নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জাহেদ খোকন : আর মাত্র কয়েকঘণ্টা পরই টার্ফে গড়াচ্ছে বিশ্ব হকি লিগের দ্বিতীয় পর্বের খেলা। টার্ফের লড়াই সকালে শুরু হলেও আজ বিকেল ৪টায় মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে পর্দা উঠছে এ আসরের। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করবেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এমপি। এ সময় উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সভাপতি ও বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাদেকসহ অন্য কর্মকর্তাবৃন্দ। উদ্বোধনী ম্যাচে শক্তিশালী মালয়েশিয়ার মুখোমুখি হচ্ছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
আয়োজক বাংলাদেশের সাধ ছিল ঘণ্টাব্যাপী জমকালোভাবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করার। কিন্তু আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশন (এফআইএইচ)’র নির্দেশনা অনুযায়ী মাত্র ২৫ মিনিটেই শেষ করতে হচ্ছে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি। মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে বিকাল সাড়ে ৩টায় শুরু হবে এ অনুষ্ঠান। এটাকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমভাগে ১০ মিনিট থাকবে বাংলাদেশ অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টস (বাফা)’র শিল্পীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আকর্ষণীয় ডিসপ্লে। এ অনুষ্ঠানে দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ফুটিয়ে তোলা হবে। এরপর দ্বিতীয়ভাগে ১৫ মিনিটের অনুষ্ঠানে থাকবে প্রধান অতিথি, হকি ফেডারেশনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য। এরপরই প্রধান অতিথিসহ টুর্নামেন্টের দুই পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানকে ক্রেস্ট প্রদান করবে ফেডারেশন। এসব আনুষ্ঠানিকতা শেষে ৩টা ৪৫ মিনিটে ঘোষণা করা হবে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন। এরপরই অতিথিরা খেলোয়াড়দের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পর বিকাল ৪টায় শুরু হবে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া ম্যাচ।
টুর্নামেন্টে স্বাগতিক বাংলাদেশসহ আটটি দেশ দু’গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে। ‘এ’ পুলে রয়েছে- বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, ওমান ও ফিজি। দবি’ পুলের দলগুলো হচ্ছে- চীন, মিশর, ঘানা ও শ্রীলঙ্কা। টুর্নামেন্ট আয়োজনের সব প্রস্তুতি শেষ। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন পুরো মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামকে এনেছে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার আওতায়। এখানে ১৬টি ক্যামেরা লাগানোর হয়েছে। উদ্বোধনী দিনই টার্ফে নামবে স্বাগতিকরা। আগামীকাল মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামের নীল টাফে ‘এ’ পুলে প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকরা খেলবে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে। খেলা শুরু হবে বিকাল ৪টায়। এদিন দিন আরও তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। সকাল সোয়া ৯টায় ‘বি’ পুলের দল চীন মুখোমুখি হবে ঘানার। সকাল সাড়ে ১১টায় এই গ্রুপের অন্য ম্যাচে মিশরের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। এবং দুপুর পৌনে ২টায় দিনের তৃতীয় ম্যাচে ‘এ’ পুলের দল ওমান খেলবে ফিজির বিপক্ষে।
মালয়েশিয়ার বিপক্ষে নিকট অতীতে বলার মতো কোনো সাফল্য নেই বাংলাদেশের। ইনচনে গত এশিয়ান গেমসে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ৫-১ গোলে হেরেছিল লাল-সবুজরা। মালয়েশিয়ার বিশ্ব র্যাংকিংয়ে যেখানে মালয়েশিয়ার অবস্থান ১৩তম স্থানে, সেখানে বাংলাদেশ রয়েছে ৩২তম অবস্থানে। তারপরও আজকের ম্যাচে ভালো করতে আশাবাদী স্বাগতিক দলের দুই কোচ। বাংলাদেশের জার্মান কোচ অলিভার কার্টজের বিশ্বাস তার দল দুই দিনের বিশ্রামে সব ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলে এখন ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে। ছেলেরা প্রথম ম্যাচে ভালো খেলতে মুখিয়ে আছে। কার্টজ বলেন, ‘কাল (আজ) বেশ ফুরফুরে মেজাজে মাঠে নামবে আমার দল। মালয়েশিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের হারাবার কিছু নেই। তবে আমরা তাদের কৌশলের বিপক্ষে সতর্কতার সঙ্গে খেলব। লক্ষ্য থাকবে ম্যাচ ড্র করার। টুর্নামেন্টের শুরুতে শক্তিশালী দলের বিপক্ষে খেলার সুবিধা হলো খেলোয়াড়রা নিজেদের ভুল পরবর্তীতে শুধরে নিতে পারে। আমাদের লক্ষ্য দ্বিতীয়স্থানে থাকা। তাই সবদিক বিবেচনায় মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’ স্থানীয় কোচ মাহবুব হারুন মনে করেন মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ভালো করার যোগ্যতা রয়েছে বাংলাদেশের। তবে ওদের চেয়ে সহজ প্রতিপক্ষ ছিল কানাডা। প্রথম ম্যাচে ওদের পেলে ভালোই হতো। হারুন বলেন, ‘কানাডা আমাদের কাছে অপরিচিত ছিল। তাদের খেলা সম্পর্কে আমাদের যেমন কোন ধারণা নেই- ঠিক তেমনি বাংলাদেশ সম্পর্কেও ওদের কিছু জানা নেই। ম্যাচটিকে আমরা উইন কিংবা লস হিসেবেই ধরে নিতে পারতাম। কিন্তু প্রথম প্রতিপক্ষ মালয়েশিয়া হওয়াতে একটু চিন্তার মধ্যেই পড়েছি। জানি আমাদের এই দলটি খুবই ভালো। তারপরও বলতে বাধ্য হচ্ছি বাংলাদেশের নাড়ি-নক্ষত্র সবই জানা মালয়েশিয়ার। তাদের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় আমাদের ঘরোয়া লিগে খেলে গেছে। তবে আশা করব কালকের (আজকের) দিনটি আমাদেরই হবে। ছেলেরা সবার পজিশনে যদি সেরাটা দিতে পারে, তাহলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ােআমরা।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।