গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
স্টাফ রিপোর্টার : গত ২০০১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ১৬ বছরে মোট এক হাজার ৪৪৫টি এনজিও নিবন্ধন লাভ করেছে বলে জানিয়েছেন সংসদ কার্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। তিনি বলেন, বিভিন্ন কারণে ৯০টি এনজিওর নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে মৌলভীবাজার-২ আসনের এমপি আবদুল মতিনের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
নিজাম হাজারীর এক প্রশ্নের জবাবে মতিয়া চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২০১৯ সালের মাধ্যে সারাদেশের দুই লাখ ৮০ হাজার গৃহহীন মানুষকে পুনর্বাসন করা হবে।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন, কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। এ ঘোষণা বাস্তবায়নের জন্য সারাদেশের দুই লাখ ৮০ হাজার গৃহহীন মানুষকে পুনর্বাসন করা হবে এবং আগামী ২০১৯ সালের মাধ্যে তা বাস্তবায়িত হবে। ইতোমধ্যে পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আশ্রায়ণ-২ প্রকল্পের মাধ্যমে ১৫ হাজার গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে। তিনি বলেন, আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৫০ হাজার গৃহহীন পরিবারকে নিজ জমিতে ঘর করে দেয়া হবে এবং ২০ হাজার পরিবারকে ব্যারাকে পুনর্বাসন করা হবে। পরবর্তী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এক লাখ ১০ হাজার গৃহহীন পরিবারকে নিজ জমিতে ঘর করে দেয়া হবে এবং ২০ হাজার ভ‚মিহীন পরিবারকে আশ্রায়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ব্যারাকে পুনর্বাসন করা হবে। আশ্রায়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ১৯৯৭ সাল থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত তিনটি ফেইজে এক লাখ ৪০ হাজার পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রত্যেক পরিবারের বসবাসের জন্য নির্মিত ব্যারাকে দু’টি করে কক্ষ ও জমিসহ প্রাপ্যতাসাপেক্ষে চাষযোগ্য জমি প্রদান করা হচ্ছে। বর্তমান চলমান আশ্রায়ণ-২ প্রকল্পের মেয়াদকাল ২০১০-১৭ সাল পর্যন্ত জানিয়ে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ৪০ হাজার ভ‚মিহীন, গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এ মেয়াদে ৫০ হাজার পরিবার পুনর্বাসন করার লক্ষ্য রয়েছে। মতিয়া চৌধুরী বলেন, বর্তমানে যার সামান্য জমি আছে, কিন্তু ঘর করার সামর্থ নেই, সেসব পরিবারকেও তাদের নিজ জমিতে এক লাখ টাকা ব্যয়ে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে। এ কর্মসূচির আওতায় এক লাখ ৭০ হাজার পরিবারকে নিজ জমিতে ঘর তৈরি করে দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ভ‚মিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল এবং অসহায় মানুষদের জন্য আশ্রায়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে উপক‚লীয় এলাকায় পাঁচ ইউনিটের পাকা ব্যারাক ও দেশের অন্যান্য এলাকায় পাঁচ ইউনিটের সেমি-পাকা ব্যারাক নির্মাণ করা হচ্ছে। এ ছাড়াও নদী ভাঙনপ্রবণ এলাকায় সহজে স্থানান্তরযোগ্য সিআইশিট ব্যারাক নির্মাণ করা হয়।
তিনি বলেন, প্রকল্পে পুনর্বাসিতদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য ১৪ দিনের চাহিদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়ে থাকে এবং প্রশিক্ষণ শেষে পরিবার প্রতি ২০ হাজার টাকা ঋণ দেয়া হয়। বর্তমানে এই ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি করে পরিবার প্রতি ৩০ হাজার টাকা পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। পুনর্বাসিত পরিবারের জন্য দুই মাসব্যাপী ভিজিএফ সুবিধা প্রদান করা হয়।
তিন কোটি মানুষের কর্মসংস্থান : একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আওতায় দেশের ইউনিয়নে মোট তিন কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এ কে এম শাহজাহান কামালের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। মন্ত্রী বলেন, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আওতায় দেশের সকল জেলার সকল উপজেলার সকল ইউনিয়নে মোট ৬০ লাখ পরিবার তথা তিন কোটি মানুষের কর্মসংস্থান এবং দারিদ্র্য বিমোচনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ২০০৯ সালে প্রকল্পের শুরুতে প্রাথমিকভাবে প্রতিটি উপজেলার চারটি করে মোট এক হাজার ৯২৮টি ইউনিয়নে কার্যক্রম শুরু করা হয়। মন্ত্রী বলেন, পরবর্তীতে ২০১১-১৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত চার হাজার ৪০৩টি ইউনিয়নের ৪০ হাজার ৫২৭টি ওয়ার্ডে একটি করে গ্রাম নিয়ে ৪০ হাজার ২১৩টি সমিতির মাধ্যমে ২২ লাখ পরিবার তথা এক কোটি ২০ লাখ দরিদ্র মানুষকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি গ্রামে ৬০টি দরিদ্র পরিবার নিয়ে একটি গ্রামে সংগঠন গড়ে তোলা হয়েছে। যার মধ্যে ৪০ জনই নারী। দরিদ্র মানুষ মাসে ২০০ টাকা সঞ্চয় করলে সরকার তাকে ২০০ টাকা বোনাস দিচ্ছে। এ ছাড়া গ্রাম সংগঠনকে বছরে অতিরিক্ত এক লাখ ৫০ হাজার টাকা ঘূর্ণায়মান তহবিল প্রদান করা হয়। এভাবে দুই বছরে একটি গ্রাম সংগঠনে মোট ৯ লাখ টাকার স্থায়ী তহবিল গড়ে তোলা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।