পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
শফিকুল ইসলাম বেবু, কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় তুলার বাম্পার ফলনে চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। প্রতি বছর তুলা চাষে তাদের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। চলতি বছর সরকার চাষিদের বিভিন্ন প্রণোদনা প্রদান করে। এছাড়াও অনুকূল পরিবেশ, পরিচর্যা এবং ভালো বীজের কারণে মাঠজুড়ে তুলার বাম্পার ফলন হওয়ায় আশাবাদী কৃষকরা। জানা যায়, সরকারিভাবে চলতি বছর ফুলবাড়ী উপজেলার ৬ ইউনিয়নে তুলা চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এ লক্ষ্যে উপজেলা তুলা উন্নয়ন অধিদফতর ১৬০ হেক্টর জমিতে তুলা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। সে মোতাবেক প্রণোদনা হিসেবে ৪১০ জন কৃষককে প্রশিক্ষণ-পরবর্তী দেয়া হয় বিনামূল্যে সার, বীজ ও কীটনাশক। চাষের পরপরই বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে বিপাকে পড়ে কৃষক। এসময় প্রয়োজনীয় পরামর্শের ফলে ক্ষতি কাটানো সম্ভব হলেও প্রায় ৫০ হেক্টর জমির বীজ নষ্ট হয়ে যায়। মাঠে দÐায়মান অবস্থায় থাকে ১১০ হেক্টর জমি। চাষিরা আষাঢ় মাসে তুলা রোপণ করেন এবং চৈত্র মাসে কাটা-মাড়াই শেষে ফসল ঘরে তুলতে পারেন। উপজেলার বালাটারী গ্রামের তুলাচাষি আবু তালেব (৫৬), দুদুল মিয়া (৩৬) ও কুরুষা ফেরুসা গ্রামের আকবর আলী (৪৫) জানান, আগে তুলা চাষ করে আমরা অনেক লোকসানে পড়েছি। কিন্তু এ বছর প্রশিক্ষণ ও সরকারি সুবিধাদি পাওয়ায় তুলার সঠিক পরিচর্যা করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে ক্ষেতের যে অবস্থা আছে তাতে বিঘাপ্রতি ১০-১২ মণ ফলন আশা করা যায়। এ ব্যাপারে উপজেলা তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা লুৎফর রহমান জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা কোনো ধরনের আপদ না হলে এখন পর্যন্ত এ উপজেলায় তুলার বাম্পার ফলন আশা করছি। কৃষকরা যাতে উৎপাদিত তুলার ন্যায্যমূল্য পায় সে জন্য সরকারিভাবে তুলা ক্রয়ের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।