বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কক্সবাজার অফিস : কক্সবাজারে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদের মুক্তিযোদ্ধাদের একটি অংশ গতকাল মঙ্গলবার সকালে কক্সবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ তুলেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তারা আরো দাবি করেছেন চলমান মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি সদস্যদের মধ্যে ভুয়া ও অভিযুক্ত মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। তারা টাকার বিনিময়ে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাভুক্তি করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ১নং সেক্টরের ১৭৬ নং গ্রুপ কমান্ডার জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এস.এম কামাল উদ্দীন। আরো উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা নূরুল হক বীর প্রতীক, মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহবুব উল আলম, মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর আহামদ ও মুক্তিযোদ্ধা ছালেহ আহমদ।
লিখিত বক্তব্যে এস.এম কামাল উদ্দীন বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য নতুন করে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই উদ্যোগকে গুরুত্ব না দিয়ে গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই না করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় নতুন করে মুক্তিযোদ্ধা দাবিদারদের অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করেন। ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয় ও জামুকা কর্তৃক সারাদেশের মত অংশ হিসেবে কক্সবাজারের প্রত্যেক উপজেলায় যাচাই-বাছাই কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা এস.এম কামাল উদ্দীন আরো অভিযোগ করেন, কক্সবাজার জেলার প্রতি উপজেলার যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্যদের মধ্যে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ও অভিযুক্ত মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে। কমিটিগুলো লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাভূক্তি করেছেন।
ইতিপূর্বে প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে কক্সবাজার জেলা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
মুক্তিযোদ্ধা এস.এম কামাল উদ্দীন বলেন, আমরা সব জায়গায় প্রস্তাব দিয়েছি যে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা, যাচাই-বাছাই কমিটিতে ডিজিএফআই, এনএসআই, প্রশাসন ও ভারত থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে যাচাই-বাছাই কমিটি করা হোক। এতে সরকারের মহৎ উদ্দেশ্য সফল হবে। তা না হলে উদ্যোগ ব্যর্থ হবে এবং সরকারের ভাব-মযার্দা ক্ষুন্ন হবে। এ ব্যাপারে আমরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।