পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
টানা চার সপ্তাহ ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর গত সপ্তাহ পতনের মধ্যদিয়ে পার করেছে দেশের শেয়ারবাজার। সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি কমেছে মূল্যসূচক। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন আড়াই হাজার কোটি টাকা কমে গেছে। অবশ্য আগের চার সপ্তাহের উত্থানে বাজার মূলধন বাড়ে ১৯ হাজার কোটি টাকা ওপরে। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ২০ হাজার ১২৬ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৫ লাখ ২২ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ২ হাজার ৫৩৮ কোটি টাকা। আগের চার সপ্তাহে বাজার মূলধন বাড়ে ১৯ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা।
বাজার মূলধন কমার পাশাপাশি গত সপ্তাহে ডিএসইতে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৯৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৩টির। আর ১০৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৬৯ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৫১ দশমিক ৪১ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৯ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে বাড়ে ১৫৩ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৪২ শতাংশ। আর তার আগের দুই সপ্তাহে বাড়ে ১১৩ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং ৯২ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫১ শতাংশ।
আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহে কমেছে ২৯ দশমিক ৮২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৭০ দশমিক ৫২ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে বাড়ে ৩৮ দশমিক ৩১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আর তার আগের দুই সপ্তাহে বাড়ে ৪৭ দশমিক ৩০ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং ২৫ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৭ শতাংশ।
প্রধান ও ডিএসই-৩০ মূল্য সূচকের পাশাপাশি গত সপ্তাহে কমেছে ইসলামী শরিয়াহভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক। গত সপ্তাহে এ সূচকটি কমেছে ১১ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৮১ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৩২ দশমিক শূন্য ৬ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ২৮ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে বাড়ে ১৮ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আর তার আগের দুই সপ্তাহে বাড়ে ২৪ দশমিক ২৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং ২০ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
সবকটি সূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪১৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ১ হাজার ৮১৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৪০১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা বা ২২ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৭ হাজার ৮২ কোটি ৯২ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ৯ হাজার ৯১ কোটি ২২ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে ২ হজার ৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা বা ২২ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯১১ কোটি ৬০ লাখ ৫৫ হাজার টাকা, যা মোট লেনদেনের ১২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭০০ কোটি ৮০ লাখ ১৪ হাজার টাকা। ২৬৩ কোটি ৫ লাখ ৩৮ হাজার টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে জেএমআই হসপিটাল অ্যান্ড রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং। এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে— লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, শাহিনপুকুর সিরামিক, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, নাহি অ্যালুমিনিয়াম, ওরিয়ন ইনফিউশন, ইস্টার্ন হাউজিং এবং মালেক স্পিনিং।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।