বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রামগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা : ল²ীপুরের রামগঞ্জে নাগমুদ কেআই ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে দাখিল পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ছাত্রীদের কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখার ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সোমবার বাংলা ১ম পত্রের পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে নাগমুদ কেআই ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের হল সচিবের এহেন কর্মকান্ডের ঘটনায় বদরপুর, আশারকোটা, জাফরনগর, করপাড়া ও খাতুনে জান্নাত মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। সৃষ্ট ঘটনায় শিক্ষার্থীদের স্বজন ও এলাকাবাসীর মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নাগমুদ কেআই ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে এদিক সেদিক তাকানোর অপরাধে কেন্দ্রের দায়িত্বরত সচিব এবং রামগঞ্জ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার হালিমা আক্তার ৪নং, ৫নং, ৭নং ও ৮নং কক্ষের পরীক্ষার্থী আয়েশা আক্তার, জান্নাতুল ফেরদাউস, কুলসুম আক্তার, সোনিয়া আক্তার, খাদিজা আক্তার, মেহেদী হাসান, আল আমীনসহ অনেক পরীক্ষার্থীদের ৫ থেকে ১০ মিনিট পর্যন্ত কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখে। এতে করে পরীক্ষার্থীদের মাঝে অপমানবোধসহ তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। এ বিষয়ে কেন্দ্রের হল সুপার মাওঃ মাহবুবুর রহমান জানান, পরীক্ষার্থীরা টয়লেটেও যেতে পারছে না। সচিব সাহেবা শিক্ষার্থীদের পিছনে পিছনে টয়লেটেও যায়। এতে পরীক্ষার্থীরা অপমান বোধ করেছে শুনেছি।
বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন রামগঞ্জ শাখার সভাপতি ও রামগঞ্জ রাব্বানীয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এ এইচ এম মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। এধরনের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। কেন্দ্রের দায়িত্বরত সচিব মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার হালিমা আক্তার জানান, আমি নকলমুক্ত পরীক্ষা কেন্দ্র চাই। পরীক্ষা কেন্দ্রের আইন অনুযায়ী আমি দায়িত্ব পালন করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।