বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
হবিগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : হবিগঞ্জের মাধবপুরে শিশুপুত্রকে হত্যার পর মা’র আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল (সোমবার) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার বহরা ইউনিয়নের ঘিলাতলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর থেকে স্বামী ও শাশুড়ি পলাতক রয়েছে। এটি পরিকল্পিত হত্যা নাকি আত্মহত্যা এ নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, প্রায় ৩ বছর পূর্বে মৌলভীবাজার জেলার কাশিপুর গ্রামের মঞ্জুলাল দেবের মেয়ে মিলির সঙ্গে বিয়ে হয় ঘিলাতলী গ্রামের মৃত প্রিয় লাল দেবের ছেলে পিন্টু দেবের সঙ্গে। এর মধ্যে তার কোলজুড়ে এক ফুটফুটে ছেলে সন্তান পথিকের জন্ম হয়। বিয়ের পর থেকেই তার শাশুড়ি পঞ্চমী দেবের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না। প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হত।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে নিহত মিলির প্রতিবেশী ভাসুরের স্ত্রী রিক্তা দেব বলেন, প্রতিদিন সকালে মিলি তার বাচ্চাকে আমার কাছে রেখে বিভিন্ন কাজ করত। পরে আমাদের সঙ্গে হাসি খুশিভাবে সময় কাটাত। ওইদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে যখন তাদের কোনো সাড়াশব্দ পাচ্ছিলাম না, আর বাচ্চাকে আমার কাছে রেখে যায়নি, তখন কৌতূহলবশত তাদের ঘরের গ্রিলে ধাক্কা দিয়ে ডাকতে থাকি। কোনও শব্দ না পেয়ে গ্রিল খুলে ভিতরে গিয়ে দেখি মিলি ও তার শিশুসন্তান পথিক ঘরের তীরের সঙ্গে ঝুলছে। চিৎকার দিলে বাড়ির অন্যান্য লোকজন ছুটে আসে। এ সময় পিন্টু বাড়ির বাইরে ছিল। আর তার শাশুড়ি গত কয়েকদিন যাবৎ তার মেয়ের বাড়িতে অবস্থান করছিল। সোমবার সকালে তিনি খবর পেয়ে বাড়িতে ছুটে আসেন।
জানা গেছে, মিলির স্বামী একটি বেসরকারী কোম্পানিতে চাকরি করেন। প্রতিদিন সকালে তিনি অফিসের কাজে বাইরে চলে যান। স্ত্রী-সন্তানের মৃত্যুর খবর পেয়ে পিন্টু বাড়িতে আসেন। পরে আর তাকে পাওয়া যায়নি।
মিলির বোন পার্শ্ববর্তী দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা মাপ্পি দেব বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে দ্রæত এসে দেখি ঘরের ভিতর আমার বোন ও তার সন্তানের লাশ ঝুলছে। তার স্বামী ও শাশুড়ি এ সময় বাড়িতে ছিলেন না।
মাপ্পি দেব অভিযোগ করে বলেন, আমার বোনকে তার শাশুড়ি মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। অনেকবার আমাদের কাছে দুঃখের কথা বলেছে মিলি। কিন্তু আমরা দুই বোন আমাদের বাবা-মাকে বিষয়টি জানাইনি। তার দুঃখ-কষ্ট যে এত ভারী হবে তা বুঝতে পারিনি।
থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাজেদুল ইসলাম পলাশ জানান, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার এবং আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটি হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে মিলির স্বামী পিন্টু ও তার মাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।