পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আলমগীর মজুমদার নামের জাতীয়তাবাদী এক নেতার নেতৃত্বে ৯টি দলের সমন্বয়ে ‘ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স’ আত্মপ্রকাশ করেছে। অন্য দিকে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত গৃহপালিত বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ নিজের নেতৃত্বে নতুন জোট গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। বাম ঘরানার দলগুলোও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। নতুন নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই দেশের রাজনীতিতে নির্বাচনী হাওয়ার সঙ্গে যেন জোট গঠনের হিড়িক পড়েছে। গতকালও রংপুরে এরশাদ নিজের নের্তৃত্বে জোট গঠনের কথা বলেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কোন কোন দলকে নিয়ে এরশাদ জোট গঠন করবেন তা এখনো অনিশ্চিত। তিনি নিজেও জানেন না কারা তার নেতৃত্বাধীন জোটের শরীক হবে। কিন্তু নির্বাচনে ধানের শীষের ভোটের ভাগ বসাতে তাকে জোট গঠন করতেই হচ্ছে। এ জোট গঠনের প্রক্রিয়া পর্দার আড়াল থেকেই হবে বলে জানিয়েছে দলটির দায়িত্বশীল এক নেতা। ওই নেতা জানান, কৌশলে স্ত্রী রওশন এরশাদ জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা হওয়ায় এরশাদ কার্যত বিপর্যস্ত। কিন্তু দলের নেতারা তার নেতৃত্বেই জোট গঠনের পক্ষে। তাদের বক্তব্য, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে প্রশ্নবিদ্ধ ভ‚মিকায় জাপা কার্যত নিজস্ব রাজনীতিহীন। আসন্ন নির্বাচনে ভোটারদের কাছে জাতীয় পার্টি কী বলে ভোট চাইবে ‘সে বক্তব্য’ নেই। লাঙ্গলে ভোট চাওয়ার জন্যই জোটের প্রয়োজন। ক্ষমতার উচ্ছিষ্টভোগী এরশাদের অ্যাসাইনমেন্ট হলোÑ ধানের শীষকে ঠেকাতে তার জোট যাতে জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী ভোটারদের কিছু ভোট লাঙ্গলে টানতে পারে। তবে জাতীয় পার্টির কয়েকজন এমপি আগামী নির্বাচনে লাঙ্গল ছেড়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার চিন্তাভাবনা করছেন বলেও জানা গেছে। অবশ্য এরশাদের জোট গঠন প্রসঙ্গে মন্তব্য জানতে চাইলে একজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও একজন বিশিষ্টজন বলেন, এরশাদ হলেন ঢাল-তরোয়াল বিহীন নিধিরাম সর্দার। আজ ওনি এখন জোট গঠনের কথা বলছেন, কাল উল্টো কথা বলবেন না সে নিশ্চয়তা নেই।
বনানীস্থ কার্যালয়ে এক যোগদান অনুষ্ঠানে এরশাদ বলেছেন, আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে ১০-১৫টি রাজনৈতিক দল নিয়ে পৃথক জোট গঠন করা হবে। ইতোমধ্যে অনেক ছোট দল এসেছে আমাদের সঙ্গে যোগ দিতে। আমার দরজা খোলা আছে। প্রয়োজনে আমরা জোট করব। এখানে ২০ দলীয়, ১৪ দলীয় জোট আছে। আমাদেরও হয়তো ১০-১৫ দলীয় একটি জোট হবে। আমরা তিনশ’ আসনে প্রার্থী দেবো। আশা করি আমাদের জোট শক্তিশালী হবে এবং সবাই মিলে নির্বাচন করে আগামীতে আবারো জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় আসবে। গতকাল রংপুরে এরশাদ আরো বলেছেন, জোট গঠনের পর জাতীয় পার্টির মন্ত্রীরা মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করবেন। এরশাদের নেতৃত্বে এ জোট গঠনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে জাপার বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা হয়। তারা জোটের ব্যাপারে কিছুই জানেন না। তবে তাদের ধারণা কিছু প্যাড সর্বস্ব কিছুকে টার্গেট করা হয়েছে। এতে ইসলামী ধারার দল যেমন আছে, তেমনি সংখ্যালঘু সংগঠনও থাকবে। ২০ দলীয় জোট থেকে বের হয়ে গেছেন এমন দলের নেতার সঙ্গে জাপার সম্পর্ক রয়েছে। ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা, আবুল কালাম আজাদ এমপির মতো ‘এক নেতার এক দল’ কিছু দল আছে। ওই সব দলের সমন্বয়ে এরশাদের নেতৃত্বে জোট গঠনের চিন্তাভাবনা চলছে। জোট গঠনের লাটাই মূলত এরশাদের হাতে নেই।
এদিকে গত ১৯ ফেব্রæয়ারি আলমগীর মজুমদারের নেতৃত্বে ‘ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স’ নামে একটি রাজনৈতিক মোর্চা আত্মপ্রকাশ করেছে। জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে গঠিত এ জোটের শরীক দল ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি, ন্যাশনাল কংগ্রেস, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন, ন্যাশনাল লেবার পার্টি, আম জনতা পার্টি ও স্বাধীনতা পাটি। পর্দার আড়াল থেকে এসব দলকেও এরশাদের নেতৃত্বের দিকে ধাবিত করা হবে। এ সব দলের একাধিক নেতা ২০ দলীয় জোটে ছিল। ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছায় তারা ওই জোট ছেড়েছেন।
জোট গঠনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে গতকাল রংপুরে এরশাদ বলেছেন ‘আওয়ামী লীগ ১৪ দল আর বিএনপি ২০ দলীয় জোটের মাধ্যমে নির্বাচন করলে দোষ নেই; জাতীয় পার্টি জোটগতভাবে নির্বাচন করলে দোষের কী।’ অচিরেই জোটের ঘোষণা দেয়া হবে বলে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘যেসব দলের শক্তি আর সামর্থ্য আছে, সেইসব দলকে আমরা সঙ্গে নেব।’ অন্য দিকে নতুন জোট গঠনের পর আলমগীর মজুমদার বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অর্থনৈতিক প্রগতি অর্জনে সুস্থ ধারার রাজনীতির জন্যই জোট গঠন করা হলো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।