নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : ক্ষণিকের জন্য হলেও বার্সেলোনার সেই দুঃস্বপ্ন কি গ্রাস করেছিল রিয়াল মাদ্রিদ ভক্তদের? নিজেদের মাঠে ম্যচের শুরুতেই পিছিয়ে পড়ার পর ভক্তদের মনে এমন শঙ্কা জাগতেই পারে। কিন্তু না, শেষ পর্যন্ত আধিপত্য বজায় রেখেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলর প্রথম পর্বের ম্যাচে নাপোলিকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল।
ড্রেসিংরুমে দলের সাবেক কিংবদন্তি ডিয়াগো ম্যারাডোনার উপস্থিতিই হয়তো বাড়তি উদ্দীপনা জুগিয়েছিল নাপোলি খেলোয়াড়দের। আর তাতেই মাত্র অষ্টম মিনিটে এগিয়ে যায় দলটি। লরেন্সো ইনসাইনের দূর-পাল্লার বাঁকানো শট কেইরল নাভাস কেন কোন গোলরক্ষকের পক্ষেই সম্ভব না ওই বল প্রতিহত করা। তবে এই ধারা তারা ধরে রাখতে পারেনি। জিনেদিন জিদানের দলও ঘুরে দাঁড়াতে সময় নেন মাত্র দশ মিনিট, নিজেকে খুঁজে ফেরা করিম বেনজেমার কল্যাণে। দানি কারবাহালের ক্রস থেকে উড়ে আসা বল হেডারে জালে পাঠিয়ে দেন ফরাসি স্ট্রাইকার। ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় ৫১তম গোলের আগে ম্যাচের ২৩ সেকেন্ডের মাথায় সহজ একটি সুযোগ হাতছাড়া করেন বেনজেমা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মাত্র ৬ মিনিটের ব্যবধানে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয় টনি ক্রুস ও কারবাহালের গোলে।
গোল ও গোলমুখি আক্রমণে বার্নাব্যুর দল এগিয়ে থাকলেও বলের দখলে সমান তালে লড়ে যায় নাপোলসের দল। দুদলই একাধিক সুযোগ হাতছাড়া না করলে স্কোলাইন অবশ্য ভিন্নরকম হতে পারত। গোলমুখে দর্শকদের সবচেয়ে বেশি হতাশ করেন বেনজেমা ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। পর্তুগিজ তারকা ওমন সহজ সুযোগ বারের উপর দিয়ে উড়িয়ে না মারলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যেতে পারত রিয়াল। এ ছাড়াও বেশ কয়েকটি সুযোগের শেষ পরিণতি দিতে পারেননি ‘সিআর-সেভেন’। এ নিয়ে আসরে টানা ৫২৩ মিনিট কোন গোলও নেই রোনালদোর নামে! দ্বিতীয়ার্ধে ডি বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত শটে দলকে এগিয়ে নেয়া ক্রুসের শটটি অবশ্য তারই বানিয়ে দেয়া। গোল না পেলেও সাত ম্যাচে পাঁচবার গোলে সহায়তা করেছেন ৩২ বছর বয়সী। ৯৫ গোল নিয়ে আসরের শীর্ষ গোলদাতা রোনালদোই, মেসির ৯৩টি।
জিদান অবশ্য শিষ্যদের পারফর্মান্সে খুশী, ‘আমরা অসাধারণ একটা ম্যাচ খেলেছি। গোল খাওয়াটা হতাশার হলেও আমরা তা অতিক্রম করেছি।’ তবে লড়াই এখনেই শেষ নয় উল্লেখ করে শিষ্যদের সতর্ক করে জিজু বলেন, ‘নাপোলি কঠিন দল এবং এটা আমাদের জন্য তারা কঠিন করে তুলতে পারে। যে কোন সময় তারা প্রতিপক্ষকে দুমড়ে-মুচড়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখে। তবে তাদের গোলা ঠেকানোর মত অস্ত্র আমাদেরও আছে।’
হারলেও মূল্যবান একটি অ্যাওয়ে গোল কিন্তু পেয়েছে নাপোলি। যে গোল এখনো স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছে ইতালিয়ান দলটির। কোচ মাউরিজিও সারিরও তাই আশা হারাচ্ছেন না, ‘দ্বিতীয় লেগে আমরা এই দশা কাটিয়ে উঠতে চেষ্টা করব। আমাদের আর ভুল করলে চলবে না এবং অনেক সুযোগ তৈরী করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি আমরা পারব, অবশ্যই পারব।’ প্রতিপক্ষের নাম রিয়াল মাদ্রিদ হলেও তার দলের সাম্প্রতিক ফর্মও বলছে ঘরের মাঠে ২-০ গোলের জয় খুব সম্ভব। শিষ্যদের তাই উজ্জীবিত হতে বললেন সারি, ‘আমি ছেলেদের বলেছি ছেড়ে দিও না। এখন আমাদের সর্বশক্তি প্রয়োগ করতে হবে।’
শেষ আটবারের প্রতিবারই কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
শেষ ষোলর প্রথম লেগে হারের পর ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় নাপোলি কখনোই পরের রাউন্ডে যেতে পারেনি।
টানা ৫২৩ মিনিট কোন গোলের দেখা পাননি আসরের সর্বোচ্চ (৯৫টি) গোলদাতা রোনালদো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।