পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : সম্মাননা হাতে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন পুলিশ কনস্টেবল মো: কাইয়ুমের বয়োবৃদ্ধ পিতা মো: আবু ইউসুফ। ছেলের ছবিতে হাত বুলিয়ে বলতে থাকেন ‘তোর জন্য খুব কষ্ট হয়রে বাবা, বুকে অনেক ব্যথা।’ সন্তানহারা এ পিতার কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। পুলিশের চাকরিতে যোগ দেয়ার মাত্র ২৮ দিনের মাথায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারান কনস্টেবল কাইয়ুম। চট্টগ্রাম নগরীর জিলাপীর পাহাড়ের ডিআইজির বাংলোয় গার্ড ডিউটি পালনকালে ২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর ছিনতাইকারীদের হামলায় খুন হন তিনি।
কাইয়ুমের মতো বিগত কয়েক বছরে বিভিন্ন ঘটনা-দুর্ঘটনায় প্রাণ দিয়েছেন এমন ১৪ পুলিশ সদস্যকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্মরণ করা হলো। প্রথমবারের মতো পুলিশ মেমোরিয়াল ডে পালনের মধ্যদিয়ে নিহতের পরিবার ও স্বজনদের দেয়া হয় সম্মাননা। গতকাল (বুধবার) চট্টগ্রাম নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইন মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা পুলিশ। কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী পুলিশ সদস্যদের পরিবার-পরিজন ও স্বজনদের এ মিলনমেলায় এক শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এর আগে পরিবার-পরিজনের সদস্যদের নিয়ে তাদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
পরে আলোচনা সভা শেষে নিহতের স্বজনদের হাতে সম্মাননা ও উপহার সামগ্রী তুলে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো: শফিকুল ইসলাম, স্বজন হারানো পুলিশ সদস্যদের পরিবারকে নিজেদের পরিবার হিসেবে ভাবার জন্য পুলিশ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, যে পুলিশ সদস্য আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে গেছে তার পরিবার যেন না ভাবে তারা অসহায়। আমরা সবসময় তাদের পাশে থাকব।
প্রধান বক্তা সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার স্বজনদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের যেকোনো আপদে-বিপদে আমরা সবসময় থাকব। আপনাদের জন্য আমাদের দরজা সবসময় খোলা থাকবে। আপনারা যাদের হারিয়েছেন তারা আমাদের লোক ছিল। আপনারাও আমাদের লোক হয়েই থাকবেন।
সিএমপির উপ-কমিশনার (সদর) ফারুক আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো: সাহাবউদ্দিন, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমেদ, চট্টগ্রামে ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মুসলিম, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি নিরুপম দাশগুপ্ত, নিহত এএসআই শাহেদুর রহমানের স্ত্রী রাবেয়া নাসরিন, সাবেক পুলিশ সুপার আল্লাহ বক্স, কাউন্সিলর আবিদা আজাদ এবং চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ ও অহীদ সিরাজ স্বপন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার ও পুলিশ মেমোরিয়াল ডে পালন কমিটির আহ্বায়ক নূরে আলম মিনা। এখন থেকে প্রতি বছর দিবসটি পালন করা হবে।
বিগত ২০০৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত নিহত যে ১৪ জন পুলিশ সদস্যকে স্মরণ করা হয় তারা হলেনÑ এসআই দিলীপ কুমার শর্মা, কনস্টেবল বিভু রঞ্জন দত্ত, এএসআই মো: শাহেদুল আলম, কনস্টেবল মো: কাইয়ুম হোসেন, কনস্টেবল মো: নুরুল ইসলাম, এএসআই মো: জাহাঙ্গীর আলম, এসআই নাছির উদ্দিন শরীফ, এটিএসআই মো: জয়নাল আবেদীন, কনস্টেবল আবদুর রহমান, কনস্টেবল ইউনুছ মিয়া, এএসআই মো: জানে আলম, পুলিশ পরিদর্শক মো: ইউনুস সরকার, কনস্টেবল মো: শফিউদ্দিন মিয়া ও কনস্টেবল মো: মোস্তফা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।