Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চলচ্চিত্রের বর্তমান দুর্দশা থেকে উত্তরণে পাঁচ তারকার মতামত

| প্রকাশের সময় : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : চলচ্চিত্রের বর্তমান দুর্দশা এবং এ থেকে উত্তরণের বিষয় নিয়ে সম্প্রতি এক আড্ডায় কথা বলেছেন অমিত হাসান, ওমরসানী, আমিন খান, মৌসুমী ও পূর্ণিমা। অমিত হাসান বলেন, ‘আমি মনে করি, চলচ্চিত্রের বর্তমানে যে দুরবস্থা চলছে, তার জন্য প্রয়োজন প্রযোজক সমিতির ভুমিকা। কারণ প্রযোজক সমিতিই হচ্ছে চলচ্চিত্রের প্রশাসক। তারাই যদি নেতৃত্বে না থাকে তাহলে ভালো চলচ্চিত্রে হবে না। টুকটাক ভালো চলচ্চিত্র নির্মিত হলেই হবে না। বছরজুড়ে ভালো ভালো চলচ্চিত্র নির্মিত হতে হবে। তা নাহলে এই শিল্প টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। যেমন আমি এর আগে কে আপন কে পর নামের একটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছিলাম। কিন্তু এখন আর সাহস পাই না। কারণ নেতৃত্বে নেই প্রযোজক সমিতি। শুধু পরিচালক সমিতি, শিল্পী সমিতি সুসংগঠিত হলে হবে না। প্রযোজক সমিতিকে সুসংগঠিত হতে হবে।’ ওমরসানী বলেন, ‘সারা দেশের সিনেমা হলকে বিএফডিসির একটি সার্ভারের মধ্যে নিয়ে আসা উচিত। তাহলে ভিডিও পাইরেসি বন্ধ হবে। ই-টিকেটিং সিস্টেম চালু করতে হবে। সর্বোপরি গৎবাঁধা গল্পের সিনেমা নির্মাণ করলে হবে না। স্ক্রিপ্ট’র ক্ষেত্রে মনোযোগ দিতে হবে। স্ক্রিপ্টই হচ্ছে একটি চলচ্চিত্রের মূল ভিত্তি। এখনে মনোযোগ দেয়াটা খুব জরুরি।’ আমিন খান বলেন, ‘চলচ্চিত্রে যারা কাজ করতে আসেন তাদেরকে শিক্ষিত হতে হবে। শিক্ষিত মানে এই নয় যে শুধু লেখাপড়ায় শিক্ষিত, চলচ্চিত্রে যে কাজটি করতে আসেন তিনি যেন সেই কাজটি শিখে আসেন। আগের মতো দেখে দেখে শিখে এলাম, এমন হলে হবে না। এখন সারা বিশ্বেও চলচ্চিত্রে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। আমরা পড়ে আছি সেই আগের স্থানে। সর্বোপরি একজন পরিচালককে হতে হবে সবচেয়ে বেশি কৌশলী। তার উপর নির্ভর করে একটি চলচ্চিত্রের সাফল্য।’ চিত্রনায়িকা মৌসুমীও অমিত হাসানের সাথে একমত হয়ে প্রযোজক সমিতির নেতৃত্বে প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি মনে করি, চলচ্চিত্রের সার্বিক উন্নয়নের জন্য শিল্পীদেরও সচেতন হতে হবে। বিশ্বের নানা দেশ চলচ্চিত্র কতো এগিয়ে গেছে! ডিজিটাল এই যুগে মানুষ এখন খুব সহজে হলে যায় না। তাদেরকে দেখার মতো কিছু না দিতে পারলে তারা হলে না গিয়ে ইউটিউবেই সিনেমা দেখে নিতে পারেন। তবে আমি আরেকটি বিষয়ে বলতে চাই, শুধু নায়ক-নায়িকা দিয়েই সিনেমা নির্মাণের ধারাবাহিকতা বন্ধ হওয়া উচিত। মাল্টিকাস্টিং করে সিনেমা নির্মাণ করা উচিত। একটি সময়ে আমি, আমার নায়ক, শাবানা আপা, আলমগীর ভাই, জসিম ভাই একই সিনেমায় অভিনয় করেছি। এসব সিনেমা দর্শক প্রাণ ভরে উপভোগ করেছেন। সিনেমায় গল্প থাকাটা জরুরি। সবমিলিয়ে এখন সত্যিকার অর্থেই সিনেমা নির্মাণে মনোযোগী হওয়া উচিত।’ পূর্ণিমা বলেন, ‘চলচ্চিত্র ব্যবসাকে আমরা এখন ব্যবসা হিসেবে দেখছি না। আগে যারা কাজ করতেন, তিনি প্রযোজকই হোন কিংবা পরিচালকই হোন, তারা চলচ্চিত্রকে ব্যবসা হিসেবে দেখতেন। শিল্পীরাও দিনরাত পরিশ্রম করে কাজ করতেন। প্রযোজনা কিংবা পরিচালনা দুটোর একটিতেও পেশাদারিত্ব নেই, নেই শিল্পীদের মধ্যেও পেশাদারিত্ব। ফলে চলচ্চিত্র ব্যবসায়িকভাবে লাভের মুখ দেখে না। একবার যিনি প্রযোজনায় আসেন, পরবর্তীতে তাকে আর খুুঁজে পাওয়া যায় না। বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্রের গল্প মিলিয়ে সিনেমা নির্মাণ বন্ধ করতে হবে। আমাদের দেশেই অনেক মৌলিক গল্প আছে। নিজের দেশ, নিজের মাটি, নিজের মানুষকে তুলে ধরার মতো অনেক গল্প আছে। তা নিয়ে একটু ভাবলেই ভালো গল্প দাঁড়ায়। হতে পারে ভালো ভালো চলচ্চিত্র। সময়ের সাথে তাল মিলিয়েই আধুনিক চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে হবে। কিন্তু আধুনিকতার নামে যেন নোংরামী না হয়।’



 

Show all comments
  • Salma ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১১:০১ এএম says : 1
    tader ai poramorsogulo nea vaba uchit
    Total Reply(0) Reply
  • Faridur Rahman ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১১:৩১ এএম says : 0
    nijeder culture ke osomman kore ki aitar unnoti hobe!!!!!!!!!!!!!!?????????????
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চলচ্চিত্র


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ