঙরে আসে। এখনো বন্দরে নামানো হয়নি। ৬টি কন্টেইনার ল্যান্ড করার আগেই বিশেষভাবে আটক করা হয়েছে। দু’টি চালানের ক্ষেত্রেই জাহাজ দু’টি সিঙ্গাপুর থেকে মালয়েশিয়ার পোর্ট ক্লাং হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে।
কাস্টমসে দাখিল করা আইজিএম অনুযায়ী আমদানিকারক উভয় চালানের ক্ষেত্রে ক্যাপিটাল মেশিনারিজ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। প্রথম চালানের আমদানিকারক ঢাকার খিলক্ষেত এলাকার হেনান অ্যাগ্রো। সিএন্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠান রাবেয়া এন্ড সন্স।



 

Show all comments
  • Arman ৬ মার্চ, ২০১৭, ২:৫৪ এএম says : 0
    ader biruddhe bebostha nea houk
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চট্টগ্রাম

৩০ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ