Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আবারো রক্তাক্ত জনপদ খুলনা

| প্রকাশের সময় : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

এ.টি.এম রফিক, খুলনা থেকে : একসময়কার চরমপন্থী অধ্যুষিত এলাকা খুলনা আবারো রক্তাক্ত জনপদে পরিণত হয়েছে। বটিয়াঘাটায় যুবদল নেতা, ফুলতলায় যুবলীগ নেতা, রূপসায় বৃদ্ধ খুন, নগরীতে কলেজ শিক্ষককে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা, নগর আওয়ামী লীগ নেতা জেডএ মাহমুদ ডনকে লক্ষ্য করে গুলি ও কৈয়াবাজারে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে জখমের ঘটনায় আতঙ্কগ্রস্ত খুলনা অঞ্চলের ব্যবসায়ী ও রাজনীতিকরা। সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধে ১২ ফেব্রুয়ারি জেলা পর্যায়ের সভা আহ্বান করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ৩১ ডিসেম্বর দোলখোলা এলাকায় নগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জেড এ মাহমুদ ডনকে গুলি করে হত্যা চেষ্টায় শাসক দলের একাধিক কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘাতকের লক্ষ্যভ্রষ্ট গুলিতে ওইদিন পথচারী শিপ্রা কুন্ডু নিহত হন। রূপসার ঘাটভোগে বৃদ্ধ প্রফুল্ল বিশ্বাস খুন। গেল মাসে নগরীর আমতলা মোড়ে আবুল কাশেস কলেজের প্রভাষক সুব্রত বাইনকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যায় অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হয়। কৈয়াবাজার কমিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে কুপিয়ে হত্যা করার চেষ্টা হয়। আহতরা রাজধানীর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত ৪ ফেব্রæয়ারি যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ দ্ব›েদ্ব ফুলতলায় যুবলীগ নেতা জনি মোল্যা সন্ত্রাসীদের গুলি ও বোমা বিস্ফোরণে নিহত হয়। ৫ ফেব্রæয়ারি বটিয়াঘাটা উপজেলার আমীরপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম খান খুন হন। ঘের ব্যবসাকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকান্ড বলে স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে। গেল মাসে এক সংবাদ সম্মেলনে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমান মিজান আইন-শৃঙ্খলার অবনতির জন্য পুলিশকে দায়ী করেন। তিনি মাসিক সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ কমিটির সভায় উল্লেখ করেন, মহানগরীর সাধারণ জনগণের মধ্যে আতঙ্কভাব বিরাজ করছে। সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে পরামর্শ দিয়েছেন।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নূর-ই আলম বলেছেন, সন্ত্রাস ও নাশকতার বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নিতে হবে। ছোট অপরাধের বিরুদ্ধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হলে; বড় অপরাধগুলো সংঘটিত হতে পারবে না।
কেএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার এসএম ফজলুর রহমান সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধে জনগণের সহযোগিতা কামনা করেছেন। সন্ত্রাস ও নাশকতা বিষয়ক তথ্য তাৎক্ষণিক পুলিশকে জানাতে তিনি নগরবাসীকে পরামর্শ দিয়েছেন।
র‌্যাব-৬-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এনায়েত হোসেন মান্নান জানান, জুমার খুতবায় সন্ত্রাস ও নাশকতার বিরুদ্ধে সকল জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম হাতে নিতে হবে। সমাজের সকলের প্রচেষ্টায় সন্ত্রাস নির্মূলের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
পাইকগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স ম বাবর আলী বলেছেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন করতে না পারলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনগণ বেঁচে থাকার নিরাপত্তা পাবে না। তিনি সন্ত্রাস নির্মূলে পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। জঙ্গি প্রতিরোধে পুলিশের সাফল্যের তিনি প্রশংসা করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খুলনা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ